Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

কঠোর লকডাউনেও চলবে পুঁজিবাজার

এম এ আহাদ শাহীন

এপ্রিল ১০, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম


কঠোর লকডাউনেও চলবে পুঁজিবাজার
  • কোভিড-১৯ মহামারিকালসহ সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালীন ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের সব লেনদেন যথাবিহিত অব্যাহতভাবে চালু থাকবে

সরকারের কঠোর লকডাউনেও পুঁজিবাজার খোলা রাখার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি জানিয়েছে, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে। ব্যাংকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না এলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন এবারো তারা ব্যাংক খোলা রাখবেন।

গতকাল শনিবার বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম এক ক্ষুদে বার্তায় বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারিকালসহ সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালীন ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের সব লেনদেন যথাবিহিত অব্যাহতভাবে চালু থাকবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার মুখপাত্র শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকের লেনদেনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তবে আমরা আভাস পেয়েছি, এখন যেভাবে আড়াই ঘণ্টা লেনদেন চালু আছে, সেভাবেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে লেনদেন দুই ঘণ্টাই চালু থাকবে।’ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ গত বছরের চেয়ে বেশি হারে বৃদ্ধি এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার শুরু হয় সাতদিনের লকডাউন। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস চালু থাকা, যানবাহন চলতে থাকা আর মানুষের ঘরের বাইরে আসার প্রবণতায় লকডাউন আদৌ আছে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এর মধ্যে আবার বিপণিবিতান চালু হয়েছে, মহানগরগুলোতে চলছে বাসও। খোলা আছে পুঁজিবাজারও। লেনদেন চলছে দুই ঘণ্টা। তবে বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউসে যেতে পারে না। তাদের অর্ডার দিতে হয় মোবাইল বা অ্যাপে। এর মধ্যে গত শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়— ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দেয়া হবে। এবার জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে, কোনো গাড়িও চলতে দেয়া হবে না। কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে ঘরের বাইরে যাওয়াও। আর আজ রোববার প্রজ্ঞাপন জারি হলে বিস্তারিত জানা যাবে। লকডাউন কঠোর হলে ব্যাংকের কী হবে, এই প্রশ্নের জবাব জানতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সেবা। এ সেবা দিতে আমরা বাধ্য এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে, কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায়, সেটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিএসইসির অবস্থান বিবেচনায় নিলে বলাই যায়, কঠোর লকডাউনেও চালু থাকছে পুঁজিবাজার। তবে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসতে আজ রোববারের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া উপায় নেই।

চলমান লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। অফিসের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে বেলা ২টা পর্যন্ত। কঠোর লকডাউনে সময়সীমা কী হবে, সে সিদ্ধান্ত আজ রোববার জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর বিএসইসি জানিয়েছে, ব্যাংকের সময়সীমার ওপর ভিত্তি করেই পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় নির্ধারিত হবে।

আমারসংবাদ/জেআই