Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

দেশে আইসিইউ সংকট চরমে

মাহমুদুল হাসান

এপ্রিল ৭, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম


দেশে আইসিইউ সংকট চরমে
  • হাসপাতালে বেড সংখ্যা যতই বৃদ্ধি করা হোক স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কোনো কিছুতেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না- জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ অবস্থা। দ্বিতীয় ঢেউয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শনাক্ত-মৃত। বিশ্বজুড়ে শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের সঙ্গে দেশে রসদ জুগিয়েছে ইউকে, আফ্রিকা ও ব্রাজিলে শনাক্ত নতুন ভ্যারিয়েন্ট (করোনার নতুন ধরন)। প্রতিদিন সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃতের রেকর্ড ভাঙছে। গতকাল সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুও ষাটের ওপরে। সংক্রমণ বেপরোয়া গতিতে ছড়িয়ে পড়ায় ভিড় জমছে হাসপাতালে। রাজধানীর কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আইসিইউ নিয়ে হাহাকার। রাজধানীর ১০ হাসপাতালে ফাঁকা নেই আইসিইউ বেড। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে নেই আইসিইউ বেড।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সক্ষমতার দ্বিগুণ করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। বিএসএমএমইউতেও অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছে। রাজধানীর অধিকাংশ হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য বেড ফাঁকা নেই। নতুন ঢেউয়ে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা বেশি সংকটাপন্ন। তাই অক্সিজেন ও আইসিইউ চাহিদা চরমে। ফলে দেশজুড়ে অক্সিজেন সরবরাহ সংকট না হলেও আইসিইউ সংকট চরমে। সংকট কাটাতে ইতোমধ্যে মহাখালীতে একটি মার্কেটে এক হাজার সাধারণ বেড ও দুইশ আইসিইউ বেডের অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হচ্ছে। সেই সাথে আর্মি স্টোডিয়াম, সরকারি তিতুমীর কলেজ ও ঢাকা কলেজে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের আলোচনা চলছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশকিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কোনো প্রস্তুতিই মহামারি মোকাবিলায় কাজে আসবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সারা দেশে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৯ হাজার ৯১৮টি কোভিড ডেডিকেটেড সাধারণ বেড রয়েছে। তারমধ্যে মধ্যে চার হাজার ৭৭৫টিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। ফাঁকা আছে পাঁচ হাজার ১৪৩টি। এসব হাসপাতালে আইসিইউ বেড আছে মাত্র ৬০২টি। সেখানে ফাঁকা আছে ১৬৯টি। ভর্তি আছে ৪৩৩টিতে। তার মধ্যে রাজধানীর ১৯ হাসপাতালের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে সরকারি-বেসরকারি ১৯ হাসপাতালে তিন হাজার ৫৫০টি সাধারণ বেড ও ৩০৫টি আইসিইউ বেড রয়েছে। তারমধ্যে তিন হাজার ১২২টি সাধারণ বেডে রোগী ভর্তি আছে। ফাঁকা আছে ৪২৮টি। আর আইসিইউ বেডের মাত্র ২০টি ফাঁকা আছে। ১০ হাসপাতালের একটিতেও বেড ফাঁকা নেই। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য নেই কোনো আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা। কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ১৬৯টি সাধারণ বেড ও ১৬টি আইসিইউ বেড রয়েছে। সেখানে ১১টি সাধারণ বেড খালি থাকলেও একটিও আইসিইউ বেড নেই ফাঁকা। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আরও ভয়াবহ চিত্র। সেখানে ২৭৫টি সাধারণ বেড বরাদ্দ থাকলেও রোগী ভর্তি আছে অতিরিক্ত ১৩৬ রোগী নিয়ে ৪১১ জন। ১০ আইসিইউ বেডের নেই একটিও ফাঁকা। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৪০ সাধারণ বেডের পাঁচটি ফাঁকা আছে। ১৬ আইসিইউ বেডের ১৪টিতেই রোগী ভর্তি আছে। সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ৯৪টি সাধারণ বেডে ৬৯ জন রোগী ভর্তি হলেও ছয় আইসিইউ বেডের নেই একটিও ফাঁকা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দুই ও বার্ন ইউনিটে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি। সেখানে ৮৮৩টি সাধারণ বেডের ৬৯৪টিতেই রোগী ভর্তি।

