মজিবুল হক লাজুক, পাবনা
জানুয়ারি ১৪, ২০২১, ০৫:১০ এএম
পাবনা নগরবাড়ী ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত যমুনা নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠায় যমুনা নদীর নাব্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
গত সাতদিন হলো দৌলতদিয়া ঘাট পার হয়ে মোল্লার চরে হাজার হাজার তেলবাহী ট্যাংক জাহাজ ও পণ্যবাহী জাহাজগুলো নদীতে নোঙ্গর করে আছে। এতে আগামী সাতদিনের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে তেল সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করবে। এদিকে নদীতে গিয়ে দেখা গেছে, বিআউডব্লিউটিএর চারটি ড্রেজার মেশিন নাব্য সংকট দূরীকরণের জন্য ঘটনাস্থল মোল্লারচরে পৌঁছেছে।
এখন পর্যন্ত তারা কোনো ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করতে পারেনি বলে বিআইডব্লিউটিএর একটি সূত্র জানায়। সূত্রটি আরও জানায়, এসব ড্রেজার মেশিনে ঘণ্টায় ১০-১৫ গ্যালন তেল শেষ হয়ে যায়। অথচ তারা ২৪ ঘণ্টা ড্রেজার মেশিন না চালিয়ে কিছু ত্রুটি দেখিয়ে খাতা-কলমে ২৪ ঘণ্টা মেশিন চালানো হচ্ছে বলে হিসাব দেখাচ্ছে। আর ২৪ ঘণ্টার জায়গায় দুই ঘণ্টা করে ড্রেজিং করছে। এতে আটটি ড্রেজারের হাজার হাজার লিটার তেল চুরি করছে বিআইডব্লিউটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
এদিকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সচিব বাহাউদ্দিন মাস্টার, সোলাইমান শেখ ও দৌলতদিয়া ঘাটের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু জানান, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নদীর নাব্য সংকট ফিরিয়ে না আনলে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেলবাহী জাহাজসহ সার, সিমেন্ট, কয়লা এবং অন্যান্য পরিবহনের জাহাজগুলো বন্ধ থাকবে।
এদিকে নগরবাড়ী ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ ইমান আলী জানান, প্রতিদিন আমরা জাহাজ থেকে মাল ও পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। যেমন বড় বড় জাহাজ থেকে ছোট ছোট ট্রলার দিয়ে মাল পরিবহন করে নগড়বাড়ি ঘাটে নিয়ে যাওয়া অনেক ব্যয়সাধ্য। কিন্তু আরও কতদিন যে এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে সেটা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তিত। তাই সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, অতি দ্রুত নদী ড্রেজিং করে যমুনা নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানাই।
আমারসংবাদ/জেআই