Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

পারফর্মেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট নই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ৯, ২০২০, ০৭:১০ পিএম


 পারফর্মেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট নই

বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের পারফর্মেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট নন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মাদ মিথুন। নিজেরা ভালো করলেও দল ভালো করতে পারেন না আবার দল ভালো করলেও নিজেরা ভালো করতে পারেন না।

আসরে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে মিথুনের চট্টগ্রাম। আর শান্তর রাজশাহী আছে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে। টুর্নামেন্ট নিয়ে আমার সংবাদকে জানিয়েছেন তাদের অসন্তুষ্টির কথা। লিখেছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক রাজিবুল ইসলাম

বরিশালের কাছে হেরে যাওয়ায় বেশ হতাশা কাজ করছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মধ্যে। বোলারদের পারফর্ম্যান্সে হতাশ শান্তর মতে, এমন পারফর্ম্যান্স করে প্লে-অফে খেলা সম্ভব নয়। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২২০ রান জড়ো করেছিল শান্তর দল, যা এবারের আসরে আগে ব্যাট করে সর্বোচ্চ স্কোর। স্বাভাবিকভাবেই সহজ জয়ের আশা করছিল দল।

কিন্তু বরিশাল যে ম্যাচটি আট উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখে জিতে যাবে, সেটি হয়ত কেউই ভাবেননি। শান্তর কণ্ঠে তাই লুকিয়ে থাকল আক্ষেপ, হতাশা আর বোলিং নিয়ে অসন্তোষ। দল হেরে যাওয়ায় মূল্যহীন হয়ে পড়েছে নিজের শতকটিও, যদিও ব্যক্তিগত বিবেচনায় শান্তর কাছে এটি তার অন্যতম সেরা ইনিংস।

আমার সংবাদকে শান্ত বলেন, ‘ক্রিকেটে যেকোনো কিছু হতে পারে। কিন্তু আমরা যে রান করেছিলাম তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো। বোলাররা যদি ভালো বল করত আমরা জিততে পারতাম। সুপার ফোরে যাওয়া অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। আমাদের ম্যাচ জিততে হবে। ম্যাচ যদি না জিতি, নিয়মিত সুযোগ হাতছাড়া করি তাহলে আমার মনে হয় কোয়ালিফাই করার যোগ্যতা রাখি না।’ ‘যেভাবে গত চার-পাঁচটা ম্যাচ খেললাম, এভাবে খেললে কখনোই আমরা চার নম্বরে যাওয়ার যোগ্যতা রাখি না।

এরকম পরিস্থিতিতে বোলারদের কাছ থেকে আরও ভালো কিছু আশা করেছিলাম। ওরা চেষ্টা করেছে, হয়নি। এসব থেকে শিখতে না পারলেও ভবিষ্যতেও হয়তবা এমনই ফলাফল আসবে।’ অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম রীতিমতো উড়ছে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দলটি ছয় ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই জিতেছে, অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। বেক্সিমকো ঢাকার কাছে পা হড়কালেও জেমকন খুলনাকে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হারিয়ে ফের জয়ের ধারায় ফিরেছে দলটি।

অবশ্য দলের খেলোয়াড়রা দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও রান খরায় ভুগছে খোদ অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাট। প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের কাজ করে দিয়েছিলেন টপ অর্ডাররাই। বাকি চার ম্যাচে ব্যাট হাতে নামা হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী জ্বলে উঠতে পারেননি একটি ম্যাচেও। দল জিতলেও মিথুনের দুশ্চিন্তা তাই থাকছেই, আর সেটা নিজেকে নিয়ে।

আমার সংবাদকে মিথুন বলেন, ‘আমার দুশ্চিন্তা শুধু আমাকে নিয়েই। কারণ দলকে আমি পারফর্ম্যান্স দিয়ে যথার্থভাবে সহায়তা করতে পারছি না।

সত্যি বলতে দল আমার কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করে।’ ম্যাচে ব্যর্থ ছিলো চট্টগ্রামের টপ অর্ডার। মিডল অর্ডারে শামসুর রহমান দলের হাল ধরায় শেষ বলে আসে রোমাঞ্চকর জয়। তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পরও দলের এই অনবদ্য জয়ে ইতিবাচক দিক খুঁজছেন মিথুন। সেই সাথে প্রশংসা করেছেন ছন্দে থাকা বোলারদের।

মিথুন বলেন, ‘এরকম ম্যাচ জিতলে দল নতুন উদ্যাম পায়, সবাই আত্মবিশ্বাসী হয়। এটাকেই টিম ওয়ার্ক বলে। আগেও বলেছি, মুস্তাফিজও চার-ছক্কা মারতে পারে।’ ‘বোলারদের পারফর্ম্যান্সে অনেক খুশি। শুরু থেকেই শিশির ছিল। বোলাররা দেখিয়ে দিয়েছে তারা কতটা ভালো করতে পারে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আমাদের বোলাররা অনেক ভালো করছে। এই ম্যাচেও ভালো করেছে।’

আমারসংবাদ/এআই