Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

এবার নিজে মানবিক হোন

মে ১১, ২০২১, ০২:০০ পিএম


 এবার নিজে মানবিক হোন

করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে হাজারো মানুষ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ছে। তাদের জন্য সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, সংগঠন বা রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু সকলেই কি তাদের জন্য ভাবছে? নাকি শুধু অন্যরা ভাবছে, এই চিন্তাতেই মগ্ন আছি আমরা? 

অন্য কেউ ভাবছে, এই চিন্তা ছুড়ে ফেলুন। আমরা নিজেরা একটু খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করি। একটু মানবিক হওয়ার চেষ্টা করি। হতে পারে আপনারা দেখাদেখি অন্যরাও মানবিকতার পরিচয় দিবে। 

এই সময়ে ক্যাম্পাসের সেই লোকটা কেমন আছে, যার দোকানে গিয়া চায়ের আড্ডা দিতাম? সেই লোকটার কি খবর, যিনি ক্যাম্পাসে খাবারের দোকান দিত? এখন তো আর দোকানও খুলতে পারে না, বিক্রিও হয় না!
 
আচ্ছা, ওই লোকটার কি করছেন, যিনি ক্যাম্পাসে রিকশা চালাতেন? এখনতো আর শিক্ষার্থী নেই। তাহলে সে কিভাবে জীবনযাপন করছে? যে মানুষটার কাছে বরাবর ঈদের জামাকাপড় বানাতাম, তার ব্যবসা কেমন চলছে? এ বছর তো আর বানাচ্ছি না। 

বিভিন্ন মেসে রান্না করে উপার্জন করা খালারা কোথায় আছে? এখন তো তাদের সাথে আর যোগাযোগ নেই। ক্যাম্পাসের দারোয়ান, রাতের প্রহরীরা কেমন আছে? করোনার কারণে তো তাদের বেতন অল্প দিচ্ছে! তারা কি আগের মতোই সারা দিনরাত ক্যাম্পাস পাহারা দিচ্ছে? 

আপনি যদি মানবিক মানুষ হন, তাহলে এরকম মানুষের কাছে গিয়ে বা ফোনে বা ব্যক্তিগত যোগাযোগ করুন। একটি মানুষের মুখে আপনার দান দিয়ে হাসি ফুটাতে পারেন। তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, আরশে আজিমের মালিক হাশরের ময়দানে আপনার জন্য আরশের নিচে একটু ছায়ার ব্যবস্থা করে দিবেন। 

সামনে ঈদ আসছে। কেবল আমি আমার ঈদ উদযাপন করে ফেলছি, তা যেন না হয়। কাছের মানুষজনের একটু খোঁজ নেয়া উচিত। 

আপনি যদি এরকম দুয়েকটা মানুষকে আপনার দান দিয়ে, আপনার সহানুভূতি দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে হাসি ফুটাতে পারেন, তাহলে আপনার জীবনের হাসিটা জান্নাতে ফুটে যাবে ইনশাআল্লাহ। 

ভুলেও ভাববেন না, এগুলা বড়লোকের কাজ। না! আমি যদি গরিব হই, আমার অর্থনৈতিক সক্ষমতা কম হয় তাহলে আমিই সর্বোত্তম দানকারী। কারণ, আমার সামর্থ্যের মধ্যে থেকেই আল্লাহকে আমার দানের ইচ্ছাশক্তি দেখিয়েছি।

লেখক: হাসিব মীর (শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, গণ বিশ্ববদ্যালয়)। 

আমারসংবাদ/এআই