সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, “ভারত সরকার আওয়ামী লীগকে কলকাতায় অফিস দিয়েছে। সেখানে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গত ১৫ বছরে আপনারা যে অন্যায়-অত্যাচার করেছেন, যুদ্ধের সময় যা হয়নি, তাও করেছেন। হেলিকপ্টার দিয়ে আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছেন। আমাদের ২০০ সন্তানকে হত্যা করেছেন এবং ৩০ হাজার সন্তানকে আহত করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। কথাটা আপনারাও মনে রাখবেন, আমরাও মনে রাখব। আল্লাহ তায়ালা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। যদি তা না-হতো, তাহলে ১৫ বছর পর শেখ হাসিনা লেজ গুটিয়ে পালাতেন কেন? পৃথিবীতে সরকার পালানোর ইতিহাস রয়েছে, তবে বাংলাদেশের মতো স্পিকার, মন্ত্রী ও এমপিসহ পালানোর এমন নজির নেই।”
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ও মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির যৌথ আয়োজনে স্থানীয় গাবুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পথসভাটি নেতাকর্মীদের মিছিলের মাধ্যমে জনসভায় পরিণত হয়।
কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, “২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচনের আগে ২৭ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বসে এমন কোনো প্রস্তাব নেই, যা দেওয়া হয়নি। কিন্তু বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে তারা দলে ভিড়াতে পারেনি। আগামী ১০০ বছরেও তারা বিএনপির কিছুই করতে পারবে না। বিএনপিতে ৩০০ আসনের বিপরীতে ১ হাজার ৮০০ প্রার্থী রয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ে বিএনপি কখনও ভুল করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।”
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. গাজী রাসেদ সামসের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ভিপি জাফর ইমাম শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন—পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বাইজিদ আহমেদ মাকসুদ পান্না, পটুয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোহসীন উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম খোকন, মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জামেল হোসেন, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. আবদুর রহিম চান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আবুল বাসার মোকলেচ প্রমুখ।
এর আগে মির্জাগঞ্জে ইয়ার উদ্দিন খলিফা (র.) মাজারে জুমার নামাজ আদায় শেষে মসজিদে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশবাসীর জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ইএইচ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
