চৌদ্দগ্রামের উন্নয়নে ডা. তাহেরের ২০০ কোটি টাকার মহাযজ্ঞ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা  প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
চৌদ্দগ্রামের উন্নয়নে ডা. তাহেরের ২০০ কোটি টাকার মহাযজ্ঞ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা কিংবা এমপি না হয়েও জনসেবার মহৎ ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। 

স্থানীয় উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকার রাস্তা প্রশস্তকরণ, সংস্কার ও মেরামতসহ নানা প্রকল্প সরকারের কাছে দাখিল করেছেন। এ বিশাল উন্নয়ন পরিকল্পনায় উপজেলার অধিকাংশ সড়কই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

শুধু তাই নয়, চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ এবং বহু প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্তির জন্যও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। 

জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করায় দীর্ঘদিন চৌদ্দগ্রামে বেশি সময় দিতে না পারলেও, ডা. তাহের জানিয়েছেন— এখন থেকে তিনি নিয়মিত এলাকার মানুষের সঙ্গে সময় কাটাবেন, মতবিনিময় করবেন এবং সরাসরি উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকি করবেন।

ডা. তাহের বলেন, “চৌদ্দগ্রামে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, তবে আরও অনেক বাকি রয়েছে। এমপি না হলেও আমি এই এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করছি এবং করব। নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা না করে এখনই উন্নয়ন শুরু করেছি। আমার লক্ষ্য- চৌদ্দগ্রামকে আরও এগিয়ে নেওয়া।”

উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা উন্নয়ন চাই, কাজ চাই। ডা. তাহের সাহেব নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা না করেই যে পরিমাণ বড় প্রকল্প আনার পরিকল্পনা ও চেষ্টা করছেন, এটা চৌদ্দগ্রামবাসীর জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।” 

শিক্ষক আলমগীর কবির বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের জন্যও কাজ করছেন তিনি। নতুন ভবন হলে শিক্ষার মানোন্নয়নে এটি বড় অবদান রাখবে।”

চৌদ্দগ্রাম বাজারের তরুণ উদ্যোক্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, “ক্ষমতার বাইরে থেকেও এলাকার জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের চেষ্টা করা বিরল ঘটনা। এজন্য আমরা তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।”

জামায়াতে ইসলামী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা জানান, “ডা. তাহের সাহেব শুধু রাজনীতিবিদই নন, তিনি সত্যিকার অর্থে মানুষের সেবক। উন্নয়ন ও জনকল্যাণে তার দৃষ্টান্ত সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।” 

চৌদ্দগ্রামের মানুষ আশা করছেন- আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে ডা. তাহেরের এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা উপজেলার চেহারা বদলে দেবে, উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

ইএইচ