Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সংকটে অবহেলিত প্রবাসীরা

এপ্রিল ১৭, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম


সংকটে অবহেলিত প্রবাসীরা
  • বিশেষ ফ্লাইট বাতিল, টিকিট না পেয়ে কারওয়ান বাজার মতিঝিল ও বিমানবন্দরে অবরোধ ও বিক্ষোভ
  • প্রবাসীরা কি সরকারের বোঝা তা না হলে কেন কেউ-ই মূল্যায়ন করে না, লকডাউনে ফ্লাইটে সমস্যা হতেই পারে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কি আমাদের বুঝিয়ে বলার মতো কেউ নেই -বলছেন প্রবাসীরা
  • দাবির মুখে আজ থেকে শুরু সৌদির ফ্লাইট
  • যাদের ভিসা বাতিল হয়েছে তাদের ভিসা কার্যকর করতে আমরা প্রতিনিয়তই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি -মাসুদ বিন মোমেন, সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
  • ভিসা সমস্যার বিষয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আপনাদের পৌঁছে দেয়ার জন্যও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। আপনারা ধৈর্য ধরুন -মো. মোকাম্মেল হোসেন, সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
  • সৌদি আরবে ল্যান্ডিং পারমিশন না পাওয়ায় একটি ও যাত্রী সংকটের কারণে দুবাইয়ের দুটি এবং সৌদির দাম্মামের একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে -তাহেরা খন্দকার, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-পিআর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

আমরা প্রবাসীরা কি সরকারের বোঝা হয়ে গেলাম? কেউই মূল্যায়ন করে না। আমরা তো বিদেশে কষ্ট করে টাকা-পয়সা রোজগার করে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান, ভাইবোনের জন্য পাঠাই। লকডাউনের কারণে ফ্লাইটে সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কি আমাদের বুঝিয়ে বলার মতো কেউ নাই? গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও হোটেলের প্রবেশদ্বারের বাইরে ফুটপাতে বসে আক্ষেপের সুরে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার খাগাতুয়া গ্রামের প্রবাসী কর্মী তাকবির হোসেন।

আজ রোববার ফ্লাইটে যাওয়ার কথা থাকলেও গতকাল রাত পর্যন্ত টিকিটই কনফার্ম করাতে পারেননি, পারেননি করাতে করোনা টেস্টও। গতকাল শনিবার এ নিয়ে পাননি কোনো সমাধানও। ছুটিতে দেশে ফিরেছেন দু’মাস আগে। ছুটি শেষে আবার ফিরবেন প্রবাসে। তাই গতকাল ছোটভাই রফিক হোসেনের সঙ্গে এসেছেন তিনি। তিনিও দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে। আজ রোববারের ফ্লাইটে যাওয়ার কথা থাকলেও টিকিট কনফার্ম না হওয়ায় করোনা টেস্টও করাতে পারেননি রফিক হোসেন। এদিকে ভিসার মেয়াদ ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলেই গতকাল আমার সংবাদকে জানালেন রফিক।

শুধু তাকবির হোসেন একা নন, তার মতো আরও অনেকেই সোনারগাঁও হোটেলের প্রবেশপথের সামনে বড় লাগেজ ও ব্যাগ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তাদের কারো কয়েকদিন আগে ফ্লাইট ছিলো, লকডাউনের কারণে বাতিল হয়েছে, কারো ফ্লাইট ছিলো গতকাল রাতেই। এদিকে মনির হোসেন নামে আরেক সৌদি প্রবাসীর ভাই জামাল হোসেন দুটি লাগেজ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জানালেন, গতকাল শনিবার রাত ১২টায় তার ভাইয়ের ফ্লাইট জেনে এসেছিলেন। অথচ টিকিট কনফার্ম হয়নি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে যাওয়ার জন্য করোনা টেস্ট করে সনদ নিয়েছেন। বাড়ি থেকেও বিদায় নিয়ে চলে এসেছেন। কিন্তু জানেন না তার ভাই যেতে পারবেন কি-না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। তাকবির হোসেন ও মনির হোসেনের মতো এমন অসংখ্য প্রবাসী প্রবাস গমনের কোনো কূলকিনারা করতে না পেরে এবং সংশ্লিষ্ট কারো কাছ থেকেই মূল্যায়ন না পেয়ে ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন। যে কারণে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধও করেছেন সৌদি প্রবাসী কর্মীরা। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাবিতেই অবরোধ করেন তারা। সৌদি প্রবাসীদের অভিযোগ, তারা লকডাউনের আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। কিন্তু এখন লকডাউনের কারণে নির্ধারিত সময়ে ফিরতে পারছেন না। এর মধ্যে অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন তারা। সব মিলিয়ে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে— যেনো সারা বছর পাঠানো রেমিট্যান্স নামক মধু আহরণ শেষে তিক্ততায় রূপ নেয় প্রবাসীদের প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা। যে কারণে করোনার প্রথম ধাপেও কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, টিকিটপ্রত্যাশী প্রবাসীদের ওপর লাটিচার্জও চালিয়েছিল পুলিশ। দ্বিতীয় ধাপেও সংখ্যায় কিছুটা কম হলেও প্রবাসীদের পাত্তাই দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কেউই, প্রবাসীদের কথাই শুনতে চাইছে না সংশ্লিষ্টরা। প্রবাসীরা বলছেন, যেকোনো সংকটে সরকারের কাছে প্রবাসীরা যেনো মূল্যহীন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তা গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম তৌহিদুল ইসলাম জানান, ল্যান্ডিং অনুমতি না পাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঁচটিসহ মোট সাতটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।  

