Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সমন্বিত পরিকল্পনায় এগোচ্ছে নৌ-খাত

আসাদুজ্জামান আজম

মে ৮, ২০২১, ০৮:২৫ পিএম


সমন্বিত পরিকল্পনায় এগোচ্ছে নৌ-খাত
  • সারা দেশে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক
  • ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সড়ক ও রেলপথের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নদীবন্দরগুলো                     

বর্তমান সরকারের গত ১২ বছরে সাফল্য আসা খাতের মধ্যে অন্যতম হলো নৌ-খাত। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সড়ক ও রেলপথের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নৌ-খাত। অব্যবস্থাপনায় বন্ধ নৌপথ চালু ও নতুন পথ চালু হওয়ায় সারা দেশে নৌ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে এক সময় অর্থনৈতিক খাতের অন্যতম নিয়ামক আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠছে। খাতটি শক্তিশালী করতে দক্ষ জনবল গঠনেও নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। সরকারের সমন্বিত পরিকল্পনায় নৌপথে সাফল্য এসেছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। গত ৬ মে নৌ-খাতে যোগ হয়েছে প্রশিক্ষণ জাহাজসহ বেশকিছু নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব উন্নয়ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান এগিয়ে চলা খাতটির গতি আরও সঞ্চার হবে বলে মনে করছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নির্দেশনায় এগিয়ে চলা নৌ-খাতে নতুন গতি এসেছে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিটি প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছেন। প্রতিমন্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমে নৌ-সেক্টর দ্রুত বিকশিত হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ জাহাজ টি এস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদাভাই), ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি নৌ-সহায়ক জলযান, স্পেশাল ইন্সপেকশন ভেসেল ‘পরিদর্শী’, নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের নবনির্মিত দুটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের পায়রা আবাসন পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেটে চারটি মেরিন একাডেমির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিনটি নৌ-খাতের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে নৌ-খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে, যার সুফল পাবে প্রতিটি নাগরিক।

সূত্র জানায়, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নৌপথকে নিরাপদ, যাত্রীবান্ধব, আধুনিক, যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি দপ্তর নিরলস কাজ করছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ সারা দেশের নৌ-খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। নৌপথের নাব্য উন্নয়নে নৌপথ খনন, সড়ক ও রেলপথের ওপর চাপ হ্রাস এবং নৌপথে যাত্রী ও মালামাল নিরাপদ পরিবহনের উদ্দেশে বিআইডব্লিউটিএ নৌপথে ১৪টি নৌবন্দর, তিনটি আধুনিক নৌবন্দর, নৌপথ সংরক্ষণ, নৌসহায়ক যন্ত্রপাতি স্থাপন, নৌপথে নৌযান উদ্ধার কাজের জন্য দুটি ২৫০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ, নৌপথ আধুনিকায়ন, দেশব্যাপী নদীর তীরভূমি রক্ষা, নদীর তীরভূমিতে পর্যটন বান্ধব স্থাপনা নির্মাণ এবং ঢাকা শহরের চারদিকে নাব্য ও প্রশস্ত বৃত্তাকার নৌপথে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থাসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে।