অন্যদিকে ২০টি আইসিইউ বেডের নেই একটিও ফাঁকা। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১০টি সাধারণ বেডের ৩০৪টিতেই রোগী ভর্তি। ১৯ আইসিইউ বেডের রয়েছে একটি ফাঁকা। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯০ সাধারণ বেডের মাত্র ১৫ বেড ফাঁকা আছে। অন্যদিকে ১০ আইসিইউ বেডের ছয়টি ফাঁকা আছে। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ৪৮৫ সাধারণ বেডে ৩০৯ জন রোগী ভর্তি আছে। ১৫ আইসিইউ বেডের মাত্র একটি ফাঁকা আছে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের ১০ বেডের ৯টি বেড ফাঁকা। তবে সেখানে কোনো আইসিইউ বেড নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮০টি সাধারণ বেড থাকলেও সেখানে অতিরিক্ত পাঁচ রোগীসহ ১৮৫ রোগী ভর্তি আছে। ২০ আইসিইউ বেডের মাত্র একটি ফাঁকা রয়েছে। তার মধ্যে শুধু শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে দুটি, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয়টি,  রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে মাত্র একটি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আইসিইউ বেড ফাঁকা রয়েছে। 

৯ বেসরকারি হাসপাতালে ৮১৪টি সাধারণ বেড রয়েছে। তারমধ্যে ৬৮১ রোগী ভর্তি আছে। ফাঁকা আছে ১৩৩টি। সেই সাথে ১৭৩টি আইসিইউ বেডের মধ্যে মাত্র ৯টি বেড ফাঁকা আছে। তার মধ্যে ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৬টি সাধারণ বেডের একটিও ফাঁকা নেই। ২২ আইসিইউ বেডেও রোগী ভর্তি। একই চিত্র পুরান ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে। সেখানে ৬৪টি সাধারণ বেড ও ১৮টি কোভিড ডেডিকেটেড আইসিইউ বেড রয়েছে। যারমধ্যে একটি বেডও ফাঁকা নেই। ধানমন্ডি স্কয়ার হাসপাতালে ৬৫টি সাধারণ বেডের মধ্যে মাত্র পাঁচটি ফাঁকা আছে। ১৯ আইসিইউ বেডের মাত্র তিনটি ফাঁকা আছে। ইবনে সিনা হাসপাতালেও ভয়াবহ চিত্র। সেখানে ৬৭টি সাধারণ বেডের মধ্যে একটি ফাঁকা আছে। অন্যদিকে সাত আইসিইউ বেডের একটিও ফাঁকা নেই। ইউনাইটেড হাসপাতালের ৮০টি সাধারণ বেডের মাত্র ১৩টি ফাঁকা আছে। ২১ আইসিইউ বেডের মাত্র দুটি ফাঁকা আছে। এভার কেয়ারেও ২৮ সাধারণ বেডের ২৬টিতেই রোগী ভর্তি। ২১ আইসিইউ বেডের ১৯টিতেই মুমূর্ষু রোগী। ইম্পালস হাসপাতালে সর্বোচ্চ বেড রয়েছে। সেখানে আড়াইশো সাধারণ বেডের ১৬০টি ফাঁকা। ৫২ আইসিইউ বেডের নেই একটিও খালি। এ এম জেড হাসপাতালের ৯০ সাধারণ বেডের পাঁচটি ফাঁকা আছে। ১০ আইসিইউ বেডের নেই একটিও ফাঁকা। এছাড়াও বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৭৪ সাধারণ বেড ও ৯ আইসিইউ বেডের নেই একটিও ফাঁকা।  বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও একই চিত্র। সেখানে সরকারি-বেসরকারি সাতটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৬৬৭ বেড রয়েছে। সেখানে ৩৪৩টিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। ফাঁকা আছে ৩২৪টি। ৫১ আইসিইউ বেডের মধ্যে ২২টি বেড ফাঁকা আছে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইট, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালসহ চার সরকারি হাসপাতালে ৪০৬টি সাধারণ বেড রয়েছে। তারমধ্যে ২২৬টিতে রোগী ভর্তি ও ১৮০টি ফাঁকা রয়েছে। সেখানে থাকা ২৫ আইসিইউ বেডের মধ্যে ১৩টিতে রোগী ভর্তি ও ১২টি ফাঁকা। বেসরকারি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ও আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতালে ২৬১টি সাধারণ বেড আছে। সেখানে ১৪৪টি সাধারণ বেড ফাঁকা থাকলেও রোগী ভর্তি আছে ১১৭টিতে। অন্যদিকে ২৬ আইসিইউ বেডের ১০টি ফাঁকা থাকলেও ১৬টিতে রোগী ভর্তি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, সারা দেশে অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ১৪ হাজার ৫৭৩টি। এক হাজার ২২টি আছে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আছে ৮৯৭টি। এছাড়াও গতকাল কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৫৫৪ জনকে। এ সময় ছাড়া পেয়েছে এক হাজার ১১৫ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৭১৭ জনকে। তারমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ছয় লাখ ২০ হাজার ৩৭৩ জন এবং এখনও কোয়ারেন্টিনে আছে ৪৩ হাজার ৩৪৪ জন। অন্যদিকে গতকাল বুধবার আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৫৬৪ জনকে। এ সময় ছাড়পত্র পেয়েছে আরও ২৪২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে এক লাখ আট হাজার ৩৮৭ জনকে। তারমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ৯৪ হাজার ৪৮৪ জন এবং এখনো আইসোলেশনে আছে আরও ১৩ হাজার ৯০৩ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থা আরও সমৃদ্ধ করতে ইতোমধ্যে রাজধানীর মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেটে একটি হাসপাতাল স্থাপন করছি। সেখানে দুইশটি আইসিইউ বেড থাকবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে যেটা বিরল। সেখানে আরও এক হাজার সাধারণ বেড স্থাপন করা হচ্ছে। তবে বেড সংখ্যা যতই বৃদ্ধি করা হোক মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে তাহলে কোনো কিছুতেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। সরকারি নির্দেশনা মেনে না চললে আগামীতে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই নিয়ন্ত্রণহীন হতে পারে।

