মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
মে ৪, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম
মাহে রমজানে নির্দিষ্ট যে কয়েকটি এবাদত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে রমজানের শেষদশকের ইতেকাফ অন্যতম। রাসুল সা. রমজানের শেষ দশদিন ইতেকাফ করতেন। হজরত আয়েশা রা. হতে বর্ণীত আছে যে, নবী সা. রমজান মাসের শেষ দশক ইতেকাফ করতেন ওফাতের আগ পর্যন্ত।
ইমামে আযম ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর মতে রমজানের শেষ দশক ইতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া। রমজান মাসের শেষ দশকে অর্থাৎ বিশ রমজান সূর্যাস্তের পূর্ব হতে রমজানের শেষদিন সূর্যাস্তের পর পবিত্র ঈদুল ফিতর এর চাঁদ উঠা অব্দি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের আশায় মসজিদে অবস্থান করা সুন্নাত। ইতেকাফের গুরুত্ব সীমাহীন। যার মাধ্যমে মহিমান্বিত লাইলাতুলকদর নসীব হয়ে যেতে পারে।
ইতেকাফ শুধু পুরুষের জন্য নয়। মহিলারা ও তাদের নিজ গৃহে ইতেকাফ করে আল্লাহর নৈকট্য লাভে এবাদত মশগুল হতে পারেন।
যে ব্যক্তি এবাদতের নিয়তে সওয়াবের আশায় ইতেকাফ করে তার সকল সগিরা গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।মহিলাদের ইতেকাফের নিয়ম হলো তারা ঘরের ভিতর একটু আড়াল করে বা নামাজের নির্দিষ্ট স্থানে ইতেকাফ বসবে। যেখানে তাদের পর্দার যাবতীয় শর্তাবলি পাওয়া যাবে এবং সকলদিক বিবেচনা করে নিরাপদ হয়।
মহিলাদের জন্য মসজিদে ইতেকাফ করা মাকরুহে তাহরীমী। মহিলাদের ইতেকাফের জন্য স্বামীদের অনুমতি অত্যাবশ্যক। ইতেকাফের জন্য শর্তাবলি :
*এমন মসজিদে ইতেকাফ করতে হবে।
*যেখানে নামাজের জামাত হয় *ইতেকাফের নিয়ত করতে হবে *মহিলাদের হায়েয নেফাস শুরু হলে ইতেকাফ ছেড়ে দিতে হবে।
* মহিলারা ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে ইতেকাফ করিবে।
ইতেকাফে নির্দিষ্ট কোন এবাদত শর্ত নয়। যেকোনো নফল নামাজ, যিকির আযকার, কোরআন তেলাওয়াত, দ্বীনি কিতাবাদী অধ্যয়ন করা সহ যেকোনো এবাদত ই করা যাবে।
ইমামে আযম ইমাম আবু হানিফা (রহ.)বলেন, বিনা প্রয়োজনে মসজিদ থেকে সামান্য সময়ের জন্য বের হলে ও ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।কেননা এটা ইতেকাফের পরিপন্থী কাজ।
লেখক : নাজিমে দারুল ইকামাহ, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়, কাজীপাড়া, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া।
আমারসংবাদ/জেআই