Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অকল্পনীয় সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ২৮, ২০২০, ০৬:০০ পিএম


বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অকল্পনীয় সাফল্য

স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের ১১ বছরে দেশের বিভিন্ন খাতে অর্জিত সফলতা ঈর্শ্বনীয়। তবে সফলতার পথে এই অগ্রযাত্রায় দেশের বিদ্যুৎ খাত রয়েছে সর্বাগ্রে। দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তিই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। ক্ষমতায় এসেই যে কারণে এই খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বর্তমান সরকার। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রহণ করে বহুমুখী পরিকল্পনা।

যেসব পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই আজ দেশের ৯৭.৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে ইতোমধ্যেই বিদ্যুতের আওতায় আনতেও সক্ষম হয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, গ্যাসেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এমন সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।

‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ স্লোগান সামনে রেখেই শতভাগ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার যে বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে তার সফল বাস্তবায়ন করতে নিরলস কাজও করে চলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া এখন আর স্বপ্ন নয়। বিদ্যুতের পাশাপাশি গ্যাসেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের পথে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের কারণে এখন আর আগের মতো গ্যাস নিয়েও নেই কোনো অভিযোগ।

২০০৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেই উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা করে। ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে তৈরি করে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্টদের একনিষ্ঠতায় নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই মুজিববর্ষের মধ্যে গ্রিড এলাকা শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতেও সক্ষম হবে।

পাওয়ার সেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০০৯-১০ সালের চ্যালেঞ্জ ছিলো এক রকম। তখন উৎপাদনে স্বল্পতা ছিলো। গত তিন-চার বছরের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো কিভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা পৌঁছানো যায়। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে গিয়ে বর্তমান সরকার যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের দক্ষতায় বিদ্যুৎ বিভাগ আজ বারবার চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে এডিপি বাস্তবায়নও হচ্ছে শতভাগ।

করোনা পরিস্থিতিতেও এডিপি প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। মেগাপ্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উৎপাদনে নেয়ার লক্ষ্যেও নিরলস কাজ চলছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিরও প্রসার ঘটেছে। পাওয়ার সেলের মতে, বর্তমান প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দূরদর্শী নেতৃত্ব এ সফলতার নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছে অনেকটাই।

নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ৯৭.৫ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের নির্বাচনি ওয়াদা ছিলো শতভাগ বিদ্যুৎ এবং বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। মাত্র ১১ বছরে বিদ্যুৎ খাতে যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আধুনিকায়নে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাসের বিভিন্ন বিতরণী সংস্থা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের আধুনিকায়ন। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ই প্রথম এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার ইমপ্লিমেন্টের দিকে গেছে। এমনকি ভবিষ্যতে এই মন্ত্রণালয়কে পেপারলেস করার জন্য প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে।

সূত্র বলছে, পৃথিবীতে হোম সোলার সিস্টেমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বড় একটি প্রসারও হয়েছে। বর্তমানে ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম দিয়ে গ্রামীণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। ছাদ সৌরবিদ্যুৎ এবং ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়েও কাজ চলছে। বর্জ্য ও বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে গৃহীত উদ্যোগগুলোও এগিয়ে চলছে। বর্তমান সরকারের একটি বড় প্রচেষ্টা ছিলো সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা কিভাবে অল্প খরচে করা যায়।

সে লক্ষ্যে সস্তায় সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকার সোলার প্যানেল সিস্টেমের অর্ধেক খরচ ভর্তুকিও দেয়া শুরু করে। বাকি অর্ধেকের জন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডও (ইডকল) ঋণ দেয়। সে সুবাদেই সোলার প্যানেল এখন গ্রাহকদের কাছে সস্তায় পৌঁছে যাচ্ছে।

 এতে দেশে ঘটে গেছে সোলার প্যানেল ব্যবহারে বিপ্লব। প্রতিটি এলাকায় টিআর ও কাবিখা কর্মসূচির অর্ধেক টাকা সোলার প্যানেল বসানোর পেছনে ব্যয় করা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোলারের মাধ্যমে সেচ প্রকল্প গ্রহণ করেও সফলতা অর্জন করেছে সরকার।

এদিকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে ভূগর্ভস্থ লাইনে ঝড়-বৃষ্টিতেও যেনো বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত না হয় সেজন্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিদ্যুতের সব লাইন ভূগর্ভস্থ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এতে সিস্টেম লস কমে রাষ্ট্র ও জনগণের উপকার হবে।

এছাড়া স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমেও দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। দেশের সর্বত্রই আজ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেবা নিশ্চিত রাখতেই প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দূরদর্শী নেতৃত্ব আর নির্দেশনায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা।

বিদ্যুৎ খাতে বিগত ১১ বছরে সরকারের অর্জিত সফলতার অংশীদার এবং সফলতার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে স্ব স্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (বিইপিআরসি), টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা), বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর, পাওয়ার সেল, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড  (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি  লিমিটেড, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড ও বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সবকটি সংস্থার সমন্বয়ে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নেই গত ১১ বছরে দেশে স্থাপন করা হয়েছে ১২৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। ফলে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৫৪৮ মেঘাওয়াটে। মাথা পিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টায় উন্নীত হয়েছে।

বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ৪৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে গ্রিড সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দ মাত্র দুই হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৭ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। করোনা মহামারিতে সৃষ্ট বিপর্যয়েও সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার নিরলস পরিশ্রমে দুর্যোগকালীন সময়েও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা পাচ্ছে দেশের মানুষ।

২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাত অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বিদ্যুৎ বিভাগ মুজিববর্ষকে ‘সেবা বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ারও অঙ্গীকার করেছে।

এদিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ু্ল শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলেই দেশে জ্বালানি নিরাপত্তার গোড়াপত্তন ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন এবং জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ শুরু হয় এ সরকারের আমলেই।

কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন ল্যান্ড বেইজড এলএনজি স্থাপন, রশিদপুরে চার হাজার ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন কনডেনসেট ফ্যাকশনেশন প্ল্যান্ট ও অকটেন তৈরির জন্য তিন হাজার ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যাটালাইটিক রিফর্মিং ইউনিটও স্থাপন করে বর্তমান সরকার।

এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই লাখ ৬০ হাজার প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের কাজও চলমান রয়েছে।  বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি লংওয়াল টপ কোল কেভিং পদ্ধতিতে বর্তমানে গড়ে দৈনিক প্রায় তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন উন্নত মানের বিটুমিনাস কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে।

উৎপাদিত কয়লা বর্তমানে বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশের তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদের আবিষ্কার, উৎপাদন ও সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স), বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড, মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডসহ সংশ্লিষ্ট সবকটি সংস্থা।  

২০২৪, ২০৩০ ও ২০৪১ সালের সম্ভাব্য চাহিদা ও লক্ষ্য সামনে রেখে খাতটিকে আরও এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার। আর এরই মধ্য দিয়ে জ্বালানি খাতের দ্রুত উন্নয়ন করছে বিশ্বের এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ দশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

ওয়ার্ল্ড এনার্জি কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনেই উঠে আসে এমন তথ্য। ওয়ার্ল্ড এনার্জি ট্রিলেমা ইনডেস্ক-২০২০-এর তথ্য বলছে, জ্বালানি নিরাপত্তায় বাংলাদেশের স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৩৯। একই মানদণ্ডে বাংলাদেশের স্কোর পরিবেশগত টেকসইয়ে ৫৬ এবং জ্বালানি সরবরাহ ও প্রাপ্যতায় ৫০ দশমিক ৪।

আমারসংবাদ/এআই