Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

খোলা থাকবে শিল্পকারখানা

জাহাঙ্গীর আলম

এপ্রিল ১১, ২০২১, ০৮:০৫ পিএম


খোলা থাকবে শিল্পকারখানা
  • দেশ ও জনগণের স্বার্থে শিল্পকারখানা খোলা রাখা দরকার। তা না হলে একদিকে বাজার হারাবে, অন্যদিকে কর্মীরা গ্রামে চলে গেলে করোনায় আক্রান্ত হবে। ঈদে বেতন ও বোনাস পেতে সংকটে পড়বে কর্মীরা

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাংলাদেশেও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেও ঠেকানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে সরকার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে আবার এক সপ্তাহের জন্য কঠোরভাবে লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শিল্পমালিকরা সেবা খাতের মতো সব শিল্পকরখানা খোলার রাখার দাবি জানালে তা যৌক্তিক বলে সরকার তাতে রাজি হয়েছে। এর ফলে সারা দেশের সব শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পোশাকশিল্প মালিকদের আশ্বস্ত করেছে। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সভা শেষে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

তৈরি পোশাক শিল্পমালিকরা জানান, দেশ ও জনগণের স্বার্থে শিল্পকারখানা খোলা রাখা দরকার। তা না হলে একদিকে বাজার হারাবে। অন্যদিকে কর্মীরা গ্রামে চলে গেলে করোনায় আক্রান্ত হবে। ঈদে বেতন ও বোনাস পেতে সংকটে পড়বে কর্মীরা। এসব দাবি তুলে গতকাল বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভা করেন পোশাকশিল্প ব্যবসায়ীরা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় মোহাম্মদ হাতেম ছাড়াও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান ও বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী অংশ নেন।

জানতে চাইলে আমার সংবাদকে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, জীবন ও জীবিকার দিক বিবেচনায় আমরা সরকারের কাছে কিছু দাবি তুলে ধরেছি। আমাদের দাবি যুক্তিযুক্ত মনে করে মেনে নিয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হবে ১৪ এপ্রিল থেকে। তাতে দেশের সব শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। লিংকেজ শিল্পকারখানাও চলবে। শুধু আমাদের পোশাকশিল্প নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যে সব কারখানা রয়েছে সেখানেও উৎপাদন অব্যাহত রাখা হবে। এসব কারখানায় কাঁচামাল সরবরাহকারী যানবাহনও চলাচল করবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংক বন্ধ থাকলেও মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যাংকগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় আমদানি-রপ্তানি সেবার ব্যবস্থা করা হবে। তা না হলে কাঁচামাল আনবো কিভাবে। রপ্তানি করবো কিভাবে। এলসি খোলার ব্যবস্থা থাকতেই হবে। ৯০ শতাংশ শ্রমিক কারখানার আশপাশে থাকেন। তাই লকডাউনে যাতায়াতে শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে কারখানায় অফিস করতে পারবেন। তারা ভালো থাকবেন। যদি লকডাউন এক সপ্তাহের বেশি হয় তখন সাত দিন পরে ব্যাংক খোলা থাকবে। রপ্তানিকারকদের সংগঠন ইএবির সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ. সালাম মুর্শিদী বলেন, লকডাউনে কারখানা বন্ধ থাকলে রপ্তানি হবে না। এতে বাজার হারাতে হবে। জাতীয় শিল্প পোশাক খাত হলেও আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হয়। কারণ লকডাউনে প্রতিযোগী দেশ ভারত-ভিয়েতনামের কারখানা চালু থাকবে, উৎপাদনও অব্যাহত থাকবে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকারও প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি।

রপ্তানিকারকদের সংগঠন ইএবির সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ. সালাম মুর্শিদী বলেন, লকডাউনে কারখানা বন্ধ থাকলে রপ্তানি হবে না। এতে বাজার হারাতে হবে। জাতীয় শিল্প পোশাক খাত হলেও আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হয়। কারণ লকডাউনে প্রতিযোগী দেশ ভারত-ভিয়েতনামের কারখানা চালু থাকবে, উৎপাদনও অব্যাহত থাকবে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকারও প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি।

উল্লেখ্য, প্রতিদিন সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়তে থাকায় সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। তাতে সেবা খাত আওতামুক্ত থাকবে। এ খাতের মতো দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চায় তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও ইএবি।

আমারসংবাদ/জেআই