বিআইডব্লিউটিসি অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌরুটে যাত্রীবাহী জাহাজ, গুরুত্বপূর্ণ নদী সংযোগে ফেরি, উপ-আঞ্চলিক নৌরুটে কার্গো ও কন্টেইনার জাহাজ পরিচালনার পাশাপাশি নৌ-সংরক্ষণে ডকইয়ার্ডসমূহ পরিচালনা করে। গত ১২ বছরে বিআইডব্লিউটিসির অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় যাত্রীবাহী এবং ফেরি জাহাজ বহরে বিভিন্ন ধরনের ৫১টি জাহাজ সংযুক্ত হয়েছে। আরও ৩৫টি জাহাজ নির্মাণাধীন রয়েছে। নতুন করে যোগ হয়েছে ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’। এ জাহাজ দুটি কুমিরা-গুপ্তছড়া এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল রুটে পরিচালনার মাধ্যমে বন্ধ থাকা বরিশাল ও চট্টগ্রামের নৌরুটটি চালু করা হবে। এই জাহাজ দুটির মাধ্যমে বছরে ৬.৩০ লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। যার ফলে উপকূলীয় যাত্রীবাহী সার্ভিসে নতুন গতির সঞ্চার হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, বর্তমান সরকারের সময়ে নৌ-খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বন্ধ থাকা নৌরুট চালুসহ বন্দরগুলো করা হয়েছে আধুনিকায়ন। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে নৌপথ খননে ৩৪টি ড্রেজার সংগ্রহ ও সুষ্ঠু ফেরি পারাপারের লক্ষ্যে ১৭টি ফেরি নির্মাণ করা হয়েছে। স্টিমার মডেলের দুটি বৃহৎ যাত্রীবাহী নৌযান ‘এমভি বাঙালি’ এবং ‘এমভি মধুমতি’ নির্মাণ করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র মতে, নৌপথ খনন ও নাব্য বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারের গত দুই মেয়াদে ৩৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কার্যক্রম, নদী তীর দখলমুক্ত করা এবং নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উচ্ছেদের পর পুনঃদখল রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে নদীর উভয় তীরে ওয়াকওয়ে, পাকা সিঁড়ি, বসার বেঞ্চ, ইকোপার্ক নির্মাণ, নদীর পাড় বাঁধাই, গাইড ওয়াল নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা এবং দখল ও দূষণ রোধে ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। ঢাকা শহরের চারদিকে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু এবং তুরাগ নদীর তীরভূমি থেকে ২০ হাজার ১৫৯টি  অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৭২৬ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। উচ্ছেদকৃত জায়গা পুনঃদখল রোধে দুই হাজার স্থায়ী ও টেকসই সীমানা পিলার নির্মাণ, ২৩.৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে এবং শ্যামপুর ও খানপুরে দুটি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে; আরও ছয়টি জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকার মতিঝিলে একটি ২৫তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিদেশি জাহাজে কর্মরত নাবিকদের জন্য মেশিন রিডেবল পরিচয়পত্র ‘আইডি কার্ড’ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (স্বার্থরক্ষা) বিল, ২০১৯ পাস হয়েছে। যার ফলে সরকারি পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সমুদ্রপথে পরিবহনে বিএসসি অগ্রাধিকার পাবে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১২ থেকে ২৪টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি চালু করা হয়েছে। আগারগাঁওয়ে স্থলবন্দরের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ শুরু হয়েছে। বেনাপোল, বুড়িমারী, ভোমরা, বুড়িমারী, বাংলাবান্ধা, নাকুগাঁও, আখাউড়া, সোনাহাট, তামাবিল স্থলবন্দরের উন্নয়ন এবং নতুন করে রাঙামাটির তেগামুখ ও খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।  দেশের অন্যতম তৃতীয় সমুদ্র বন্দর এবং সরকারের ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প বাস্তবায়নে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। পায়রা বন্দরে একটি কন্টেইনার টার্মিনাল, একটি বাল্ক টার্মিনাল, একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল, একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, বিদ্যুৎ প্লান্ট, মর্ডান সিটি, বিমানবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ ১৯টি কম্পোনেন্টের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২২ পর্যন্ত মেয়াদে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩৭৪.৪৭ কোটি টাকা। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের পুনর্বাসনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে তিন হাজার ৪২৩টি বাড়ি। যার মধ্যে ৫০০টি বাড়ি হস্তান্তর করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি এ-টাইপ বাড়ি তিনটি বেডরুম, দুটি বাথরুম, একটি কিচেন এবং একটি বারান্দাসহ চার কাঠা জায়গার উপর ১৭৮ বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট। তিন কাঠা জায়গার উপর ১৮৮৫ বর্গফুট আয়তনের প্রতিটি বি-টাইপ বাড়িতে তিনটি বেডরুম, দুটি বাথরুম, একটি কিচেন এবং একটি বারান্দা রয়েছে। এছাড়া মসজিদ, স্কুল-কাম কমিউনিটি ক্লিনিক-কাম কমিউনিটি সেন্টার, ঈদগাহ, খেলার মাঠ, কবরস্থান এবং সামাজিক বনায়নের সুব্যবস্থা রয়েছে। ২০১৩ সালে ‘পায়রা সমুদ্র বন্দরের’ উদ্বোধনের পর থেকে ক্ষুদ্র আকারে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০১৬ থেকে পায়রা বন্দরে বহির্নোঙ্গরে অপারেশনাল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমানো এবং ব্যাপক সংখ্যক জাহাজ ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যে কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে। মোংলা বন্দর বর্তমানে আধুনিক বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। এ বন্দরে বর্তমানে ছয়টি নিজস্ব জেটি, ব্যক্তিমালিকানাধীন সাতটি জেটি এবং ২২টি এ্যাংকারেজের মাধ্যমে মোট ৩৫টি জাহাজ একসাথে হ্যান্ডেল করা সম্ভব। পানগাঁওয়ে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে।

উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চলের জনসাধারণের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, দারিদ্র্যবিমোচন এবং দেশের সকল এলাকায় উন্নয়নের সমতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমডি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নির্মাণ করা হয়েছে। জাহাজ দুটি কুমিরা-গুপ্তছড়া এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল উপকূলীয় নৌরুটে পরিচালনা করা হবে। এই জাহাজ দুটির মাধ্যমে বছরে ৬.৩০ লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।

মেরিটাইম সেক্টরে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৩ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে সিলেট, রংপুর, বরিশাল ও পাবনায় চারটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিটি একাডেমি ১০ একর জমির উপর অবস্থিত এবং প্রত্যেকটিতে একাডেমিক ভবন, কমান্ডেন্ট ভবন, ডেপুটি কমান্ডেন্ট ভবন, স্টাফ কোয়ার্টার, সুইমিংপুল, জিমনেসিয়াম, মসজিদ, প্যারেড স্কয়ার তৈরি এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি একাডেমির জন্য ব্যয় হচ্ছে ১৩০ কোটি টাকা। একাডেমিগুলো থেকে বছরে ৪০০ ক্যাডেটের পাশাপাশি সমুদ্রগামী মেরিনাররা বিভিন্ন ধাপে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। আন্তর্জাতিক মানের তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা সংবলিত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ গ্রহণান্তে দেশি-বিদেশি কোম্পানির বাণিজ্যিক নৌবহরে কর্মসংস্থানের দ্বিগুণ সুযোগ সৃষ্টি হবে। রেটিংদের (নাবিক) জন্য আন্তর্জাতিক মানের কারিগরি নৌ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রি-সি প্রশিক্ষণ প্রদান করে সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি করার উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট (এনএমআই) ছিলো। মাদারীপুরে একটি এনএমআই প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

আমারসংবাদ/জেআই