Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

শহীদ শেখ মনির যুবলীগ এখন গণমানুষের

আসাদুজ্জামান আজম

নভেম্বর ৯, ২০২১, ০৭:৪৫ এএম


শহীদ শেখ মনির যুবলীগ এখন গণমানুষের

২৪ নভেম্বর ২০১৯। ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির জ্যৈষ্ঠ সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগকে আদর্শিক জায়গায় ফেরানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রতিশ্রুতি দেন ‘কলঙ্ক’ মুছে মানবিক কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠনকে পরিশুদ্ধ করার।

দায়িত্ব গ্রহণের পর গণমাধ্যমকে শেখ পরশ বলেছিলেন, ‘গণমানুষের যে রাজনীতি, মানুষের সেবা করা, সেই বেসিক রাজনীতি করছি।নিজেদের লাভবান করতে রাজনীতি করতে চাই না। মানুষকে দেয়া ও মানুষের জন্য রাজনীতি করতে চাই। আমাদের চাওয়া-পাওয়ার তেমন কিছু নেই। একটাই চাওয়া মানুষ যেনো ভালো থাকে। কোনোভাবেই যেনো নির্যাতিত না হয়। নিপীড়িত বা অবহেলিত না হয়। এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

২০২০ সালের ১১ নভেম্বর সংগঠনের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘যুবলীগ এলিট শ্রেণির সংগঠন নয়। যুবলীগ হচ্ছে শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের রাজনৈতিক সংগঠন। এই জন্যই তারা সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।’

কথা রেখেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন যুবনেতা, সহযোদ্ধা, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে নিয়ে যুবলীগকে মানবিক সংগঠনে পরিণত করেছেন।

ঘনিষ্ঠজনেরা বলে থাকেন, পিতা শেখ মনির চোখে দেখা যুবলীগকে পুরোপুরি উপলব্ধি করেন শেখ পরশ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পিতার কাক্সিক্ষত যুব সংগঠন গড়তে তৎপর তিনি। তাই তো দায়িত্ব নিয়েই ছুটে যান শীতার্ত ও আগুনে পোড়া মানুষের কাছে।

সেই থেকে মানবিক যুবলীগের পথচলা শুরু। এরপর পুরো ডিসেম্বর ২০১৯, জানুয়ারি ২০২০, ফেব্রুয়ারি ২০২০ মাসজুড়ে সারা দেশে যুবলীগের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করা হয়। ২০১৯ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ১০ জানুয়ারি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যার্বতনের অনুষ্ঠান থেকে মানবিক রাজনীতির ডাক দেয় যুবলীগ চেয়ারম্যান।

এরপর শুরু হয় করোনা সংকটে যুবলীগের মানবিক কর্মকাণ্ড। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানবিকতার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে যুবলীগ। কেন্দ্রীয়, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ মহানগরসহ সব মহানগর, জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড যুবলীগের প্রতিটি ইউনিট অসহায় মানুষকে খাদ্য, চিকিৎসা, দাফন. সৎকারসহ নানা সহায়তা করেছে।

করোনা ভাইরাসের ভয়ে পরিবারের নিকট স্বজনরা যখন দূরে, তখন পরম মমতায় করোনা মৃতদেহ দাফন করেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। গত দুই বছরের মানবিক কাজে গণমানুষের ভালোবাসার সংগঠনের পরিণত হয়েছে যুবলীগ।

পেছনে ফিরলে দেখা যায়, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ সংগঠক। বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের সৃজনশীল যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স তথা মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান কমান্ডার, গবেষক ও সাংবাদিক। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর ক্ষুধা, দারিদ্র্য, স্বজন ও সম্পদ হারানো আর্তনাদ ছিলো সর্বত্র। ছিলো না অবকাঠামোগত সুবিধা। বন্ধ কলকারখানা, নেই যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ঠিক এমন সময়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক, বাঙালির মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক দেশে ফিরেই বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়ার মিশনে নেমে পড়েন। যার কারণে বিশাল যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব দেন তৎকালীন বাংলাদেশের যুব রাজনীতির আলোকবর্তিকা শেখ ফজলুল হক মনিকে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রধানত চারটি বিষয়কে সামনে রেখে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের।

যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজ অর্থাৎ সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সকল ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার তথা জাতীয় চার মূল নীতিকে সামনে রেখে বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা সম্প্রসারণ, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আন্তনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং যুবসমাজের ন্যায্য অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটি ছিলো মেধাবী আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গঠনের কাজে নিয়োজিত হতে মুখিয়ে থাকা যুব সম্প্রদায়ের পাঠশালা। কমিটির নেতৃত্বে আনা হয় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ শিক্ষিত পেশাজীবীদের। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিটি অগণতান্ত্রিক অপচেষ্টা রুখে দিতে যুবলীগ ছিলো অগ্রভাগে। সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট মানুষকে মুক্ত করতে যুবলীগের ভূমিকা ইতিহাসে উজ্জ্বল। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও যুবলীগ ছিলো অগ্রভাগে।

 ১৯৮১  থেকে অদ্যাবধি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি আন্দোলনে যুবলীগ ছিল রাজপথে।  স্বৈরাশাসক জিয়াউর রহমান, স্বৈরাচার এরশাদ-বিরোধী আন্দোলন, ‘৯১-৯৬ ও ২০০১-২০০৫ বিএনপির দুঃশাসন এবং এক-এগারো সরকারের সময়ে শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যুবলীগ। যুদ্ধাপরাধী, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে সব সময় সোচ্চার ছিলো যুবলীগ। এসব আন্দোলনে অংশ নিয়ে যুবলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী নিহত, আহত হয়েছেন। জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী।

স্বাধীনের পর দেশ গঠনে যেভাবে ভূমিকা রেখেছে, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশ প্রতিষ্ঠায় বর্তমান নেতৃত্বে যুবলীগ সেই ভ‚মিকা রাখছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচি আওতায় ইতোমধ্যে ৩০ লাখের মতো গাছ রোপন করেছে যুবলীগ। এ কর্মসূচি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পালিত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেয়া কর্মসূচি পালন হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বিরোধী শক্তির অপপ্রচার ও ইতিহাস বিকৃতি প্রতিহত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজপথে সরব যুবলীগের নেতাকর্মীরা। যুবলীগের আইটি বিভাগের মাধ্যমে ইতিহাসের সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয় নিয়মিতভাবে।

করোনা সংকটে যুবলীগের প্রতিটি ইউনিট মানবিক কর্মকাণ্ড ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ দাঁড়িয়ে যুবলীগের মানবিক কাজের প্রশংসা করেছেন। গত দেড় বছর (মার্চ ২০-আগস্ট ২১) জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার শাখা কমিটিগুলো করোনায় মানবিক কর্মসূচিতে তৎপর ছিলো। করোনা ভাইরাসের শুরুতেই সারা দেশে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালায় যুবলীগ। প্রতিটি ইউনিটে মাইকিং ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

২০২০ সালের ২৬ মার্চ অঘোষিত লকডাউন শুরুর দিন থেকেই শুরু হয় খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি। কর্মহীন হয়ে পড়া মধ্যবিত্ত, নিæবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সারা দেশে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয়া হয়। শ্রমজীবী, গার্মেন্টস শ্রমিক, বিভিন্ন কারখানা শ্রমিক, রিকশা-ভ্যানচালক, বধির প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, মুচি, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়, বস্তির মানুষসহ অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, সবজি, দুধ) ও নগদ অর্থ মানবিক সহায়তা দেয়া হয়। ট্রাক, রিকশা ও ভ্যানে করে বস্ত্রিবাসীদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সার্জিক্যাল মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ, ২৪ ঘণ্টা টেলিমেডিসিন সেবা, ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্স সেবা, মৃতদেহের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা, মৃত ব্যক্তির দাফন, কৃষকদের ধান কাটায় সাহায্য করা, গরিবদের গৃহ নির্মাণসহ সারা দেশে ত্রাণ তৎপরতা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রের পাশাপাশি সংগঠনের কয়েকটি জেলা কমিটি  ‘ভ্রাম্যমাণ বাজার’ ও ‘ডক্টরস সেফটি চেম্বার’-এর মতো ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছে। ২০২০ সালের প্রথম ধাপে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনার আলোকে দেশজুড়ে ব্যাপক মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যুবলীগ। করোনা সংকটে যুবলীগের এসব কর্মসূচি সর্বমহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।  