প্রবাসীরা জানান, শুক্রবার রাতে সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছেন— শনিবার থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট দেয়া হবে। এমন খবর পেয়ে তারা সকাল ৬টা থেকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সোনারগাঁও হোটেলে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের সামনে অবস্থান নেন। কিন্তু এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ লকডাউনের অজুহাতে এবং ফ্লাইট চলাচল নিষেধাজ্ঞার কথা বলে টিকিট না দেয়ার কথা জানিয়েছে। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা কারওয়ান বাজার মোড় অবরোধ করেন। এক ঘণ্টা অবরোধে আশেপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ সবাইকে তাদের অফিসে নিয়ে যান এবং টিকিট দেয়ার আশ্বাস দেন। সবজির ট্রাকে করে শনিবার ভোরে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় আসা সৌদি প্রবাসী সোহেল রানা জানান, গত ১৫ এপ্রিল তার সৌদি যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ফ্লাইট বন্ধের কারণে যেতে পারেননি। আজ আবার টিকিট দেয়া হবে এমন খবরে বাড়ি থেকে এসেছেন। কিন্তু এখন আবার টিকিট দেয়া হবে না বলে তারা জানাচ্ছেন। সৌদি প্রবাসীদের বিড়ম্বনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বলেন, লকডাউনের কারণে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট শিডিউল এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন তারা নতুন করে টিকিট দিচ্ছেন। তবে সেই টিকিটে লকডাউনের পরে ফ্লাইট স্বাভাবিক হলে তারা যাতায়াত করতে পারবেন।

এদিকে প্রবাসীদের নিয়ে সৌদি আরবের রিয়াদগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গতকাল সকালের বিশেষ ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটিতে ল্যান্ডিং পারমিশন (অবতরণের অনুমতি) না পাওয়া। এরপরই আবার আরও তিনটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বলেও জানায় বিমান কর্তৃপক্ষ। যাত্রী সংকটকে কারণ দেখিয়ে ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটির কর্তৃপক্ষ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-পিআর) তাহেরা খন্দকার বলেন, বিমানের একটি ফ্লাইট সৌদি আরবে ল্যান্ডিং পারমিশন না পাওয়ায় বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও যাত্রী সংকটের কারণে দুবাইয়ের দুটি এবং সৌদির দাম্মামের একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা মাত্র ২০-২২ জন। আমরা বলেছিলাম ফ্লাইট চলাচল বন্ধের নির্দেশনার কারণে বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীরা টিকিট পরিবর্তন করে এসব ফ্লাইটে যেতে পারবেন। তবে আমরা যাত্রী পাইনি। সকাল সোয়া ৬টায় বাতিল হওয়া ফ্লাইটের ২০১ জন যাত্রীকে ইতোমধ্যেই বিমানের ব্যবস্থাপনায় হোটেল রাখা হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘বিশেষ ফ্লাইট চালুর ঘোষণার পর সব যাত্রীকে মোবাইলে বার্তা পাঠানো হয়েছে। বিমানের নিকটস্থ টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে তাদের যাত্রার তারিখ নিশ্চিত করতে বলা হয় এতে। কিন্তু আজ দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইটের জন্য ২২ ও ২৫ জন যাত্রী যাত্রা নিশ্চিত করেছেন। অথচ এর একটি ফ্লাইটেই ৩০০ যাত্রীর টিকিট নেয়া আছে। তাই যাত্রী কম থাকায় ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। রোববার আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট আছে, সেগুলো সব ছেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