গতকাল সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত : সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজধানীসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ১২১টি আরটি পিসিআর ল্যাব, ৩৪টি জিন এক্সপার্ট ল্যাব ও ৮২টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবসহ মোট ২৩৭টি ল্যাবে গতকাল আরও ৩৪ হাজার ৬৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৩০টি নমুনা। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৫৬৫টি নমুনা। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫৩টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আরও ১২ লাখ ১৭ হাজার ৯১২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে নতুন করে আরও সাত হাজার ৬২৬ জনের নমুনায় করোনার উপস্থিতি মিলেছে। এ নিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ছয় লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জনে পৌঁছেছে। তার মধ্যে গতকাল সুস্থ হওয়া তিন হাজার ২৫৬ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৯ জনে। এছাড়াও করোনা গতকাল ৬৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় প্রাণহানি ঘটেছে ৯ হাজার ৪৪৭ জনের। গতকাল শনাক্তের হার ২২ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। দেশের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে তিন হাজার ৮৭১ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ রয়েছে। তার মধ্যে তিন হাজার ২৯৭ জন সুস্থ হয়ে উঠতেছে। সেই সাথে মৃত্যু হচ্ছে ৫৫ জনের। গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ আর নারী ২৪ জন। তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। তাদের মধ্যে ৪০ জনের বয়স ছিলো ৬০ বছরের বেশি, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, পাঁচজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিলো। মৃতদের মধ্যে ৪১ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, চারজন রাজশাহী বিভাগের, একজন বরিশাল বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের এবং দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৯ হাজার ৪৪৭ জনের মধ্যে সাত হাজার ৮২ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ৩৬৫ জন নারী। তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৩০৩ জনের বয়স ছিলো ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও দুই হাজার ৩২৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, এক হাজার ৫৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪৬৮ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৮৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৭০ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৯ জনের বয়স ছিলো ১০ বছরের কম। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৪৩৯ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ৬৯৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫১৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৯৭ জন খুলনা বিভাগের, ২৮০ জন বরিশাল বিভাগের, ৩৩২ জন সিলেট বিভাগের, ৩৮১ জন রংপুর বিভাগের এবং ২০৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

আমারসংবাদ/জেআই