Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

আরেক দফা বাড়ছে লকডাউন

আসাদুজ্জামান আজম

এপ্রিল ২৯, ২০২১, ০৮:৫৫ পিএম


আরেক দফা বাড়ছে লকডাউন
  • ঈদুল ফিতরে স্থান ত্যাগে আসছে নির্দেশনা
  • চলাচলে বিধি-নিষেধ থাকছে আগের মতোই

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশানুরূপ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ফের আরেক দফা চলমান বিধি-নিষেধের (লকডাউন) বাড়ানোর চিন্ত্তা করছে সরকার। লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৭ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হচ্ছে। নতুন সিদ্ধান্তে ঈদকালীন সময়ে নাগরিকদের স্থান ত্যাগ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। বাকি শর্তগুলো থাকবে আগের মতোই। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র এমনটাই নিশ্চিত করেছে। তবে লকডাউন বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভাগীয় শহরগুলোতে গণপরিবহন সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হতে পারে।

তৃতীয় দফায় বাড়ানো লকডাউন শুরু হয়েছে গত ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে। চলমান এ বিধিনিষেধ চলবে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত। গত ২৮ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর খসড়া প্রস্তুত করে রেখেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ৬ মে থেকে ঈদ পর্যন্ত কর্মদিবস থাকবে তিনটি। ৬ (বৃহস্পতিবার), ৯ (রোববার) ও ১১ মে (মঙ্গলবার)। এর মধ্যে ৭ ও ৮ মে হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এরপর ১০ মে হচ্ছে শবে কদরের ছুটি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদ হবে ১৩ বা ১৪ এপ্রিল। সে হিসাবে আগামী ১২ মেথেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তবে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মে’ও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মে’ও (শনিবার) ছুটি থাকবে। এর সঙ্গে আরও দু’দিন বাড়িয়ে ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন বৃদ্ধি করার চিন্তা করা হচ্ছে। ৫ মের আগেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত হবে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ের ওপর আমাদের চিন্তা-ভাবনা চলছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সাত দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল হতে ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে পর্যন্ত ফের লকডাউন দেয়া হয়। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। চুতর্থ দফায় আরেক দফা বাড়িয়ে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছে। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া আগের মতো জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা।

গণপরিহন ছাড়া সবই চলছে : দফায় দফায় লকডাউন বাড়লেও মানুষের মধ্যে বাড়েনি সচেতনতা। চতুর্থ ধাপের সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সড়কে ছিলো যানবাহনের চাপ। গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের পরিবহন চলছে পুরোদমে। সেই সঙ্গে নানা অজুহাতে চলছে সাধারণ মানুষের অবাধ যাতায়াত। মাকের্ট ও ব্যাংক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলায় থাকায় সড়কে পুলিশি চেকপোস্ট তেমন দেখা যায়নি। দিনের শুরুতেই রাস্তায় গণপরিবহন ছাড়া সব যানবাহনই চোখে পড়ার মতো রয়েছে— সেই সঙ্গে বেলা যত বেড়েছে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গাড়ি। সবার যুক্তি এক— জরুরি কাজ আছে। এমনকি ভিআইপি সড়কে নেমেছে রিকশাও। অর্থাৎ নানা অজুহাতে গন্তব্যে ছুটছে মানুষ। মাওয়া শিমুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় মানুষের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়।

আমারসংবাদ/জেআই