বিদিশার কাছে নিরাপদ নয় এরিক: এরশাদ ট্রাস্ট

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৩:৩১ পিএম
বিদিশার কাছে নিরাপদ নয় এরিক: এরশাদ ট্রাস্ট

রাজধানীর গুলশানের প্রেসিডেন্ট পার্কে অনুপ্রবেশকারী বিদিশা সিদ্দিককের বন্দিদশায় অত্যন্ত জীবন ঝুঁকিতে আছেন এরশাদ পুত্র শাহতা জারাব এরশাদ এরিক, এমনটি অভিযোগ করেছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ট্রাষ্টের নেতারা।

ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ, এরশাদ পুত্র এরিককে বিদিশার কাছ থেকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া, নিরপেক্ষ তদন্ত করে এরিকের বক্তব্য দেশবাসীর কাছে উপস্থাপনেরও দাবি জানান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই এরিক ও তার ড্রাইভার মহিদুল এবং কাজী মামুনের সাথে কথোপকথনের দুইটি অডিও রেকর্ড শোনানো হয়। অডিও রেকর্ডে বিদিশা সিদ্দিকের বলয় থেকে নিজেকে মুক্ত করার আকুতি জানিয়ে এরিক বলেন, আমাকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। বিদিশার কাছ থেকে মুক্ত না করলে অডিওতে আত্মহত্যার হুমকি দেন এরিক এরশাদ।

এসময় বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে এরিক এরশাদ ট্রাস্টের কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না। তার খোঁজখরবও নিতে পারছি না আমরা। তার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়েছে। এমনকি আমাদের প্রেসিডেন্ট পার্কেও প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। 

তিনি বলেন, এরশাদের রেখে যাওয়া একটি টাকাও উত্তোলন করা হয়নি। এরিকের ভরনপোষণের জন্য শুধুমাত্র একটি ব্যাংক থেকে কিছু লভ্যাংশ উত্তোলন করা হয়েছে। আমরা ব্যাংকে চিঠি দিয়ে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ চেক বই প্রেসিডেন্ট পার্কে রয়েছে। সুবিধাভোগের সই ছাড়া টাকা তোলা যায় না। এছাড়া ট্রাস্টের টাকা নিরাপদ রাখতেই আমরা চিঠি দিয়েছি। ট্রাস্টভূক্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পদ রক্ষিত আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে কাজী মামুন বলেন, ট্রাস্টের রুল অনুসারে বিদিশা প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন না। অথচ উনি গায়ের জোরে অক্টোবরে ট্রাস্টি বোর্ডে আরো কিছু সদস্য নিয়োগ করেছে। উনি কাউকে এককভাবে নিয়োগ দিতে পারে না। এসবের পেছনে প্রেসিডেন্ট পার্কে অনুপ্রবেশকারী বিদিশা সিদ্দিক ও তার আর্শিবাদপুষ্ট লোকজনের কি হীন উদ্দেশ্য রয়েছে, তা তদন্তের আহ্বান করছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বলেন, এরিক নিজেই তার মায়ের কাছে নিরাপদ মনে করছে না। এরিক জীবন ঝুঁকিতে আছে। আমরা চাই, এরিকের মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ট্রাস্টের সকল সদস্যদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা করা নিশ্চিত করতে হবে।

কাজী মামুন বলেন, এরিকের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজ হাতে গড়ে তোলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট। এরিকের মাসিক খরচ কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সরবরাহ করে আসছে ট্রাস্ট।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এরশাদের চাচাতো ভাই শামসুজ্জামান মুকুল, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর ও অ্যাডভোকেট কাজী রুরায়েত।

টিএইচ