Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সাধারণ মানুষের সমর্থন কম

এপ্রিল ১০, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম


সাধারণ মানুষের সমর্থন কম
  • সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের বেতনের একটি অংশ দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের
  • মানুষের অর্থনৈতিক দায়িত্ব নেয়া ছাড়া লকডাউন বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন
  • লকডাউন নয়, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আর্থিক জরিমানার পক্ষে জনগণের বড় একটি অংশ
  • লকডাউনের সময়ে স্কুল-কলেজের বেতন বন্ধ, বিদ্যুৎ বিল মওকুফ দাবি

তৃতীয় দফায় পূর্ণ লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। এবারের লকডাউনে জনগণের সমর্থন খুবই কম। অতীতের দুর্বিষহ পরিস্থিতির কথা বলছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষসহ কেউ চাচ্ছেন না লকডাউন। সবাই বলছেন, মানুষের অর্থনৈতিক দায়িত্ব নেয়া ছাড়া লকডাউন কতটুকু কার্যকর হবে প্রশ্ন থেকে যায়। যদি সর্বাত্মক লকডাউন যথাযথভাবে কার্যকর না হয় তবে অর্থনীতি আর স্বাস্থ্য দুটিই একসাথে ভেঙে পড়বে। দাবি তোলা হচ্ছে, সরকারের উচিত লকডাউনের চিন্তা বাদ দিয়ে, মানুষকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করা। কারণ লকডাউন অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতি, বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছবে। নিম্ন আয়ের মানুষরা বলছেন, গত বছরের ধাক্কাটা এখনো তারা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এবার তাদের রাস্তায় নামতে হবে, না হয় মরতে হবে।

বিচক্ষণ জনগণের একটি অংশ থেকে দাবি উঠেছে, লকডাউনের বদলে দেশে সকল কর্মকাণ্ড ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস করার। সরকারি অফিসগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে চলবে, তখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা বন্ধ থাকবে। এটি শেষ হলে মার্কেট-শপিংমলগুলো চালু করবে। পরিবহন সার্ভিস, চিকিৎসাসেবা, আইনিসেবা, হাট-বাজার ইত্যাদি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এতে করে জনসমাগম হবে না। মানুষের চাপ থাকবে না। এভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সাধারণ মানুষও বেঁচে থাকবে আবার সরকারের ওপরও চাপ বাড়বে না। লকডাউনের সময়ে স্কুল-কলেজের বেতন বন্ধ, বিদ্যুৎ বিল মওকুফের দাবি তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়িভাড়া নিষিদ্ধ করা হোক— এমনো চান নিম্ন আয়ের মানুষ। এ ছাড়া যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের বেতনের একটি অংশ দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের।

পূর্ণ লকডাউন নিয়ে সাধারণ জনতা কামরুজ্জামান মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত লকডাউনের চিন্তা বাদ দিয়ে, মানুষকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করা। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠিনভাবে আর্থিক জরিমানা করতে হবে। আমাদের দেশের সরকার মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারে না, তাই এই দেশে কোনো লকডাউন কার্যকর হবে না। জনগণের সমর্থন ছাড়া লকডাউনে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে না। মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া, জোরপূর্বক কোনো লকডাউন সফল হয় না। এগুলো হলো বুদ্ধিহীন মানুষের পরিকল্পনাহীন চিন্তা-ভাবনা।’

