Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪,

ভয়াবহ ট্রাজেডির আট বছরেও থামেনি আর্তনাদ

আখতার-উজ-জামান

এপ্রিল ২২, ২০২১, ০৭:৩৫ পিএম


ভয়াবহ ট্রাজেডির আট বছরেও থামেনি আর্তনাদ

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত রানা প্লাজা ধসের আট বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে গার্মেন্ট কারখানায় এতো শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের কারো এখনো শাস্তি হয়নি। রানা প্লাজার মামলা চলছেই। নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত শ্রমিকরা নানাভাবে আর্থিক সহায়তা পেলেও সবাই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। রানা প্লাজার সেই জায়গাটি পরিণত হয়েছে আবর্জনার স্তূপে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মুখে শোনা যায় এখনো কিছু হতাশা আর ক্ষোভের কথা। যেখানে কিছু অসাধু লোক মিথ্যা অজুহাতে অর্থ আত্মসাৎ করে এসব বেঁচে যাওয়া এবং পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে থাকা রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে। বিশ্বের রপ্তানি পোশাকশিল্পে এতো বড় ভবন ধসে শ্রমিকদের মৃত্যুকূপ একমাত্র বাংলাদেশেই সর্ব প্রথম। এই ভবন ধসের ঘটনার পর সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন বিদেশি সংস্থাগুলো কিছু আর্থিক সাহায্য দিলেও এখনো ঠিকমতো ক্ষতিপূরণ পাননি রানা প্লাজার সেসব ক্ষতিগ্রস্তরা। এখনো নির্ধারিত হয়নি দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণের হার। ফলে ক্ষতিপূরণ নিয়ে এখনো আশা-নিরাশায় দিন কাটাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। শারীরিক পঙ্গুত্ব নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা ছাড়াও জীবনের নানা প্রয়োজন মেটাতে নিদারুণ কষ্টে জীবনযাপন করছে এসব খেটে খাওয়া মানুষগুলো। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আজ অসহায় তারা।

সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে গড়ে ওঠা ভবন রানা প্লাজাধসের কারণে রচিত হয় এক বেদনাদায়ক করুণ ইতিহাস। যেই ট্র্যাজেডির আট বছর পার হলেও আজও গার্মেন্ট শ্রমিকদের মনে শিউরে ওঠে সেইদিনের সেই ভয়াবহ ভবনধসের ঘটনার কথা। হতাহত শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ে কোনো প্রশ্ন না উঠলেও নিখোঁজদের স্বজনরা প্রশ্ন তুলছেন নিখোঁজদের তালিকা নিয়ে। বিরামহীনভাবে টানা ২০ দিন উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর পর ঐ বছরেরই ১৩ মে অভিযান শেষ করে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নিয়োজিত উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারকাজ শেষ হলেও অনেক পরিবারই ফিরে পায়নি তাদের প্রিয় মানুষটিকে। ২১ দিনের উদ্ধারকাজের মধ্যে ১৭ দিন ঘটে বিস্ময়কর এক ঘটনা। ধংসস্তুপের নিচ থেকে আর কাউকে জীবন্ত উদ্ধার করা সম্ভব নয় ভেবে সাধারণ উদ্ধারকারীদের অনেকে যখন ঘরে ফিরছে তখনই প্রায় সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ২২ বছর বয়সি পোশাক শ্রমিক রেশমাকে। অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকা রেশমা জানতো না দেশের ইতিহাসে এতো বড় ভবন ধসের মধ্যে সে বেঁচে থাকবে। কালের সাক্ষী হয়ে বেঁচে আছেন সেই এক মুঠো ভাতের সন্ধানে আসা এই গার্মেন্ট কর্মী রেশমাও। জীবন পেলেন রেশমা। আর যারা এখনো বেঁচে আছেন, তাদের কেউ ঐ ভয়ংকর দিনের কথা ভেবে এখনো কাতরাচ্ছেন। পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে বেঁচে আছেন অনেকেই। কোনো রকম খেয়েপরে একটি পরিবারের ছায়াতলে থাকার আশা নিয়ে বেঁচে থাকলেও এসব আহত-নিহতদের অনেকে আজও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাননি। ধসের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন অনেকের পাশাপাশি দেশ-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাগুলো। যা ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা।

