Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বেড়েছে পেঁয়াজ মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম


বেড়েছে পেঁয়াজ মুরগির দাম
  • এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, করলা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির কমেছে ডিম ও সবজির দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, করলা, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির। তবে ডিম ও সবজির দাম কমেছে। অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ভোজ্যতেল, গরু, খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকার বাজার ঘুরে এ চিত্রই দেখা গেছে।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, শালগম ২০, গাজর ২০-৩০, শিম ৪০-৫০, বেগুন ২০-৩০, করলা ৮০, ঢেঁড়স ৩০-৪০, পাঁকা টমেটো ২০, বরবটি ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০, ফুলকপি ২০-২৫, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। মিষ্টি কুমরার কেজি ২০-২৫, আলু ১৮, পেঁয়াজের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে।

হালিতে পাঁচ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০, কাঁচা মরিচ কেজি ৮০-৯০, পেঁপে ২০-৩০, খিরা ২৫-৩০, শসা ৩০-৪০, ভেন্ডি ৯০-১০০, মটরশুঁটি ৪০-৫০, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা। ১০ টাকা দাম কমে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া আদার কেজি ৬০-৭০, রসুন ৮০-৯০ টাকা।  প্রতি কেজি চিনি ৬৮-৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৫, মিনিকেট ৬৫, নাজির ৬৫-৬৮, স্বর্ণা চাল ৪৬-৪৭, পোলাওয়ের চাল ৯০-১০০ টাকায়। খোলা ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়।

পাঁচ টাকা দাম কমে মুরগির এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, ২০ টাকা কমে দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। পাকিস্তানি মুরগির ডিমের ডজন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি (কক) মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়।

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। খাসি ও বকরির মাংস ৭০০-৭৫০, গরুর মাংস ৫৫০, মহিষের ৫৫০-৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি রুই মাছ (আকারভেদে) ২৫০-৩৫০, মাগুর ৬০০, শিং (আকারভেদে) ৩০০-৪৫০, মৃগেল ১১০-১৫০, পাঙাশ ১২০-১৫০, ইলিশ (আকারভেদে) ৮৫০-হাজার টাকায়, চিংড়ি ৫০০-৬০০, বোয়াল ৪০০-৫০০, কাতল ১৭০-২৮০, ফোলি ৩০০-৪০০, পোয়া ২০০-২৫০, পাবদা ১৫০-২৫০, টেংরা ১৮০-২০০, টাটকিনি ১০০, তেলাপিয়া ১৪০, সিলভার কার্প ১০০-১৪০, দেশি কৈ ১৫০-৭০০, কাঁচকি ও মলা ২৫০-৪৫০, আইড় ৫০০, রিটা ২২০ ও কোরাল ৩০০-৫০০, গুড়া বেলে ১২০, রূপচাঁদা ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. মনু বলেন, লোকাল খামারিদের কাছে মুরগি নাই। এ কারণেই বাজারে মুরগির সংকট। বড় কোম্পানির পোল্ট্রি ফার্মগুলো মুরগির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। সে কারণে খুচরা বাজারে মুরগির দাম চড়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনার কারণে ছোট ছোট পোল্ট্রি ফার্ম অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। ছোট পোল্ট্রি ফার্মগুলো এখনো ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ ফার্মগুলোর মালিকরা এখন আর নতুন করে ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে না। এ কারণে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মুরগির উৎপাদন কম।

আমারসংবাদ/জেআই