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘দু’সপ্তাহ না দুই যুগ সময়ের জন্য লকডাউন করে দেন। শুধু সাধারণ মানুষদের তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করে তারপর লকডাউন দেন।’ রাকিবুল হাসান হূদয় বলেন, ‘লকডাউন নয় স্বাস্থ্যবিধির দিকে কঠোর হওয়া উচিত সরকারের। লকডাউন অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতি, বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া, মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। তাই ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এই পথে হাঁটা উচিত। লকডাউন লকডাউন এই মুখস্ত গবেষণাটি বাদ দেন স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর দেন।’ একটি জরিপ সূত্র উল্লেখ করে তৌফিক মাহমুদ শিশির বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিদিন গড় মৃত্যুহার ৩৩৭৩ জন, তার ৩৫ শতাংশ হলো চ্যারকুলারিটি প্রবলেম অথবা হার্ট ডিজিজ, ১০ শতাংশ হলো রেস্পারেটরি প্রবলেম এবং এর কিছু অংশ এখন করোনা রোগী। তৃতীয় বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল একটি দেশের জন্য লকডাউন কোনোভাবেই বাস্তবিক সমাধান নয়, উপরন্তু বিগত বছরের লকডাউন নিন্মবিত্তের, দিন আনে দিন খায় টাইপের মানুষকে অলরেডি নিঃস্ব করে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে আবার লকডাউন সামাজিক অবক্ষয় এবং তার সাথে আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেশে আরো দীর্ঘমেয়াদি জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি বয়ে আনবে।’

জিট বণিক বলেন, ‘লকডাউনের উপকারভোগী হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীরা। তারাই লকডাউনের পক্ষে। আমরা যারা ছোট ব্যবসায়ী মধ্যবিত্ত লোক, তাদের কথা চিন্তা করে সরকারের কাজ করা উচিত। কারণ মধ্যবিত্ত পরিবারকে সারা জীবন পৃথিবীতে নাটক করে বেঁচে থাকতে হয়!’

মামুন মৃদা বলেন, ‘যারা লকডাউন দিচ্ছে, তারা একবার রাস্তায় নেমে দেখুক গরিবের দু’বেলা ভাত জোগাতে কী পরিমাণ কষ্ট। সুতরাং স্বাস্থ্যবিধি কঠোর করা হোক বেশি করে, প্রয়োজনে যারা মানবে না, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক, তবে লকডাউন একদম নয়।’

নাঈয়ার লুপি বলেন, ‘মাননীয় সরকার, লকডাউনে না গিয়ে, দেশে আর্মি নামিয়ে দিন, লোকজন পুলিশের থেকে বেশি আর্মি ভয় পায়, আর্মি বারবার ঘোষণা দিয়ে মানুষকে সচেতন করবে, টহল দেবে— অবশ্যই লোকজন সচেতন হবে। কিন্তু লকডাউনে একটা বিশাল মধ্যবিত্ত সমাজ পথে বসে যাবে। তারা কারো কাছে হাত পাততে পারে না, শুধু উচ্চবিত্ত আর নিম্নবিত্তদের নিয়ে না ভেবে মধ্যবিত্তদের নিয়েও একটু ভাবুন। একমাত্র কঠোর সচেতনতা ছাড়া লকডাউন আমাদের মতো দেশের জনগোষ্ঠীর জন্য সমাধান হতে পারে না।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে অরনিমা ইসলাম বলেন, ‘লকডাউন দিচ্ছেন ভালো কথা, তাহলে দেশের বাজারগুলোকে সবার জন্য ফ্রি করে দেয়া হোক, স্কুলের বেতন বন্ধের ব্যবস্থা করা হোক, বাড়িভাড়া নিষিদ্ধ করা হোক, বিদ্যুৎ বিল নিষিদ্ধ করা হোক, এমন খরচগুলো থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক— তাহলেই হবে।’

 

সরকারি আমলাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নূর সোলায়মান বলেন, ‘প্রথম যারা সরকারি অফিস-আদালতে চাকরি করেন তাদের বেতন-ভাতা আধা করে গরিব অসহায় মানুষের সাহায্য করেন। তারপর দেখুন লকডাউন বিল পাস হয় কেমন করে। ঘরে বসে টাকা পায়, তাই মাথা ঠিক থাকে না, গরিবের কথা ভুলে যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয় এমন আইন-কানুন করুন। কিছুদিন লকডাউন দিলে কি করোনা চলে যাবে? মোটেই না, তাই জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে সব কিছুই নজরে রেখে মোকাবিলা করতে হবে।’