দিনটি ছিলো বুধবার। প্রতিদিনের ন্যায় খেটে খাওয়া কর্মজীবী নারী-পুুরুষ বিশেষ করে এক মুঠো ভাতের সন্ধানে বেরিয়ে এসেছিল তাদের কর্মস্থল একটি নিম্ন মানের ইটা-বালু-সিমেন্ট দিয়ে তৈরি ৮তলা অট্টালিকায়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় ঐক্যজোটের হরতাল উপেক্ষা করে সঠিক সময়ে কর্মে যোগদান, তাড়াহুড়ো করে কোনো রকম এক মুঠো ভাত হয়তো একটু নাশতা খেয়ে হুড়াহুড়ি করে প্রবেশ করলো সেই ভবনটিতে। এই ভবনের কয়েকটি পোশাক কারখানায় পাঁচ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করতেন। ২০-দলীয় জোটের হরতাল কর্মসূচির কারণে ভোরে যে যার মতো করে নিজ নিজ অফিসে আসতে হয়েছে। বিরোধী দলের কর্মসূচির বিভিন্ন খবরা-খবর সংগ্রহ করতে ব্যস্ত ছিলো সংবাদকর্মীরাও। সকালের নাশতা সেরে অফিসে ঢুকতেই খবর এলো ভবন ধসের। বহুতল ভবন ধসে পড়েছে ঢাকার অদূরে, সাভারে। ভবনের নাম রানা প্লাজা। মুহূর্তের মধ্যে স্থানীয় প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও ওয়েবপোর্টাল অনলাইন সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খবরটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লো। এ এক ভয়াবহ ভবন ধসের ঘটনা। অফিসের সিদ্ধান্তে কিছু সময়ের মধ্যেই বিশেষ একটি টিম সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঢাকা থেকে সাভারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো সংবাদ কর্মীরা। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কয়েক মাইল আগে থেকেই চোখে পড়লো হাজারো মানুষের ভিড়। কিছু সময়ের মধ্যেই পৌঁছলাম রানা প্লাজার সামনে। দেখলাম বাঁচা আর বাঁচানোর লড়াই। ভবন ও কারখানা মালিকদের অর্থলিপ্সার নির্মম শিকার পোশাক শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য সরকারি উদ্যোগের অপেক্ষায় বসে থাকেনি সাধারণ মানুষ। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসে খালি হাতেই অনেকে নেমে পড়েছেন উদ্ধার কাজে। প্রাণবাজি রেখে বহু পোশাক শ্রমিককে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে আনেন তারা। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে এভাবেই নেমে এসেছিল ভয়াবহ এক পরিস্থিতি। আগামীকাল রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির অষ্টম বর্ষপূর্তি। ওই ভবন ধসে নিহত হয়েছিলেন এক হাজার ১৩৫ জন পোশাক শ্রমিক। গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি। উদ্ধারকর্মীর কমতি না থাকলেও অনেক শ্রমিক চলে গেছে স্বজনদের কাঁদিয়ে। উদ্ধার করতে হয়েছে অনেক মৃতদেহ। অনেকের পরিচয় আজো জানা যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে কিছু লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হলেও এখনো অজ্ঞাত অনেকে। স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের সহায়তায় একে একে বেরিয়ে এসেছিল জীবিত ও মৃত পোশাক শ্রমিক। আহতদের ভর্তি করা হয়েছিল পাশের এনাম মেডিকেল কলেজে। আর নিহতদের রাখা হয়েছিল অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সময় যতো যাচ্ছিল লাশের সারি ততই লম্বা হচ্ছিল। নিকট আত্মীয়দের ভিড় বেড়েছিল। তাদের কান্নার আওয়াজে অধরচন্দ্র মাঠ স্তব্ধ হয়ে উঠেছিল। এভাবে দিনের পর রাত এলো। এরপর আবার দিন। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধারের আশা শেষ হয়ে যাচ্ছিল। একের পর এক বের হতে থাকে মৃতদেহ, যা অনেকটা পচেও গিয়েছিল। পচা মানুষের গন্ধ সাভারের আকাশ-বাতাসে মিশে ছিলো। গন্ধ এড়াতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের বডি স্প্রেসহ রাসায়নিক স্প্রে। সেই গন্ধ আর মানুষ পচার গন্ধ এক হয়ে যায়। কোনো স্প্রের গন্ধ নাকে এলে মনে পড়ে যায় মানুষ পচা গন্ধ। মনে হয় যেন, বাতাসে লাশের গন্ধ পাচ্ছি।

ধসের ৮ বছরেও হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনের দুই মামলার কোনো কিনারা হয়নি। এজন্য আইনের জটিলতার কথা জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে প্রায় ৬ বছর আগে। এছাড়াও আদালতে রানার পরিবারসহ ৪১ আসামির বিরুদ্ধে ঝুলে আছে আরও ৩টি মামলা। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছেন আগামী বছরের মধ্যে মামলাগুলোর যথেষ্ট অগ্রগতি হবে। দুটি মামলায়ই এখনো শুরু হয়নি সাক্ষ্য গ্রহণ। যদিও মামলা দুটিতেই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তবে কয়েকজন আসামি উচ্চ আদালতে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট আদালতগুলো শুরু করতে পারেননি বিচারকাজ।

