আগামী নির্বাচন ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে।

বলেন, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করলে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা সম্ভব হবে।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “বিএনপিতে মানুষ আস্থা রাখতে চায়। তারা এমন কাজ করছে যা দেশের জন্য ও মানুষের জন্য উপকারী। অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে নির্বাচিত করবে।”

তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তারা দেশের স্বার্থ না ভেবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। সেই সময়ে যখন দেশ লুটপাট হচ্ছিল, বিএনপি ৩১ দফা দাবি ঘোষণা করেছিল। যারা এখন সংস্কারের দাবি করছেন, বিএনপি তা আড়াই বছর আগে তুলেছিল।”

তারেক রহমান বলেন, “বিএনপির দেশে পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা জানে কীভাবে ফসল উৎপাদন বাড়াতে হয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হয়, নারী শিক্ষাকে উন্নত করতে হয় এবং শিল্প-কলকারখানা প্রতিষ্ঠা করতে হয়।”

সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

এ সময় নওগাঁ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম রেজাউল ইসলাম রেজু সভাপতিত্ব করেন। রাজশাহী বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সামসুজ্জোহা খান, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। এই তিনটি পদে মোট ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর আগে ২০১০ সালে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন।

ইএইচ