আবিদ হাসান বলেন, ‘মানুষের অর্থনৈতিক দায়িত্ব নেয়া ছাড়া লকডাউন কতটুকু কার্যকর হবে প্রশ্ন থেকে যায়। যদি সর্বাত্মক লকডাউন যথাযথভাবে কার্যকর না হয় তবে অর্থনীতি আর স্বাস্থ্য দুটিই একসাথে ভেঙে পড়বে।’

নুরুল আলম খান, ‘দয়া করে দরিদ্র ও নিম্ন মধ?্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে লকডাউনের পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধির ওপর অধিকতর কড়াকড়ি আরোপ করুন।’ রেজাউল করিম বলেন, ‘লকডাউন কি আসলেই দেশের মানুষের ভালোর জন্য নাকি দেশের গরিব মানুষদের মারার জন্য। প্রকৃতপক্ষে লকডাউনে বিন্দুমাত্র উপকার হবে না। যা হবে তা শুধু গরিব অসহায় মানুষের ক্ষতি।’

নাগিব মাহফুজুর রহমান দিপ্ত বলেন, ‘আগের বার লকডাউন দেয়ায় সংক্রমণ থামানো তো যায়ইনি, উল্টো অনেক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এসব লকডাউনের জন্য গরিব মানুষেরা করোনায় না মরলেও না খেতে পেরে ঠিকই মরবে। সংক্রমণ ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়ি করা, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে প্রয়োজনে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক, তবে লকডাউন একেবারেই নয়। স্বাস্থ্যবিধির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেই সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব, লকডাউন দিয়ে নয়।’

মুহাম্মদ তুষার বলেন, ‘গত বছরের ধাক্কাটা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এবার রাস্তায় নামতে হবে, না হয় মরতে হবে। মুহাম্মদ সাজু আহমেদ বলেন, ‘গত বছরের লকডাউন এ ব্যবসা বন্ধ ছিলো সেটার ক্ষতি তো আছেই। তারপর ধারদেনা করে যে পরিবার চালিয়েছি সেই ধারদেনার টাকা এখনো শোধ করতে পারিনি। এবার যদি গতবারের মতো কঠিন লকডাউন হয় তাহলে আর বাঁচার পথ থাকবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল হক বলেন, ‘লকডাউনের চিন্তা না করা উচিত! বেসরকা?রি প্রতিষ্ঠা?নের মা?লিকরা এই সুযোগটার অপেক্ষায় থাকে। ঈদের আগে তারা লকডাউন চে?য়ে?ছিল যাতে কর্মী?দের ব?ঞ্চিত কর?তে পা?রে। সরকার এটা কর?তে পা?রে না! লেট আস লিভ ফার্স্ট, দ্যান উই উইল নে?গো?শি?য়েট উইথ কো?ভিড নাইন?টিন উইথ আওয়ার ইমুউন সি?স্টেম।’

রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর দৃষ্টি রেখে ইসাত খান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে কাউকে আন্দোলন করতে দেখলাম না। সরকার ব্যস্ত জাতির পিতা নিয়ে, হেফাজত ব্যস্ত মোদি এবং মমিন মিয়া নিয়ে, আর বিএনপির তো কোনো খবরই নেই! সাধারণ মানুষের কষ্ট কেউ-ই বুঝে না!’

মনির আহমেদ রাজু বলেন, ‘বাস বন্ধ থাকতে আমরা প্রাইভেট-পাবলিক সিএনজিতে পাঁচজন করে যাতায়াত করছি! তাই মাননীয়দের কাছে আবেদন, বন্ধ করলে সব একসাথে করেন, না হয় সব একসাথে খুলে দেন।’

মোহাম্মদ জামান বলেন, ‘যথাযথ সম্মান রেখেই বলছি, ভুল হলে ক্ষমা করবেন, বাঁচার চেয়ে ব্যবসা বড় না হলেও বাঁচতে হলে টিকে থাকতে হলে ব্যবসা করতে হবে। এসি রুমে থেকে মধ্যবিত্ত মানুষদের দুঃখ বুঝবেন না। আপনারা আছেন মাস্ক আর সামাজিক দূরত্ব নিয়ে। এদের পরিবার কিভাবে চলবে? বাসা ভাড়া কিভাবে দেবে? এদের পরিবারের মাসিক খরচের ৫০ ভাগ কি আপনারা দেবেন? ওদের বাড়ির মালিকদের ওপর প্রেশার দিয়ে এক মাসের ভাড়া মওকুফ করাতে? যে সমস্ত সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের বুঝিয়ে দাম কমাতে পারবেন? মাস্ক আর সামাজিক দূরত্ব দিয়ে ক্ষুদার জ্বালা মিটবে না। সবকিছুই ঠিকঠাক চললেও দোকান বন্ধ করার জন্য কিছু লোক উঠেপড়ে লেগেছে। যে দেশে ৭০ শতাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত সেই দেশে দোকান বন্ধ করার আগে তাদের মাসিক খরচ নিশ্চিত করুন।  আপনার ছোট বাচ্চা ক্ষুদায় কান্না করছে আর আপনি দোকান বন্ধ থাকায় ইনকাম করতে পারছেন না, তখন কী করবেন? তাহলে শত কোটি টাকা খরচ করে ভ্যাক্সিন আনার কী দরকার ছিলো!’

সিদরাতুল মুনতাহা বলেন, ‘কেন এ লকডাউন— যদি কয়েকজনের মৃত্যু ঠেকাতে লকডাউন দেয়া হয় তাহলে প্রতিদিন গড়ে যে আড়াই সহস্রাধিক মানুষ স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, শ্বাসকষ্টজনিত ও অন্যান্য রোগের কারণে মারা যাচ্ছে সে জন্য কী ব্যবস্থা নেবেন? করোনা আছে বলে এতদিন স্কুল-কলেজ খোলা হয়নি, কিন্তু লকডাউন দেয়া হয়নি। রোজা আসার সাথে সাথে লকডাউন দেয়া বেশি জরুরি হয়ে গেল?’

মুহাম্মদ মাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘করোনায় যত মানুষ মরবে তার চেয়ে বেশি মরবে না খেয়ে। প্রথমে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো লকডাউন দিয়ে করোনা মোকাবিলা করতে পারেনি। যেখানে আমাদের দেশে সাত-আট কোটি মানুষ দিন এনে দিন খায় এই লোকগুলো কখনো লকডাউন মানতে পারবে না। কারণ ক্ষুদার জ্বালা আগে করোনা পরে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ মানুষের জীবন জীবিকা সচল রেখে স্মার্টলি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করা।’

রাকিবুল হাসান বলেন, ‘লকডাউন তারাই মানতে পারবে যাদের খাবারের চিন্তা করতে হবে না! তাই যারা দিনমজুর তাদের ঘরে ঘরে খাবার দিয়ে আসারও ব্যবস্থা করতে বলেন! আর লজ্জায় যেসব নিম্নমধ্যবিত্তরা সাহায্য চাইতে পারে না তাদের ঘরে ঘরেও খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন! তা না হলে এসব লকডাউন দেয়ার কোনো মানেই হয় না!’

সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান খান আমার সংবাদকে বলেন, ‘লকডাউন দিলে অবশ্যই নিম্নআয়ের মানুষ বড় বিপদে পড়বে। বিশেষ করে ছোট পুঁজির ব্যবসায়ী, রিকশাচালক, ভাসমান মানুষ এ শ্রেণির লোকরা অসুবিধায় বেশি পড়বে।’

আমারসংবাদ/জেআই