আদালতের নথি ঘেঁটে জানা যায়, রানা প্লাজা ধসের সময়ে দায়ের করা দুটি মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয় গত বছর। ওই বছরের ১৫ মার্চ ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শাহজাদী তাহমিদা মামলা দুটির বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এবং বিচারিক আদালতে বদলির আদেশ দেন। গত বছরের ১৬ জুন ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মুস্তাফিজুর রহমান। ওই আদেশের বিরুদ্ধে বজলুস সামাদ আদনানসহ তিন আসামি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৃথক তিনটি আবেদন করেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ- এইচআরডাব্লিউ বলছে, রানা প্লাজার পোশাক কারখানাগুলোতে যদি শ্রমিক ইউনিয়ন থাকতো, তাহলে হতাহতের সংখ্যা অনেক কম হতো। এই সংসস্থার এক প্রতিবেদনে জানায়, রানা প্লাজার কোনো পোশাক কারখানাতেই নাকি শ্রমিক ইউনিয়ন ছিলো না। তাদের কথায়, যদি ঐসব কারখানায় শ্রমিকদের সংগঠন থাকতো, তাহলে ফাটল দেখা দেয়ার পরও জোর করে পোশাক শ্রমিকদের সেখানে কাজ করানো যেতো না। আর তেমনটা হলে ভবন ধসে পড়লেও শ্রমিকরা সেখানে থাকতেন না, অর্থাৎ এত প্রাণহানি ঘটতো না। এইচআরডাব্লিউ-র অভিযোগ, ‘রানা প্লাজা ধসের ছয় বছর পরও বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিক সংগঠন করতে গিয়ে দমনপীড়নের, এমনকি কারখানার পক্ষ থেকে হুমকিরও শিকার হচ্ছেন।’ ইউনিয়ন করার চেষ্টা করায় শ্রমিকদের শারীরিক নির্যাতন, ভয় দেখানো ও হুমকি, মিথ্যা অভিযোগসহ অনেকভাবে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে এইচআরডাব্লিউ। তার ওপর সরকারও এ সবের জন্য গার্মেন্ট কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহতের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ শ্রমিক এখনো মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেনি। যারা একইসঙ্গে আর্থিকভাবেও চরম দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছে। বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইডের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। ঐ দুর্ঘটনায় আহত ২শ শ্রমিকের ওপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ শ্রমিক এখনো বেকার। করোনাকালীন সময়ও এসব শ্রমিক সরকারি বা কোনো সংস্থার সহায়তা পাননি। অ্যাকশন এইডের আলোচনা সভায় বক্তারা দাবি জানান, সরকারি নগদ সহায়তাসহ সামাজিক নিরাপত্তার অধীনে নানা কর্মসূচিতে এসব শ্রমিককে যুক্ত করা হোক। করোনাকালে কারখানা নজরদারি ঢিলেঢালা হওয়ায় আবারো দুর্ঘটনা বাড়ছে। এজন্য কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এখনো ১৪ শতাংশ শ্রমিক আর্থিকভাবে খারাপ অবস্থায় আছেন। প্রায় ১২ শাতাংশের মেন্টাল হেলথ খুব খারপ অবস্থায় রয়েছে। এদের কিন্তু খুব পরিবর্তন হচ্ছে না। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, কারখানায় দুর্ঘটনার সংখ্যা আসলে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। এগুলো হচ্ছে আসলে নন কমপ্লায়েন্সের কারণে। যেভাবে জিনিসগুলো মেনটেইন করার কথা সেভাবে হচ্ছে না।

এইচআরডাব্লিউর কথায়, ‘রানা প্লাজা ধসের পর শ্রম আইন সংস্কারের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। অথচ এখনো বাংলাদেশে শ্রমিক ইউনিয়ন করার ব্যাপারে কঠোর নীতিমালা রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।’ তারা জানায়, বাংলাদেশের সাড়ে চার হাজার গার্মেন্ট কারখানার মধ্যে শুধু ১০ শতাংশ কারখানায় নিবন্ধিত শ্রমিক সংগঠন রয়েছে। তাই শ্রমিক সংগঠন করার ব্যাপারে আইনি ও বিদ্যমান বাধাগুলো দূর করার পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহতদের নামে বিদেশ থেকে বিভিন্ন এনজিও ও গার্মেন্ট ট্রেড ইউনিয়ন আর্থিক সহায়তা আনলেও তা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন সংগঠনটির নেতারা। এসময় রানা প্লাজার মালিকের বিচার দ্রুত শেষ করারও দাবি জানানো হয়। এইচআরডাব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ফিল রবার্টসন প্রতিবেদনে বলেন, ‘স্বাধীন শ্রমিক সংগঠনে বাধা দেয়ার প্রবণতা শ্রমিক ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির ওপর হুমকিস্বরূপ। নিবন্ধিত ইউনিয়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার চর্চার সুযোগ দেয়া এবং এসব ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া গার্মেন্ট মালিকদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।’

লেখক : গবেষক, সাংবাদিক

আমারসংবাদ/জেআই