ঢাকা
শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫,
আখতার-উজ-জামান
এপ্রিল ১৩, ২০২১, ০৮:২০ পিএম
পবিত্র মাহে রমজান আল্লাহ তায়ালার অফুরন্ত নেয়ামত, রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আসে আমাদের মাঝে। কুরআন এবং হাদিসে এই রমজান সম্পর্কে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। রোজাদারের পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহপাক প্রদান করবেন। অন্য এক হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে- রোজা মুমিনের জন্য ঢাল স্বরূপ। দিনে-রাতে আল্লাহপাক তার রহমতের দরজা খুলে বান্দার নিকটবর্তী হয়ে গুনাহগার বান্দাদের মাফ করে দেন এবং তা চলতে থাকে অনবরত একেবারে ঈদের রাত পর্যন্ত। এই রমজান মাস আল্লাহর তরফ থেকে বান্দার জন্য রহমত, বরকত ও মাগফিরাত হিসেবে আভির্ভূত হয়।
১২টি মাসের মধ্যে রমজান একটি অন্যতম সম্মানিত মাস। ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে রমজান মাসের রোজা একটি রোকন। এ মাসটি অন্যান্য মাস থেকে বিশেষ গৌরবের অধিকারী। মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশেষ দিনগুলো আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের এক একটি নেয়ামত। ঈমান আমলকে আরও বেশি বিশ্বাস স্থাপন করাটাই একজন খাঁটি মুসলমানের মূল লক্ষ্য। তাই আল্লাহর তরফ থেকে পবিত্র মাহে রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ রহমত। মহান আল্লাহ তায়ালা এ মাসকে বিশেষভাবে সম্মানিত, মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত করেছেন। রমজান আরবি শব্দ রময ধাতু থেকে উদ্ভূত। যার অর্থ হচ্ছে- জ্বালানো, পোড়ানো। এ মাস মানুষের কুপ্রবৃত্তিকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে। অন্যদিকে রোজাকে আরবি ভাষায় সিয়াম বলা হয়। সিয়ামের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে দহন, জ্বলন। সিয়ামের আরেক অর্থ কোনো কিছু থেকে বিরত থাকা বা বেঁচে থাকা বা পরিত্যাগ করা। শরিয়তের পরিভাষায় খাওয়া, পান করা এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার নাম সওম। সুবেহ সাদেক হওয়ার পূর্ব থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজার নিয়তে একাধারে এভাবে পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকলেই তা রোজা হিসেবে পরিগণিত হবে। সূর্যাস্তের এক মিনিটের আগেও রোজাদার যদি কোনো কিছু খেয়ে ফেলে, পান করে কিংবা সহবাস করে, তবে রোজা হবে না। এ রমজান আল্লাহ তায়ালার অফুরন্ত নেয়ামত, রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আসে আমাদের মাঝে। কুরআন এবং হাদিসে এই রমজান সম্পর্কে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। প্রতিটি সক্ষম মুসলমান নর-নারীর ওপর এই এক মাসে রোজা বা সিয়াম সাধনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, একই সঙ্গে এর অসংখ্য ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে কুরআন ও হাদিসে।
এক হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, রোজাদারের পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহপাক প্রদান করবেন। অন্য এক হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে রোজা মুমিনের জন্য ঢাল স্বরূপ। এই রমজান মাস আল্লাহর তরফ থেকে বান্দার জন্য রহমত, বরকত ও মাগফিরাত হিসেবে আভির্ভূত হয়। হাদিস শরিফে (সহীহ বোখারী, সহীহ তিরমিজি, ইমাম হাম্বলী, ইবনে কাসীর প্রভৃতি) বর্ণিত রয়েছে, বিশেষ করে সাহাবি ক্কাআব বিন ঊজাইর রাজি আল্লাহু তায়ালা আনহু (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার জুমার খুৎবা দেয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে পা রাখেন, তখন বলেন আমিন, দ্বিতীয় সিঁড়িতে যখন পা রাখেন তখন বলেন আমিন, একইভাবে তৃতীয় সিঁড়িতে পা রেখেও বলেন আমিন।
নামাজ শেষে সাহাবিরা রাসূলুল্লাহ সা.-কে তিনবার অস্বাভাবিকভাবে আমিন বলার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি যখন মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে পা রাখি, তখন জিব্রাইল আলাইহিস সাল্লাম (আ.) ওহি নিয়ে আসেন এবং বলেন, ধ্বংস হয়ে যাক সেই ব্যক্তি, যে রমজান মাসের রোজা পেলো অথচ গুনাহ মাফ করাতে পারলো না, এর জবাবে আমি বললাম আমিন। দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখার সময় জিব্রাইল (আ.) বললেন, ধ্বংস হয়ে যাক সে, যার সামনে আমার নাম নেয়া হলো অথচ দরুদ শরিফ পড়লো না, জবাবে বলেছি আমিন। তৃতীয় সিঁড়িতে যখন পা রাখলাম, জিব্রাইল (আ.) বললেন, ধ্বংস হয়ে যাক সে, যে বা যারা তার মা-বাবা কিংবা উভয়ের যেকোনো একজনকে পেলো অথচ তাদের খেদমত করে জান্নাত হাসিল করতে পারলো না, জবাবে বলেছি আমিন।
