Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর সরকার

সাইফুল ইসলাম

এপ্রিল ৭, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম


হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর সরকার
  • আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনে আপনাদের হাত পুড়ে যাবে -সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের
  • উসকানিমূলক কথাবার্তায় শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী আটক
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডবে ৪৫ মামলায় ৩০ হাজার আসামি
  • রিসোর্টে হামলায় মামুনুল হকসহ ৮৩ জনের নামে মামলা
  • বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের ঘটনায় মামুনুলসহ ১৭ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ভাস্কর্য ইস্যু থেকে শুরু করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বিরোধী আন্দোলনে বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ভাঙচুর ও সবশেষ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে স্ত্রী দাবি করা নারীসহ মামুনুল হক অবরুদ্ধের ঘটনার পর একাধিক মামলায় পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের বক্তব্যে হেফাজতের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের আঁচ করছেন সংশ্লিষ্টরা। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেও এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে।

এদিকে হেফাজতের সাম্প্রতিক অব্যাহত তাণ্ডবের বিরুদ্ধেও মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চিহ্নিত নাশকতাকারীদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি বিনা অজুহাতে কয়েকজন নিরীহ লোক প্রাণ হারিয়েছেন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা মাদ্রাসার ছাত্রের চেয়ে বহিরাগতই বেশি ছিলেন। সাধারণ মানুষ বেশি ছিলেন। আমরা কারো প্রাণহানি ঘটুক সেটাও চাই না। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি কঠোর অবস্থানে যাবো। প্রয়োজনে জেলাপর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। জেলাপর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে যেখানে যা প্রয়োজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা সে ব্যবস্থাই করবেন। 

হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারির বার্তা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ : অন্যদিকে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারির বার্তা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। হেফাজতের উদ্দেশে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম নামে একটি উগ্র সামপ্রদায়িক অপশক্তি দেশের বিদ্যমান স্বস্তি এবং শান্তি বিনষ্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে অব্যাহত তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে তা সহনশীলতার সব মাত্রা অতিক্রম করেছে। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনে আপনাদের হাত পুড়ে যাবে। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আছে বলেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিপরীতে আওয়ামী লীগ এখনো দায়িত্বশীল আচরণ করছে, দেখাচ্ছে সহনশীলতা। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনে আপনাদের হাত পুড়ে যাবে। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সামপ্রদায়িক অপশক্তির উসকানিদাতাদের তালিকা করে এদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দেশের জনগণের ধৈর্য ও সহনশীলতার একটা সীমা আছে! সীমা অতিক্রম করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডবে ৪৫ মামলায় ৩০ হাজার আসামি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে ৪৫টি মামলায় ৩০ হাজারেরও বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হরতালের দিন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরকারী আরমান আলিফ (২২)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ৪৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৪৫টি মামলায় ৩০ হাজারেরও বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত ৩২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে। হেফাজত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জ রিসোর্টে হামলায় ৮৩ জনের নামে তিন মামলা : পুলিশের ওপর হামলা ও রিসোর্টে ভাঙচুরের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে তিনটি মামলা হয়। পুলিশ বাদি হয়ে দুটি মামলা করেছে। আর সাংবাদিক বাদি হয়ে একটি মামলা করেছে। আর ওইদিন হেফাজত নেতা মামুনুল হককে আটক কিংবা গ্রেপ্তার কোনোটিই করা হয়নি। স্থানীয়রা তাকে ঘিরে ফেলায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে আনতে সক্ষম হয়। তবে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে। এ সময় হেফাজত কর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সড়কে অবস্থান নেন এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

উসকানিমূলক কথাবার্তায় শিশুবক্তা মাদানী আটক : রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক কথাবার্তা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল বুধবার নেত্রকোনা থেকে তাকে আটক করা হয়। রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক কথাবার্তা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানী নানা সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি রাষ্ট্রবিরোধী নানা উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। শিশুবক্তার এসব ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। যা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এতে জনমনে ভীতির সঞ্চার করেছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) ইমরান খান বলেন, গতকাল ভোরে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনার পূর্বধলা থেকে আটক করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে তাকে নেত্রকোনায় হস্তান্তর করা হবে। এ সময় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা হলে অবশ্যই থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে গতকাল সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা জায়গায় তার পরিচিত ও ভক্তরা অভিযোগ করে আসছিলেন, গতকাল বুধবার রাতে ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনার তার নিজ বাসা থেকে র‌্যাবের পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। এছাড়াও মাওলানা রফিকুল ইসলামের সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমাকে গুম করার চেষ্টা চলছে।’ এরপর দুপুরের দিকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী র্যাবের নিরাপত্তায় রয়েছে মর্মে নিশ্চিত হয়েছি। অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।’

তবে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর মুক্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম নেত্রকোনা জেলা শাখা ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আগামীকাল মানববন্ধনসহ কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। এবং মাদানীর বড় ভাই রমজান মিয়া বলেন, মাদানী গত সোমবার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিকান্দা গ্রামে আসে। গত মঙ্গলবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ওয়াজ মাহফিল শেষে রাতে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে দিবাগত রাত ২টার দিকে র?্যাব পরিচয়ে বেশ কয়েকজন বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। এর আগে ২৫ মার্চ রাজধানীর শাপলা চত্বরে মোদিবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই ‘শিশুবক্তা’কে আটক করে মতিঝিল থানা পুলিশ। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এই রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদ্রাসার পরিচালক। তিনি রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট হওয়ায় তাকে সবাই ‘শিশুবক্তা’ বলেন এবং এ হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি।

চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামের হামলায় আওয়ামী লীগ কর্মীর মৃত্যু : চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হকের ‘অনুসারীদের হামলায়’ আহত আওয়ামী লীগকর্মী মো. মহিবুল্লাহর (৫৪) মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বন্দরনগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টে মামুনুল হককে এক নারীসহ ঘেরাওয়ের ঘটনার পর রাঙ্গুনিয়ায় তার সমর্থনে কিছু লোক মিছিল বের করে। ওই মিছিল থেকে মহিবুল্লাহ, আব্দুল জব্বার ও দিলদার আজম লিটন নামে তিনজনের ওপর হামলা চালানো হয়। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত মহিবুল্লাহকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে তিনি মারা যান। রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কী বলেন, মহিবুল্লাহ, জব্বার ও লিটন সেদিন রিকশায় করে কোদালা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন মিছিল থেকে তাদের ওপর হামলা করা হয়। স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরাও সে মিছিলে ছিলেন। ওই ঘটনায় আহত আব্দুল জব্বার বাদি হয়ে একটি এবং পুলিশ বাদি হয়ে আরেকটি মামলা করে। দুই মামলায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৩০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে দুজন এজাহারভুক্ত আসামি।

বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের ঘটনায় মামুনুলসহ হেফাজতের ১৭ নেতার বিরুদ্ধে মামলা : রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় গত ২৬ মার্চ সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে মামুনুল হকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া দুই থেকে তিন হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মামুনুল হককে। পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও দুই থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদি খন্দকার আরিফুজ্জামান। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ২৬ মার্চ ঢাকায় পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফরের বিরোধিতা করে আসছিল হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি সংগঠন ও রাজনৈতিক দল।

আমারসংবাদ/জেআই