Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

এলএনজি ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১, ০৮:০০ পিএম


এলএনজি ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন
  • কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে ৬২৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার

কালো তালিকাভুক্ত সিঙ্গাপুরের কোম্পানি ভিটল এশিয়া পিটিই লি. থেকে ৬২৩ কোটি ৬৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৭ টাকার ৬৭ লাখ ২০ হাজার  এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এদিকে কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানির কাছ থেকে কেন এলএনজি কেনা হবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

গতকাল বুধবার বিকালে অনলাইনে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে দুটি প্রস্তাব ও ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত অনুমোদিত পাঁচটি প্রস্তাবের অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৯১ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৫১২ টাকা। মোট অর্থায়নের সম্পূর্ণই জিওবি থেকে জোগান দেয়া হবে।

তিনি বলেন, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে ষষ্ঠ এলএনজি কার্গোর আওতায় সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লি.-এর কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৩ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। একই সাথে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক সপ্তম এলএনজি কার্গোর আওতায় ঠরঃড়ষ অংরধ চঃব খঃফ, ঝরহমধঢ়ড়ৎব-এর কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩১২ কোটি ৬৫ লাখ ২৪ হাজার ২২৪ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।

এলএনজি কেনার জন্য নির্ধারিতদের ভিটল এশিয়া বিভিন্ন দেশে ব্লাকলিস্টেড, তাদের থেকে কেনা হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ব্লাকলিস্টেড না। বিভিন্ন দেশে তারা ব্যবসা করে আমাদের দেশে তো তারা ব্যবসাই করেনি এখনো। আমরা প্রকিউরমেন্ট করি আমাদের স্বার্থে। তারা সেখানে ব্লাকলিস্টেড হলে আমাদের তো ক্ষতি হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা যদি না পাই তাহলে তাদের যে সিকিউরিটি আছে সেটা প্রফিট হবে। সরবরাহ যখন করবে সেটার প্রেক্ষিতে তারা টাকা পাবে। ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে না। আমার জানা নেই তারা ব্লাক লিস্টেড। তবে ব্লাক লিস্টেড হলে তাদের কাছ থেকে নেবো কেন। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করবো, তারা দেখবে। আগামী সভায় এ বিষয়টি অবহিত করার জন্য চেষ্টা করবো। অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় লং টার্মে পাওয়া যায় না, সেজন্য স্পট থেকে আমরা কেনার চেষ্টা করছি। স্পট থেকে কেনা আমাদের নতুন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা স্পট পার্চেজ করিনি। আমাদের যেহেতু এলএনজি দরকার তাই স্পট থেকে কিনেছি। কিন্তু বিভিন্ন সোর্স থেকে আমাদের যে লং টাইম চুক্তি রয়েছে সেগুলো অব্যাহত রেখে বাড়তি চাহিদা মেটাতে স্পট পারচেজ থেকে কেনার চেষ্টা করছি। লং টার্মে একরকম দাম এবং স্পট থেকে কিনলে আরেক রকম প্রাইস।

এজন্য লং টার্মে যারা করে তাদের যে প্রাইসটা সেটা বিভিন্ন বিবেচনায় এবং লং টাইম বিবেচনায় দামটা নির্ধারণ করে। এতে তাদের লাভও হতে পারে আবার লোকসানও হতে পারে। স্পটে কেউ এনে রেখে দেয়, সেটা যখন যে বাজার দর যা আছে, এই মূল্য তালিকা অনলাইনেই পাওয়া যাবে। ডেইলি বেসিসে প্রাইস ওঠানামা করে। তাই আমরা ইমিডিয়েট প্রাইসে আমরা কিনছি। আমরা কেনার সময় বাজারে কেমন দাম আছে সেটা নির্ণয় করি।  খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় কি জানিয়েছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের যে চাহিদা সেটি আমাদের অবহিত করেছে। চাহিদায় তারা বলেছেন খাদ্য অধিদপ্তরের ২০২১ সাল পর্যন্ত চাহিদা এবং বর্তমানে মজুদ সম্পর্কে আমাদের অবহিত করেছে। আসলে এটি এই কমিটিকে অবহিত করার বিষয় নয়। তারা প্রকিউরমেন্টের জন্য খাদ্য শস্য পারচেজ করার কোনো বিষয় থাকলে তাহলে সেগুলো আমাদের কাছে নিয়ে আসে। পাশাপাশি পারচেজের সময় পুরো প্রপোজালটা আমাদের কাছে নিয়ে আসতে হবে, সেটি আমাদের এই কমিটির আওতায় পড়ে। আজকের বিষয়টি আমরা অবহিত হয়েছি কিন্তু কোনো আলোচনা করিনি।

আমারসংবাদ/জেআই