হাজী সেলিমের স্ত্রীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত

ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগম মারা যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড বাতিল (অ্যাভেট) করেছেন হাইকোর্ট। তবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখার রায়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির বলেন, হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা মারা যাওয়ায় তাকে সাজা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে গুলশান আরার নামে থাকা ৮৬ প্লট বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে দিতে বলেছেন আদালত। এছাড়া এ মামলা সংশ্লিষ্ট হাজী সেলিমের সব সম্পদও বাজেয়াপ্ত হবে।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, দুদক আইনে (২৬ এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজী সেলিমকে তথ্য গোপনের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, দুদক এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে হাজী সেলিমকে জ্ঞাতআয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগে তার সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশের রায় দিয়েছেন আদালত। এরপর বিচারিক আদালত যেদিন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাবে সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। আর আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে বলা হয়েছে। যেসব সম্পত্তি নিয়ে এ সাজা দেয়া হয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চলে যাবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ নভেম্বর রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গুলশান আরা। তিনি হাজী সেলিমের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন। এছাড়া অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার (বর্তমানে কাউন্সিলর) ছিলেন।

আমারসংবাদ/জেআই