Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

৮ বছর বয়সেই ৩ টি খুন!

আমার সংবাদ ডেস্ক

জানুয়ারি ১৯, ২০২১, ১২:০০ পিএম


৮ বছর বয়সেই ৩ টি খুন!

ফুলের মতো নিষ্পাপ হয় শিশুরা। শিশুদের হাসি সবার মনে আনন্দের জোয়ার এনে দেয়। তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর সমাজ, রাষ্ট্র ও পৃথিবীর। কিন্তু ৮ বছর বয়সী শিশু অমরজিৎ সাদা ছিল যেন সম্পুর্ণ আলাদা। অন্যের কষ্টেই ছিল তার আনন্দ। এই ছোট্ট বয়সেই গায়ে লেগেছে খুনের দাগ। পেয়েছে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সিরিয়াল কিলারের খেতাব।

ভারতের বিহারের মুশাহার গ্রামে পরিবারের সাথেই থাকতেন শিশু অমরজিৎ সাদা। ২০০৬ সালে মাত্র ৭ বছর বয়স অমরজিৎের। সেই সময় নিজের ৬ বছর বয়সী চাচাতো বোনকে খুন করে সে। এরপর মানুষ খুন করা তার নেশা হয়ে দাঁড়ায়। 

অমরজিৎের এই ভয়ঙ্কর নেশা থেকে বাদ পড়ে না তার  ৮ মাসের আপন বোনও।

তবে অমরজিৎের এই অপরাধের পেছনে তার পরিবার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলেও পরোক্ষ ভাবে জড়িত ছিল। কারণ তার পরিবারের সবাই ওর খুনের বিষয়গুলো জানলেও  সঠিক পদক্ষেপ নেননি।

২০০৭ সালের ঘটনা। খুশবু নামের ৬ মাসের শিশুকে হত্যা করে অমরজিৎ। শিশুটির মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হওয়ায় শিশু খুশবুকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়িতে রেখে স্কুলে যায়। কিন্তু স্কুল থেকে ফিরে আর খুঁজে পায় না খুশবুকে। কয়েক ঘণ্টা পর অমরজিৎ নিজেই এসে খুশবুর মায়ের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করে।

সে জানায়, শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করেছে। এরপর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে অমরজিৎ। এমনকি হত্যার পর ৬ মাস বয়সী শিশুটিকে কবরও দিয়ে দেয়। গ্রামবাসীকে অমরজিৎ নিজেই কবর দেওয়ার স্থান দেখিয়ে দেয়।

এই ঘটনার পর পুলিশ এসে আটক করে অমরজিৎকে। পুলিশের কাছেও খুনের অপরাধ স্বীকার করে অমরজিৎ।

পুলিশ জানায়, খুনের কথা স্বীকার করার সময় অমরজিৎ শুধুই হাসছিল। তবে খুনের কথা স্বীকার করলেও অন্য কোনো প্রশ্নের উত্তর সে দেয়নি। একটু পরপরই সে পাগলের মতো হাসে।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অমরজিৎ অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজে আনন্দ পায়। এমন মানসিক রোগে আক্রান্তরা শুধু অন্যকে কষ্ট দিতেই জানে এবং এটাতেই তাদের আনন্দ।

গ্রেফতারের পর শিশু অপরাধী হিসেবে প্রথমে অমরজিৎকে চিলড্রেন্স হোমে রাখা হয় এবং টানা ৩ বছর সে মনোরোগবিদের কাছে কাউন্সিলিং গ্রহণ করে। এরপর ১৮ বছর বয়সে ২০১৬ সালে সে মুক্তি পায়। বয়স কম থাকায় ও মানসিক রোগের কারণে বিচারক তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাননি। তাই ১১ বছর পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

বর্তমানে অমরজিতের বয়স ২২ বছর তবে গোপন রাখা হয়েছে তার বাসস্থানের ঠিকানা। পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে তার নামও। বর্তমানে সে কোথায় আছে, তার খোঁজ জানে না কেউ।

আমারসংবাদ/এডি