Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

কারাগারে মৃত্যুতে রাজনীতি

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৮:৪৫ পিএম


কারাগারে মৃত্যুতে রাজনীতি
  • ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র প্রেস ক্লাব
  • মৃত্যু নিয়ে সমালোচনার ঝড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
  • প্রতিবাদে মুখর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা
  • মুশতাক কী পোস্ট করেছিলেন এখনো ধারণাই দিতে পারেননি তদন্তকারীরা -মাহফুজ আনাম, ডেইলি স্টারের সম্পাদক
  • মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর দায় সরকার তথা রাষ্ট্রকেই নিতে হবে -সৌভিক রেজা, অধ্যাপক, রাবি
  • মুশতাক আহমেদকে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে -মির্জা ফখরুল, বিএনপি মহাসচিব
  • আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত -মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক

লেখক, মধ্যপন্থি বিরোধী কণ্ঠস্বর এবং চলমান ঘটনার পর্যবেক্ষক ও সমালোচক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুতে উত্তপ্ত দেশ। রাজধানীসহ দেশব্যাপী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হচ্ছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। শাহবাগে বামপন্থি রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে শুক্রবার দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ও আটকের ঘটনার পর গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে ছাত্রদলের। এই ঘটনায় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মামুন খানসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।

এছাড়া লেখকের মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করায় আটকের ঘটনাও ঘটেছে। মুশতাকের মৃত্যুতে কষ্ট পেয়েছেন সরকারপন্থি ব্যক্তিরাও।

তার মৃত্যু নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, ‘মুশতাকের মৃত্যুতে যদি কারো গাফিলতি বা ত্রুটি থাকে, তাহলে তার তদন্ত করে বিচার করা দরকার।’

মৃত্যুর ঘটনা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এটাকে সরকার কখনই সমর্থন করে না।’

কারা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কারাগারে থাকা অবস্থায় একজন বন্দি কীভাবে মারা গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। বিশেষ করে কারাগারে চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য সব চিকিৎসা সুবিধা থাকার পরও মুশতাক আহমেদ হঠাৎ কীভাবে মারা গেলেন সে নিয়ে প্রশ্নের শেষ হচ্ছে না। উত্তপ্ত ছড়িয়েছে রাজনীতিতে। সরকারবিরোধী সবাই ঘৃণা ও ক্ষোভ জানাচ্ছেন। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ব্যক্তিরা বলছেন মুশতাকের মৃত্যুর দায় সরকারকেই নিতে হবে। এছাড়া সমালোচক মুশতাকের মৃত্যুতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক মাধ্যমে। এখনো মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, মুশতাকের অসুস্থতা হঠাৎ করে হয়েছে। কিন্তু আইনবিদরা বলছেন, একজন কয়েদির দেখভালের দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়, অবশ্যই তাদের জবাব দিতে হবে।

জানা গেছে, গত বছর মে মাসে র্যাব ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক মুশতাক, কার্টুনিস্ট কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তা সংগঠনের দিদার, মিনহাজসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। তাদের মধ্যে কিশোর ও মুশতাক গত ৯ মাস ধরে কারাগারে আছেন। মিনহাজ ও দিদার গত সেপ্টেম্বরে আদালত থেকে জামিন পান। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যু হয় মুশতাকের। মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনেও কঠোর অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।

ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র প্রেস ক্লাব : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ডাকা বিক্ষোভে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল পুলিশের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মামুন খানসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। পুলিশ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের জায়গা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। 

গতকাল রোববার সোয়া ১১টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হতে থাকে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসেছিলেন। সকাল ১১টায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল জাতীয় প্রেস ক্লাবের চত্বরে এসে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। পুলিশ তাকে অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ নেতারাও ছিলেন সেখানে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পরপরই সোহেল জাতীয় প্রেস ক্লাবের মূল গেট দিয়ে বাইরে এসে ফুটপাতে নেতাকর্মী নিয়ে সমবেত হন। তখন পুলিশ অ্যাকশনে যায়; শুরু হয় লাঠিপেটা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাব চত্বরে আশ্রয় নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। সেখান থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে কেউ কেউ। পরে পুলিশের একটি দল প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকেও লাঠিপেটা করে এবং কয়েক রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে। এই ঘটনার পরপর দ্বিতীয় দফায় আবারো ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাতে চেষ্টা করলেও পুলিশ আবারো লাঠিপেটা করে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের মারমুখী অবস্থানের মধ্যেও ‘মুশতাক হত্যার বিচার চাই’, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমাদের সাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। ছাত্রদলের বিক্ষোভ-সমাবেশ সামনে রেখে সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, জলকামানের গাড়ি, আর্মার্ড কার, প্রিজন ভ্যান মোতায়েন করা হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনে থাকা এটিএন বাংলার সিনিয়র ক্যামেরাপারসন মামুনসহ কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন। এছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় প্রেস ক্লাবের পাঁচ-ছয়জন কর্মচারী আহত হন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, সমাবেশের কোনো অনুমতি নেই। সাধারণ মানুষের যানচলাচল ও তাদের নিরাপত্তা বিধানে তারা কাজ করেছেন। উল্টো বিক্ষুব্ধরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট মেরেছে ও লাঠি নিয়ে আক্রমণ করেছে।

হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, পাঁচ-ছয়জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন হাসপাতালে আহত অবস্থায় আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ছাত্রদলের সমাবেশ করার অনুমতি ছিলো না। কেউ জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরে অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠান করতে পারে। কিন্তু জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করা যাবে না। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এখানে সমাবেশ করার জন্য ছাত্রদল কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা অনুমতি না নিয়ে প্রেস ক্লাবের ভেতর থেকে ৪০০-৫০০ জন কর্মীসহ সড়কে নেমে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। প্রেস ক্লাবের ভেতর থেকে ইটপাটকেল ছুড়ে মারা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের সাত থেকে আটজন সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া কয়েকজনকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এ হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেন সাজ্জাদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রেস ক্লাবের ভেতরে এত ইট নেই। এত ইট এলো কীভাবে? এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কিছু পোস্ট করেছিলেন এবং অন্যদের কিছু পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। এসব পোস্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারের অন্যান্য কিছু ব্যবস্থার বিষয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। এখানে অপরাধ কোথায়? তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো। কিন্তু এসব অপরাধের কোনো প্রমাণই দেননি তদন্তকারীরা। ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি আসলে কী পোস্ট করেছিলেন সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই দিতে পারেননি তদন্তকারীরা। আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা আছে যার কারণে ব্যক্তি স্বাধীনতা এখন ক্ষমতাসীনদের খেলার পুতুলে পরিণত হয়েছে। এসব ঘটনার যেন প্রতিকার নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অমানবিক ব্যবহার, কোনো কারণ না দেখিয়েই প্রায় ১০ মাস কারাবন্দি করে রাখা, ছয়বার জামিন আবেদন বাতিল করা, আইনের অন্ধকার গোলকধাঁধায় ঘুরানো এবং অন্যায়ভাবে লেখক ও ভাষ্যকার মুশতাক আহমেদের জীবনকে অন্ধকারের অতল গহ্বরে ঠেলে দেয়া ছাড়া আর কিছুই না। বাস্তবতা এতটাই নিষ্ঠুর এবং যুক্তির বাইরে যে, বেঁচে থাকাই যেনো অর্থহীন।

লেখক মুশতাক আহমেদকে কারাগারে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যারা স্বাধীনভাবে গণমাধ্যমে নিজের মতপ্রকাশের চেষ্টা করছে তাদের জীবনে নেমে আসছে এক ভয়ঙ্কর দুর্বিষহ পরিণতি। হয় তাদের গুমের শিকার হতে হচ্ছে নতুবা সরকারি হেফাজতে প্রাণ দিতে হচ্ছে। তার সর্বশেষ নির্মম শিকার হলেন মুশতাক আহমেদ। মূলত মুশতাক আহমেদের ওপর কারাগারে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মুশতাক লুটপাটকারী কিংবা কালোবাজারি, সন্ত্রাসী ও ডাকাত ছিলেন না। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের মেধাবী ছাত্র মুশতাক আহমেদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গিয়ে অকালে তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়া হলো।

মতপ্রকাশের কারণে একজন লেখককে এভাবে দিনের পর দিন আটকে রাখা এবং একপর্যায়ে তার মৃত্যুর দায় রাষ্ট্র, সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।

নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু নিয়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার-বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংগঠনটির এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস বলেছেন, মুশতাকের মৃত্যু বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের মধ্যে একটি শীতল বার্তা পাঠিয়েছে। ফেসবুকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিয়ে স্যাটায়ার বা ব্যাঙ্গ করার সমতুল্য হতে পারে না একটি মৃত্যু।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য রাষ্ট্র দায়ী। রাষ্ট্র যাতে জবাবদিহিতা ছাড়াই এমন হত্যাকাণ্ড না চালাতে পারে সে বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর দায় সরকার তথা রাষ্ট্রকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া। ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ‘মুশতাকের মৃত্যুর দায় সরকার তথা রাষ্ট্রকেই গ্রহণ করতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই মর্মান্তিক ঘটনার বিচার জরুরি।’

আমারসংবাদ/জেআই