Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

মাতারবাড়ি ঘিরে উন্নয়ন পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৮:১০ পিএম


মাতারবাড়ি ঘিরে উন্নয়ন পরিকল্পনা
  • ভারত ও মিয়ানমারসহ আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা করছে জাপান। এই পরিকল্পনায় ঢাকাকে পাশে চায় টোকিও

মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্ব ভারত ও মিয়ানমারসহ আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা করছে জাপান। এই পরিকল্পনায় ঢাকাকে পাশে চায় টোকিও। এই পরিকল্পনা নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার হিরোশি সুজুকি। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা এই বৈঠকে কৌশলগত সম্পর্ক, রাজনৈতিক সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর, কানেক্টিভিটি, রোহিঙ্গা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাপান ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আলোচনা করেছে। সেখানে আমাদেরকে সম্পৃক্ত করতে চায় তারা।’ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিষয়ে জাপানের আগ্রহ রয়েছে এবং সেখানে উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প নেয়ার আগ্রহ রয়েছে তাদের জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটির বিষয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত, মিয়ানমার সব মিলিয়ে তাদের বড় পরিকল্পনার অংশ। আমরাও এটিতে শরিক হতে চাই এবং হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আশা করবো ২০২২ এই দুই দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় রচিত হবে এবং স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক স্থাপিত হবে। এর পাশাপাশি ব্যবসা, বাণিজ্যসহ অন্যান্য যে সম্পর্কগুলো রয়েছে এবং তাদের যে বিগ-বি পরিকল্পনা বিশেষ করে মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উন্নয়নে কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেভাবে তারা এগুচ্ছে।’ বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে চেষ্টা করছি, এই সম্পর্ককে কিভাবে স্ট্র্যাটেজিক লেভেলে উন্নীত করা যায় এবং এর উপাদানগুলো কী হবে; তারা মোটামুটি যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে।’ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনেক অনুষ্ঠান নেয়া হবে জাপানের সঙ্গে এবং এর মধ্যে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা যাতে সফর করতে পারেন সেই বিষয়টিও আছে বলে তিনি জানান।

রোহিঙ্গা বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি মিয়ানমার ক্যু-এর পরে কীভাবে আমাদেরকে অবস্থান নিতে হচ্ছে। আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি এবং তারা আমাদের অবস্থানকে বুঝতে পেরেছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যাবাসন এবং সেটিকে তারা সম্মান করে। এই প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।’

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যখন সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার যাবে তখন তাদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও টেকসই জীবন-যাপনের জন্য সহায়তা করার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোকে আমরা বিশেষ ভূমিকায় দেখতে চাই।’

আমারসংবাদ/জেআই