Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

টাকা সাদা করলেন ১০ হাজার জন

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

মে ৬, ২০২১, ০৭:২৫ পিএম


টাকা সাদা করলেন ১০ হাজার জন

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার করদাতা কালো টাকা বৈধ করেছেন। যা স্বাধীনতার পর থেকে এক বছরের হিসাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি ব্যাংকে রাখা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে নিজেদের অর্থ বৈধ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখান থেকে এনবি আর রাজস্ব পেয়েছে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা। যার বিপরীতে নগদ বা ব্যাংকে থাকা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে। গত বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিচালক সৈয়দ মু’মেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, জুলাই থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যে শেয়ারবাজার, নগদ টাকা কিংবা জমি-ফ্ল্যাট কিনে সব মিলিয়ে মোট ৯ হাজার ৯৩৪ জন কালো টাকা সাদা করেছেন। এদের মধ্যে শুধু জমি-ফ্ল্যাট কিনে কিংবা নগদ টাকা সাদা করেছেন ৯ হাজার ৬২৩ জন।

মূলত শেয়ারবাজার চাঙা করতেই বাজারে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। এতে করহার ধরা হয় ১০ শতাংশ। এবার মাত্র ৩১১ জন বিনিয়োগকারী এই সুযোগ নিয়েছেন এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন মাত্র ৪৩০ কোটি টাকা। এর আগে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৯৩৮ জন করদাতা জমি, অ্যাপার্টমেন্ট, নগদ, ব্যাংক আমানত এবং অন্যান্য সম্পদকে বৈধ করেছেন। এক সাময়িক হিসাব অনুসারে, তাদের অবৈধ সম্পত্তি বৈধ করতে গিয়ে মোট প্রায় ৮৮৫ কোটি টাকা কর আদায় হয়েছে। আর শেয়ারবাজারে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করেছেন ১৮৮ জন ব্যক্তি। ওই খাত থেকে রাজস্ব আসে ২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে এনবি আরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণির করদাতারা ভিন্ন ভিন্ন সম্পদের বৈধতা নিচ্ছেন। কিন্তু প্রক্রিয়াটিকে তারা জটিল বলে দাবি করছেন। অনেক করদাতারা তাদের আয়কর রিটার্নে এসব সম্পদের ঘোষণা দিচ্ছেন। আমাদের কর কর্মকর্তারা রিটার্নে তথ্য যাচাই-বাছাই করে তথ্য সংগ্রহ করছেন। ফলে সঠিক হিসাব বের করা সময় সাপেক্ষ। ভবিষ্যতে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার হিসাব আরও বাড়বে। কারণ আগামী জুন পর্যন্ত এই সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে।

আমারসংবাদ/জেআই