আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ১২, ২০২১, ০৯:২০ এএম
মিষ্টি যে কোনো খাবারের গন্ধেই হাজির হয়ে যায় পিঁপড়া। মাঝে মাঝেই তার অপ্রত্যাশিত আগমন হয়ে ওঠে বিরক্তির কারণ। কিন্তু জানেন কী, এই পিঁপড়ার জন্যেই বেঁচে গিয়েছিল একটি গোটা শহর। বিস্ময়কর হলেও কিন্তু এ ঘটনা সত্য।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ছোট শহর পুচেরার প্রধান জীবিকা ছিলো কৃষি। কিন্তু একটা সময়ে পুচেরায় কৃষি কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহর বিরাট এক অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে যায়।
এই সময় পুচেরা এলাকায় সম্পূর্ণ অন্য প্রজাতির পিঁপড়ার খোঁজ পান পতঙ্গবিদেরা। ঠিক যেন পাখা ছাড়া বোলতা, যার পেছনে রয়েছে বিষাক্ত বড় হুল। পরে এদের নাম দেওয়া হয় ডাইনোসর পিঁপড়া।
১৯৭৭ সালে প্রথম এই প্রজাতির পিঁপড়েটি আবিষ্কার করা হয়। পতঙ্গবিদদের মতে, ডাইনোসরদের যুগ থেকে টিকে আছে এই পিঁপড়ের এই প্রজাতি। জীবন্ত ফসিল এটি। বিশ্বের অন্যান্য পিঁপড়ার প্রজাতিগুলোর মধ্যে অনেকটাই আলাদা এই পিঁপড়া গুলো। বোলতা এবং পিঁপড়ে দুই প্রাণীর বৈশিষ্ট্যই দেখা যায় এই ডাইনোসর পিঁপড়ার মধ্যে।
পুচেরা শহরে এই পিঁপড়ার সন্ধান পাওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন পতঙ্গবিদ সেখানে আসতে শুরু করে। চালিয়ে গবেষনার কাজ।
দীর্ঘদিন গবেষণার কাজ চলার কারণে তাঁদের জন্য থাকার জায়গা তৈরি হয়। আর পুচেরা বাসীদের জন্য খুলে যায় অর্থ উপার্জনের পথ।
শুধু গবেষকরাই নয়, এই ডাইনোসর পিঁপড়ের আকর্ষণে বহু পর্যটকও এই শহরে আসা শুরু করে।
ধীরে ধীরে রাস্তার পাশে রাত্রিযাপন এবং খাওয়াদাওয়ার জন্য রোডহাউস, দোকান গড়ে ওঠে। শুধু রাত্রিযাপন নয়, হাইওয়ে দিয়ে চলাচর করা সব গাড়িই পুচেরাতে দাঁড়াতে শুরু করে। দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনেন কিংবা কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন।
আর এইভাবেই অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে পর্যটন মানচিত্রে নিজের জায়গা করে নিয়েছে সেই ছোট্ট পুচেরা শহর।
[embed]<iframe width="727" height="409" src="https://www.youtube.com/embed/REcJdZACpss" frameborder="0" allow="accelerometer; autoplay; clipboard-write; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture" allowfullscreen></iframe>[/embed]
আমারসংবাদ/এডি