যদিও টিকিটের জন্য গতকাল সকাল থেকেই কারওয়ান বাজারের সৌদি এয়ারলাইন্সের কার্যালয় ছাড়াও বিমানের মতিঝিল কার্যালয়ে ভিড় করছেন প্রবাসীরা। মতিঝিলে প্রবাসীদের চাপের কারণে একপর্যায়ে টিকিট বিক্রি সাময়িক স্থগিতও রাখে বিমান কর্তৃপক্ষ। মতিঝিলে অপেক্ষায় থাকা শরীয়তপুরের নাজির মোহাম্মদ নামে এক যাত্রী জানান, বিমানের ১৫ এপ্রিলের ফ্লাইট ছিলো তার। তবে ফ্লাইট বন্ধের কারণে যেতে পারেননি। শনিবার ফ্লাইট চলাচল শুরুর সংবাদ শুনে মতিঝিলে এসেছেন। এখানেও হঠাৎ টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিলো। এর আগে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে বাংলাদেশে আটকেপড়া প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানোর ব্যবস্থা ও বাংলাদেশে আসতে আগ্রহীদের আনতে শনিবার থেকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত জানায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সপ্তাহে প্রায় ১০০ বিশেষ ফ্লাইটের অনুমোদন দেয় তারা। এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মধ্যপ্রাচ্যসহ পাঁচ দেশে ফ্লাইট চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে।

একই ইস্যুতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিক্ষোভ করেন প্রবাসীরা। বিক্ষোভকারী প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ভিসা সমস্যার বিষয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আপনাদের পৌঁছে দেয়ার জন্যও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। আপনারা ধৈর্য ধরেন। এসময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও বলেন, যাদের ভিসা বাতিল হয়েছে তাদের ভিসা কার্যকর করতে আমরা প্রতিনিয়তই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এর আগে কোভিড সনদ, ভিসা-পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দরে এসে প্রবাসীরা জানতে পারেন বিশেষ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আর তাতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রবাসীরা, কেউ আবার হতাশায় দিশাহারা। বিশেষ ফ্লাইটে যাদের যাত্রা করার কথা ছিলো তাদের প্রায় সবারই ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে আর ফ্লাইট বাতিলের খবরে তাই অনেকেরই ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছে বলে বলছেন প্রবাসীরা। 

এরআগে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌঁছানোর সুবিধার্থে ভোর থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে প্রায় ১০০টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। গত ১১ এপ্রিল বেবিচক জানায়, ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন চলাকালীন সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। পরে গত ১৫ এপ্রিল এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে গতকাল শনিবার থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে প্রায় ১০০টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের কারণে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার অভিবাসী শ্রমিককে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরার সুযোগ করে দিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।

সৌদিগামী প্রবাসী কর্মীদের দাবির মুখে নিয়মিত ফ্লাইট চালানোর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি এয়ারলাইন্স। আজ রোববার থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের সিডিউল ফ্লাইট চলবে বলে জানিয়েছেন সৌদি এয়ারলাইন্সের ঢাকা অফিসের ব্যবস্থাপক (সেলস অ্যান্ড বুকিং) জাহিদুল ইসলাম। অবস্থানরতদের মধ্যে ১৪ থেকে ২১ এপিলে যাদের টিকিট করা ছিলো বা আছে, তাদের নতুন করে টিকিট রি-ইস্যু করা লাগবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। সৌদি গমনেচ্ছুদের সরাসরি কোভিড টেস্ট বা বিমানবন্দরে না যেতে বলা হয়েছে। সৌদি গমনেচ্ছুদের প্রথমে ১৪ থেকে ২১ তারিখের টিকিটগুলো রি-ইস্যু করতে হবে। পরে কোভিড টেস্ট করে গমন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘যারা টিকিট পাবেন না তাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। কারণ এখন সবগুলো করা সম্ভব নয়। শুধু আগামীকালের (রোববার) যে ফ্লাইটগুলো আছে, আমরা সেগুলো ফুলফিল করার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে এপ্রিলের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ এবং ১৮ তারিখের যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’

আমারসংবাদ/জেআই