দপ্তর সূত্র মতে,  যুবলীগের মাধ্যমে সরাসরি আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ খাদ্যসহায়তা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দেয়া রমজান ও ঈদসামগ্রী ও ভাইরাসের সুরক্ষাসামগ্রী পেয়েছে অন্তত এক কোটি মানুষ। স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছে ২২ লাখ মানুষ। করোনার প্রাদুর্ভাবে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, দিনমজুর ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের অসহায় মানুষের পাশাপাশি করোনার সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স ও পুলিশের পাশে দাঁড়ায় যুবলীগ।

রাজধানীর সারা দেশে করোনাযোদ্ধাদের সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। করোনা সংকটের মধ্যেই বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান যুবলীগের নেতাকর্মীরা। নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বন্যার্তদের সহায়তা পৌঁছে দেন যুবলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। শ্রমিক সংকটে অসহায় হয়ে পড়ে কৃষক। সারা দেশে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি তুলে দিয়ে মানবিকতার আরেক নিদর্শন দেখিয়েছে যুবলীগ।

এপ্রিলের শুরুতেই ঢাকা মহানগরের রোগীদের যাতায়াত সংকট বিবেচনা করে যুবলীগ ২৪ ঘণ্টা ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করে। এরপর বিভিন্ন মহানগর ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু হয়। একই সাথে করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের নির্বিঘ্নে জরুরি চিকিৎসাসেবা পেতে সাধারণ মানুষের জন্য ২৪ ঘণ্টা টেলিমেডিসিন সেবাও চালু করে যুবলীগ। রমজান মাসেজুড়ে কর্মসূচিতে ভিন্নতা আনা হয়।

খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি শুরু হয় ইফতারসামগ্রী ও রান্না করা খাবার বিতরণ। পুরো মাস ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনউস্থ কেন্দ্রীয় কাযালয়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও পান্থপথ মাঠে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপেও অব্যাহত ছিলো একই মানবিক কার্যক্রম।

বছরজুড়েই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অসহায় মানুষকে নতুন কাপড়, খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। গত বছরের এবং চলতি বছরে আগস্ট মাসজুড়ে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মানবিক কর্মসূচি পালিত হয়। পুরো মাস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কুরআন খতম ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

মানবতায় বিশ্বজয়ী নেতা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেয়া গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্প সফল করতে উদ্যোগী হয়েছে যুবলীগ। ইতোমধ্যে যুবলীগের উদ্যোগে ৩২ গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেয়া হয়েছে। আরও প্রায় ৫০টি মতো ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। মূলত শেখ পরশের নেতৃত্বে বিতর্কের কালিমা মুছে প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শে ফিরেছে যুবলীগ। অন্যের স্বার্থ ছিনিয়ে নেয়া থেকে বেরিয়ে মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছে যুবলীগ কর্ম। যুবলীগ মানবিক কাণ্ডের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আগামী ১১ নভেম্বর যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ৫০ বছরে পদার্পণের সময়ে একটি কথা জোর দর্পে বলা যায় শহীদ শেখ মনির যুবলীগ এখন গণমানুষের। গণমানুষের কল্যাণে যুবলীগের পদযাত্রা অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা সকল শ্রেণি ও বর্ণের মানুষের।

লেখক : গণমাধ্যম কর্মী ও সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি