Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

প্রণোদনার অর্ধেকও পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা

জাহাঙ্গীর আলম

নভেম্বর ২৮, ২০২০, ০৬:০০ পিএম


প্রণোদনার অর্ধেকও পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা

করোনা ভাইরাস মহামারিতে বাংলাদেশেও ভয়াবহ আকার ধারণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি চাঙ্গা করতে এপ্রিলে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক, দিনমজুর থেকে শুরু করে অসহায় কর্মহীন মানুষের জন্য ২১টি প্যাকেজের মাধ্যমে এক লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার ঋণ, নগদ অর্থ ও খাদ্যসহায়তার ঘোষণা করা হয়।

এটিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার জারি করে এসব প্যাকেজ বাস্তবায়নে তাগিদ দিয়েছে ব্যাংকগুলোকে। তারপরও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জোয়ার শুরু হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে এখনো অর্ধেক পৌঁছেনি প্রণোদনা সুবিধা। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সব চেয়ে বেশি অবদান রাখা কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের (সিএমএমএমই) জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজের মাত্র সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা বা ৪৩ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়া কৃষকদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ তহবিলের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে দুই হাজার ২৬৮ কোটি টাকা বা ৪৫ শতাংশ। অন্যান্য প্যাকেজেরও একই দশা। বাধ্য হয়ে প্রণোদনা প্যাকেজ কার্যকর করতে অর্থমন্ত্রণালয় সিরিজ আকারে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা প্রণোদনা প্যাকেজ দেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে বিভিন্ন সার্কুলার জারি করা হয়েছে। প্যাকেজের আওতায় কম সুদে বিভিন্ন ঋণসুবিধা রয়েছে। যা ব্যাংকার-কাস্টমার সম্কর্কের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো বিতরণ করার কথা। বিনিময়ে ব্যাংককেও বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হয়েছে।

তারপরও তারা এসব ঋণসুবিধা দিতে আগ্রহ কম দেখানোতে সতর্ক করে নোটিস দেয়া হয়েছে। পুরো প্যাকেজ কার্যকর করতে সময় বাড়ানো হয়েছে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এখনো সময় বাকি রয়েছে। আশা করি ওই সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলো টার্গেট অনুযায়ী প্যাকেজ সুবিধার ঋণ বিতরণ করবে।’ কৃষকরা ছোট ঋণ নিয়ে পরিশোধ করলেও তাদের ঋণ বিতরণেও ব্যাংকের গড়িমসি কেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব ঋণই পরিশোধ করার শর্তে গ্রহণ করে থাকে গ্রহীতারা। কিন্তু বিবেকবোধ কাজে লাগিয়ে কেউ সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করে, কেউ করে না। কৃষকরা সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু ঋণের শর্তের কারণে হয়তো অনেকে ঋণ পান না। কারণ ব্যাংকার-কাস্টমার সম্কর্কের ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণ দিয়ে থাকে।  বড় ঋণিরা ঋণ পরিশোধ না করেও সামান্য ডাউন পেমেন্ট করে আবার ঋণ নিচ্ছেন।

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনায় রপ্তানি-ভিত্তিক শিল্পের অর্ডার কমে যাচ্ছে। তাদের পণ্যের মূল্য কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ জন্য সময়মতো ঋণের কিস্তি দিতে পারছেন না হয়তো। কিন্তু তা দিতে হবে। কারণ ব্যাংক জনগণের আমানতের টাকাই ঋণ দিয়ে থাকে।’     

কোভিড-১৯ জনিত কারণে লকডাউন এবং কলকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, স্থবিরতা ও কর্মহীনতা দেখা দেয়। বাংলাদেশও এর প্রভাবমুক্ত ছিলো না। সরকার করোনার প্রকোপ ঠেকাতে জনগণকে ঘরে রাখার জন্য ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে ছুটি ঘোষণা করে।

উদ্ভূত সঙ্কট মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করে দ্রুত পুনর্গঠন এবং অর্থনীতির গতি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি একটি সামগ্রিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আওতায় সামাজিক সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সংবলিত মোট গত এপ্রিলে এক কোটি ২০ লাখ টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কার্যকর করতে অর্থাৎ সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ কার্যকর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংকগুলো যাতে তারল্য সংকটে না পড়ে সে জন্য দুই দফা সিআরআর (কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্ধারিত অর্থ জমা) কমিয়ে চার শতাংশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রহণ করা ঋণের (রেপো) সুদ কমিয়ে চার শতাংশ করা হয়েছে।

১৭ বছরের বেকর্ড ভেঙে ব্যাংক রেটের সুদও কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। ঋণ-আমানতের সুদ ব্যবধান (স্ক্রেড) কমিয়ে তিন শতাংশে আনা হসেছে। খেলাপি ঋণ যাতে না বাড়ে সে জন্য কিস্তি আদায় স্থগিত করা হয়েছে। সামান্য ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিলেরও সুযোগ করে দেয়া হয়েছে শিল্পোদ্যোক্তাদের।

ছয় মাসেরও বেশি সময় চলে গেছে। তারপরও প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন কাঙ্ক্ষিত হারে গতি পাচ্ছে না। দীর্ঘ এই সময়ে পোশাকশিল্পের কর্মীদের বেতন ছাড়া সব প্যাকেজেই ঋণ বিতরণ অর্ধেকেরও কম। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বারবার তাগিদ দেয়ার পর সময় ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

তারপরও সন্তুষ্ট নয় অর্থমন্ত্রণালয়। অপরদিকে, বিশ্বের বিািভন্ন মেধে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। অনেক দেশে লকডাউন শুরু করেছে। তা আমলে নিয়ে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য ঘোষিত এসব প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন হার ত্বরান্বিত করতে তৎপর হয়ে উঠেছে অর্থমন্ত্রণালয়।

 প্রণোদনা প্যাকেজগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার কর্মসৃজন ও কর্মসুরক্ষার, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, লক্ষ্যাভিত্তিক জনগোষ্ঠী, ব্যবসায়ী, কৃষক ও রপ্তানিমুখী শিল্পে কর্মরত কর্মী এ প্রণোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন।

তাই এই প্রণোদনা কর্মসূচির বিভিন্ন দিক ও দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এর অবদান বিষয়ে সর্বমহলে অধিকতর সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ তিন দিনের সংলাপের ব্যবস্থা করেছে। গত ২৬ নভেম্বর এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার গত বৃহস্কতিবার অনুষ্ঠিত প্রণোদনা সংক্রান্ত বৈঠকে বলেছেন, ‘সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজে যে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তাতে, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন দেয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল দেয়া হয়েছিল। এক হাজার ৯৯২ পোশাক শিল্পের ৩৫ লাখ শ্রমিক-কর্মচারীকে এ তহবিলের পুরো অর্থ দেয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে মোটেই সম্ভব হয়নি।

 কারণ ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার মধ্যে গত অক্টোবর পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকার ঋণ দেয়া হয়েছে। রপ্তানি খাতে সহায়তার জন্য এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (ইডিএফ) ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে গত অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ৩০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।  

এদিকে রপ্তানি খাতের আরেক প্রণোদনা প্যাকেজ প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রি-ফাইন্যান্সিংয়ের পাঁচ হাজার কোটি টাকার মধ্যে অক্টোবর পর্যন্ত ৪৯ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে।

অপরদিকে দেশের অর্থনীতিতে সব চেয়ে দৃশ্যমান কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের (সিএমএমএমই) জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ। শিল্প মন্ত্রণালয় পর্যন্ত এ খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ বাড়াতে তৎপর হয়েছে।

তারপরও ঋণ বিতণের হার খুবই কম। অক্টোবর পর্যন্ত ছয় হাজার ৬২৭ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ঋণ পেয়েছে ৪৮ হাজার ৫৩০টি এসএমই প্রতিষ্ঠান। করোনায় সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়ে কর্মহীন দরিদ্র মানুষ। তাই সরকার তাদের জন্যও খাদ্যসহায়তা করতে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা ঘোষণা করে।

গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৬৭ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এখনো এক হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা বিতরণ বাকি রয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার-নার্স ও চিকিৎসাকর্মীদের দুই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ সম্মানী প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়।

এ খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কোনো অর্থ বিতরণ করা হয়নি। তবে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণের জন্য ৭৭০ কোটি টাকা প্রণোদনার পুরোটাই ব্যয় হয়েছে। এতে ১৮ লাখ গরিব মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

আর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বাইরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ আড়াই হাজার টাকা দেয়ার জন্য এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হলেও ৮৮০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এখনো ৩৭০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়নি।

এছাড়া গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হলেও মাত্র এক হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ দেয়া হয়েছে। এখনো দুই হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়নি।

করোনার ধকল থেকে রক্ষা করতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরকার ১১২টি উপেজলায় শতভাগ বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ৮১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ২৩ কোটি টাকা। এখনো বিতরণ বাকি ৭৯২ কোটি টাকা।

গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেয়া কর্মসূচির আওতায় দুই হাজার ১৩০ কোটি টাকার প্যাকেজের মধ্যে এক হাজার ১৬০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। বিতরণ সম্ভব হয়নি ৯৭০ কোটি টাকা। পাশাপাশি কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ৮৬০ কোটি টাকার ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়।

করোনায় সব কিছু স্থবির হলেও কৃষকরা ঠিকই মাঠে কাজ করে ফসল ফলিয়েছেন। তাই তাদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করলেও প্রায় ৯০ হাজার কৃষকদের মাত্র দুই হাজার ২৬৮ কোটি টাকা বা ৪৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়া কৃষিকাজ যান্ত্রিকীকরণ তিন হাজার ২২০ কোটি টাকা প্যাকেজের মধ্যে ১৬৮ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের সার ও বীজের জন্য ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।

অক্টোবর পর্যন্ত ৭ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়নি। শস্য ও ফসল চাষের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার কৃষি রিফাইন্যান্সিং স্কিম চালু করা হয়েছে। অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার ২৬৯ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পেশাজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তিন হাজার ৩৭০ কোটি টাকার একটি স্কিম ঘোষণা দিয়েছে। এ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৬৪৮ কোটি টাকা, বিতরণ বাকি আছে দুই হাজার ৭২২ কোটি টাকা।

সূত্র মতে, প্রণোদনা প্যাকেজ কার্যকর করতে অর্থমন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিতীয় সভাটি হবে ৩ ডিসেম্বর। সর্বশেষ তৃতীয় সভাটি হবে ১০ ডিসেম্বর। যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত প্রণোদনার সুবিধা পান।

আমারসংবাদ/এআই