Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

ঋতুবতী মেয়েদের ঘর থেকে বের করে দেয়া হয় যে গ্রামে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এপ্রিল ২৩, ২০২১, ০৯:১৫ এএম


ঋতুবতী মেয়েদের ঘর থেকে বের করে দেয়া হয় যে গ্রামে

পুরুষের চেয়ে নারীর আর পাঁচটি ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের মতোই একটি হচ্ছে, মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীরা ঋতুবতী হয়। তাদের এই সময়টা খুব কষ্টের ভেতর দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। তাই এ সময়ে প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের।

কিন্তু মেয়েদের ঋতুবতী হওয়া নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন সংস্কৃতিতে আছে নানা রকমের কুসংস্কার। অনেক দেশে বিশেষ এই সময়টিতে মেয়েদের মনে করা হয় অপবিত্র। যেমন, পাশের দেশ ভারতে হিন্দু ধর্মের রীতি অনুসারে, ঋতুবতী অবস্থায় মেয়েদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ।

শুধু তা-ই নয়, ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশে মাসের এই বিশেষ সময়টিতে মেয়েদের পাঠিয়ে দেয়া হয় গ্রামের এক প্রান্তে। এ অবস্থায় সেখানে একাকী জঙ্গলের ধারে জীর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর ‘গাউকোর’ বা ঋতুকালীন ঘরে মেয়েদের থাকতে হয় কয়েকদিন।

সমাজচ্যুত হওয়ার ভয়ে এই সময় মায়েরাই মেয়েদের এগিয়ে দেয় এই ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে। মহারাষ্ট্রের গড়ছিরৌলি জেলার এটাপল্লিটোলা গ্রামে এ নিয়ম চালু রয়েছে। ঋতুর প্রথম চার দিন এই উপজাতির কাছে ওই নারীরা ‘অপবিত্র’।

এমনকী বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগেরও সুযোগ নেই। ঠিকমতো পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা না থাকায় এমন অবস্থায় মারাও যায় অনেক মেয়ে।

২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর এক গাউকোরে পড়ে ছিল এক নারীর মৃতদেহ। জ্বরে রক্তচাপ বেড়ে মস্তিষ্কের ধমনী ফেটে যায় তার। নিস্তেজ হতে-হতে ঝরে পড়ে প্রাণ।

এছাড়া ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে পাদাটোলার এক ভাঙাচোরা গাউকোর থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় একটি বন্য প্রাণী। সাপের কামড়ে, নড়বড়ে দেয়াল ধসে পড়ে, ফাটা চালের উপর গাছ ভেঙে পড়েও মারা গেছেন অনেকে। তবে প্রথা লঙ্ঘনের ভয়ে কাছে আসেনি কেউ, সাড়া দেয়নি আপনজনেরাও।

২০১১ সালে মহারাষ্ট্রের স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওই উপজাতি অধ্যুষিত গড়ছিরৌলি জেলার ২২৩টি গাউকোরের অবস্থা ঘুরে দেখে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। তখন বেরিয়ে আসে গাউকোরগুলোর ভয়াবহ অবস্থা।

ঋতুকালীন সময়ে নারীদের দেহ পবিত্র থাকে না- এই ধারণা থেকেই কেরালার শবরীমালা মন্দিরে নির্দিষ্ট বয়সের মেয়েদের ঢুকতে দেয়া হতো না। এমনকি দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও নারীরা সেই মন্দিরে যেতে পারে না।

[embed]<iframe width="560" height="315" src="https://www.youtube.com/embed/qGi76Rf4g1M" title="YouTube video player" frameborder="0" allow="accelerometer; autoplay; clipboard-write; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture" allowfullscreen></iframe>[/embed]

আমারসংবাদ/আরএস