এই হাদিসের শুরুতেই বলা হয়েছে রমজান শরিফের কথা। রমজান মাস যখন শুরু হয়, তখন আল্লাহপাক এই মাসের প্রথম রাতেই ১০ লাখ বান্দাকে মাফ করে দেন, যাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে রয়েছে, এমন সব গুনাহগারদের মাফ করে দেন, লাইলাতুল কদরের রাতে অসংখ্য, অগণিত বান্দাকে মাফ করে দেন, আর মাসের ২৯ তারিখ রাতে সারা মাসের যত মাফ করা হয়েছে তার দ্বিগুণ, আর ঈদের রাতে আরও দ্বিগুণ সংখ্যক বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন বলে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে। তবে কবিরা গুনাহের জন্য তওবা করে মাফ চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সাহাবি হযরত আবু হুরাইরা রাজি আল্লাহু তায়ালা আনহু (রা.) থেকে বর্ণিত, যে বা যারা পূর্ণ আন্তরিকতা ও বিশ্বাসের সঙ্গে রমজান মাসে দিনের বেলা যাবতীয় পানাহার থেকে বিরত থাকবে অর্থাৎ রোজা রাখবে ও রাতে পরিপূর্ণ ঈমানের সঙ্গে নামাজ পড়বে, এবাদত-বন্দেগি করবে, লাইলাতুল কদরের রাতে জেগে এবাদত করবে, আল্লাহপাক সে বান্দার পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।
সহিহ বোখারী ও মুসলিমসহ বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে এই হাদিসের সত্যতা নির্ভুলভাবে পাওয়া যায়। হযরত আবু হুরাইরা রাজি আল্লাহু তায়ালা আনহু (রা.) আরও বর্ণনা করেছেন, রমজান মাসে বেহেশতের দরজা খুলে দিয়ে দোজখের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়, তালাবদ্ধ করে রাখা হয় শয়তান ও জিনদের। রমজানের প্রতিটি দিন ও রাতে অগণিত বান্দাকে আল্লাহপাক দোজখের আজাব থেকে মাফ করে দিতে থাকেন।
এই রমজান মাসে কেউ রোজাদারকে এক ফোঁটা দুধ, পানি বা খেজুর অথবা যেকোনো খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ইফতার করালে আল্লাহপাক তাকে দোজখের আজাব থেকে মাফ করে দেবেন, আল্লাহপাক তাকে রোজাদারের সমান সওয়াব দেবেন। তবে রোজাদারের সওয়াব থেকে সামান্যও কমানো হবে না। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে আরও বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সা.) বলেছেন, মাগফিরাতের দোয়া রমজানের শেষ রাতে কবুল হয়েছে, সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলে ওই রাত লাইলাতুল কদরের রাত কিনা জানতে চাইলে রাসূলুল্লাহ সাল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, না, কারণ আল্লাহপাক তার বান্দার মজুরি রমজান পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিয়ে দেন। বলাবাহুল্য হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পূর্ণ নির্মল ও নেক শ্রেষ্ঠ নবী হওয়া সত্ত্বেও রমজানে আল্লাহর দরবারে এত এবাদত বন্দেগি করেছেন, আর আমরা তো তার উম্মত, আমাদেরও আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বেশি বেশি এবাদত-বন্দেগী করা উচিত।
রমজান মাসের প্রতিটি সময়, প্রতিটি ক্ষণ অত্যন্ত মূল্যবান। অন্য যেকোনো মাসে যেমন নির্দিষ্ট সময় বা শেষ রাতে বা তাহাজ্জুদের সময় বান্দার দোয়া কবুল হওয়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু রমজান মাসে প্রতিটি সময় বান্দার দোয়া কবুল হওয়ার কথা বলা হয়েছে। দিনে-রাতে আল্লাহপাক তার রহমতের দরজা খুলে বান্দার নিকটবর্তী হয়ে গুনাহগার বান্দাদের মাফ করে দেন এবং তা চলতে থাকে অনবরত একেবারে ঈদের রাত পর্যন্ত।
এই রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের মধ্যে যেকোনো বেজোড় রাত লাইলাতুল কদরের রাত বলে কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যা হাজার মাসের এবাদত-বন্দেগির চাইতে উত্তম রাত। তাই আমাদের সবার কদরের রাতসহ রমজান মাসের প্রতিটি ক্ষণ ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানো উচিত। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত পাওয়ার এ সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারানো কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মহান আল্লাহ রমজান মাসকে বহুবিধ ফজিলতের জন্য নির্বাচিত করেছেন। অনেক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে তিনি রমজানকে বিশেষ স্বাতন্ত্র্য দান করেছেন। যে কারণে রমজান মাস অন্যান্য মাসের মাঝে অনন্য। বিবিধ বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ তায়ালার যিনি রমজানকে শ্রেষ্ঠ মাস বানিয়েছেন এবং সে সময় ভালো কাজের প্রতিদান বাড়িয়ে দিয়েছেন। মেঘমালার ন্যায় দিনগুলো অতিবাহিত হচ্ছে। বছর খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছে। আর আমরা জীবন চলার পথে অলস সময় কাটাচ্ছি। আমাদের মধ্যে কম সংখ্যক লোক এমন আছেন যারা বাস্তবতা ও পরিণতি নিয়ে চিন্তা করছে অথবা তার থেকে উপদেশ গ্রহণ করছে। মানুষের জীবনের কম বয়সে এবং অল্প সময়ের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য ভালো কাজের মৌসুম রেখেছেন। তার জন্য স্থান এবং কালের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। যে কাল ও স্থানের মাধ্যমে সে তার ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে। সে সব বিশেষ মৌসুমের মধ্য থেকে অন্যতম একটি মৌসুম হলো পবিত্র রমজান মাস। সিয়াম পালনকারীর দুটি খুশি, প্রথম খুশি যখন সে ইফতার করে, আর এক খুশি যখন সে তার রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে। সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশক আম্বরের চেয়ে অধিক প্রিয়। (বুখারী মুসলিম)।
রমজান মাস কি আল্লাহ তায়ালার দিকে ফিরে আসার মৌসুম হবে এবং নিজের হিসাব-নিকাশের সুযোগ করে দেবে, আর আল্লাহর সামনে নিজের গুনাহের ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ করে দেবে? সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য সত্যিকারভাবে ইসলামি জীবনযাপন করার সুযোগ এনে দেবে কি এ মহান মাস? এ মাসকে দাওয়াত দানকারীরা তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। এ কথা চিন্তা করে যে, তারা সর্বোত্তম দাওয়াতের দায়িত্ব পালনকারী এবং তারা অতি উত্তম উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন। তারা নিজের সত্তার চিন্তা এবং তার জন্য ঘোরাফেরা করা থেকে মুক্ত হয়ে শুধু আল্লাহর কাছে যা আছে তা উত্তম ও স্থায়ী মনে করে কাজ করবে। এ মাসটি প্রত্যেক মুসলমান তার মুসলমান ভাইকে সাহায্য করার মাস হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।
হোক না সে অত্যাচারী অথবা অত্যাচারিত। অত্যাচারীর অত্যাচার প্রতিরোধ করে তাকে সাহায্য করবে। অত্যাচারিতকে সাহায্য করবে তার সহযোগিতার মাধ্যমে। এর মাধ্যমে মুসলমান সমাজে সর্বত্র ভালো পরিবেশ তৈরি হবে। এ মাসটি ধনী এবং আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপনকারীদের জন্যও বিরাট সুযোগ। তাদের কাজ-কর্ম এবং অনুভূতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা যেনো দরিদ্রদের প্রয়োজন ও ব্যথা অনুভব করতে পারে। নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। আল্লাহ যে পথে ব্যয় করতে সম্পদ দিয়েছেন সে পথে তারা সম্পদ ব্যয় করতে পারে। মুসলিম উম্মাহর মধ্যে যারা ক্ষুধার্ত আছে তাদের বাঁচাতে তারা যেনো এগিয়ে আসতে পারে। তারা যদি তাদের ক্ষুধার্তদের না খাওয়ায়, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র না দেয় আর দুর্বলদের সাহায্য না করে মনে করতে হবে তাদের ঈমান বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। তাই মুসলিম সমপ্রদায়কে এই বিশেষ নেয়ামতের মাসে বেশি করে ইসলামিক দৃষ্টিতে আল্লাহর তায়ালার সান্নিধ্য লাভ করাটাই ঈমান ও আমলের একটি প্রধান উদ্দেশ্য। বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক এই পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে। রমজান আমাদের নিজেদের জন্য এমন একটি পদ্ধতি অবলম্বনের সুযোগ এনে দেয় যার মাধ্যমে ইসলামি ভাবধারায় অভ্যস্ত হতে পারি। সকলের হাত, পা, চোখ, কান, জিহবা, মুসলমান হয়ে যাবে। যখনই এ সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করবে তার সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা অনুযায়ী করবে। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুক যে, একজন খাঁটি মুসলমান হিসেবে রমজান মাসের ইবাদতে মশগুল হতে পারি। মুসলিম সমপ্রদায়ের মাঝে আরও বেশি ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হোক; এই আমাদের অঙ্গীকার পবিত্র মাহে রমজানকে ঘিরে।
একদিকে কোভিড-১৯ মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। অন্যদিকে প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই গত বছরের মতো এবারো মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আসন্ন রমজানে তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের। আমিন।
লেখক : সাংবাদিক, গবেষক
আমারসংবাদ/জেআই
