Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে ‘ফেমিনিজম ইজ ক্যান্সার’র

নিজস্ব প্রতিনিধি

মে ৫, ২০২১, ০৮:১৫ এএম


গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে ‘ফেমিনিজম ইজ ক্যান্সার’র

এফআইসি- মানে ফেমিজিম ইজ ক্যান্সার। তেত্রিশ হাজার (ক্রমবর্ধমান) যোদ্ধাদের নিয়ে একটি গ্রুপ যারা অবিরাম লড়াই করে যাচ্ছে সমাজের নারীবাদ নামের একটি অশালীন চিন্তাধারার বিরুদ্ধে। 

বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় ক্যান্সারের রূপে ধ্বংসলীলা চালানো নারীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাওয়া একটি ফেইসবুক গ্রুপ যা নারীবাদীদের ঠুনকো যুক্তিকে গঠনমূলকভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে এবং তাদের অশালীন চিন্তাধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আধুনিক এবং শালীন চিন্তাধারার নারীদের কাছেও এফআইসির জনপ্রিয় হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ তারা কেবল নারীবাদের বিপক্ষে কথা বলে, তবে নারীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায় না, কাউকে ছড়াতেও দেয় না। 

এই ফেসবুক গ্রুপটি এর আগেও পঞ্চাশ হাজার ছুঁই ছুঁই সদস্যের গ্রুপে রূপান্তরিত হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে ফেসবুকের কিছু বিতর্কিত রুলস আর কিছু মানুষের প্রতিহিংসার কারণে গ্রুপটি ডিজেবল হয়ে যায়। এরপর নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আবারো তেত্রিশ হাজার সদস্যের পরিবারে পরিণত হয়েছে ফেইসবুক গ্রুপটি। 

বাংলাদেশে ফেমিনিজমের প্রসারতা এবং নেতিবাচক প্রভাব দেখে গঠনমূলক সমালোচনা এবং সমাজকে নারীবাদ সম্পর্কে সচেতন করার চিন্তাধারা থেকে কয়েকজন সচেতন তরুণ দ্বারা একটি ফেসবুক গ্রুপ খোলা হয়, ধীরে ধীরে তাদের সাথে যুক্ত হন বেশ কয়েকজন। সেই থেকেই শুরু হয় এফআইসি এর যাত্রা।

এফআইসি এর প্রধান লক্ষ্য সমাজের কোমলমতি তরুণ তরুণীদের নারীবাদ এর ভয়ানক দিক সম্পর্কে সচেতন করা।

নারী-পুরুষ এর সমঝোতার মাঝে নারীবাদীরা যে প্রতিযোগিতার দেয়াল তৈরি করেছে তা ভেঙে দেয়া। নারীবাদীরা যেভাবে সমাজের সাধারণ নারীদের স্বাধীনতার নামে শালীনতা ভঙ্গে উৎসাহীত করে চলেছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করা।

সমাজে নারী পুরুষ যেনো সমঝোতা আর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এর সাথে এগিয়ে যেতে পারে সেই সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

কিন্তু এ যাত্রা কখনোই সহজ ছিলো না, হাজারো বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে এফআইসি এর সদস্যদের।

নারীবাদ নিয়ে গঠনমূলক এবং শালীনতার সাথে সমালোচনা করেও বেশ কয়েকবার হুমকির শিকার হতে হয় এফআইসির পরিচালনা বোর্ডের সদস্যদের। ফেইসবুক মেসেজে অশ্লিল ভাষায় আক্রমণ, অযথা স্পামিং করে ফেসবুক আইডি নষ্টের চেষ্টা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পোস্ট করা ইত্যাদি অরুচিকর কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে কিছু অসাধু ব্যাক্তি। এমনকি এই গ্রুপের সাধারণ সদস্যরাও কখনো কখনো বিভিন্ন হুমকির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

অনেক নারী সদস্যকেও হেনস্তার স্বীকার হতে হয়েছে নারী হওয়া স্বত্ত্বেও নিজেকে নারীবাদী বলে পরিচয় না দিয়ে নারী বলে পরিচয় দেওয়ার জন্য, এফআইসির কর্মকাণ্ডকে অভিবাদন জানানোর জন্য।   

কিন্তু এতো বাধার পরেও থেমে থাকেনি এফআইসি। হাজারো মানুষের ভালোবাসায়, সহযোগিতায়, গ্রুপটি  ছুটে চলছে আপন গতিতে, একটি শালীনতার ছায়া ঘেরা সুন্দর সমাজ তৈরির প্রচেষ্টায়।

আমারসংবাদ/কেএস