Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

টিকা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন স্বাস্থ্যের ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ৯, ২০২১, ০৮:৫০ পিএম


টিকা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন স্বাস্থ্যের ডিজি

এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে অদৃশ্য ভাইরাসের দাপট। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ অতিক্রম করছে দেশ। এতে শনাক্ত-মৃত্যু দুটোই অতীতের চেয়ে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজন ব্যক্তিগত সুরক্ষা তথা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা। রোগী বাছাই করা, রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা আর সার্বজনীন টিকা প্রয়োগ। বাংলাদেশ শুরু থেকে করোনা মোকাবিলায় কিছুটা হোঁচট খেলেও দক্ষ নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ায়। গেলো বছরের মাঝামাঝি সময়ে করোনা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তখন গোটা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক রদবদল হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্ব দেন। ঢাকা মেডিকেলের এই অধ্যাপক প্রধানমন্ত্রী অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে শুরু থেকেই তৎপর ছিলেন।

প্রথম দিন থেকেই জীবনের মায়া ত্যাগ করে তিনি করোনা মহামারি মোকাবিলায় আত্মনিয়োগ করেন। নানা আলোচনা-সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী অর্পিত দায়িত্ব পালনেই মগ্ন ছিলেন। এ যাত্রায় তিনিও করোনা আক্রান্ত হন। তবুও তিনি পিছপা হননি। সবার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, দ্রুত রোগী শনাক্তকরণ ও দেশের মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের তত্ত্বাবধানে ডিজি সবসময় তৎপর ছিলেন বলেই মত জনস্বাস্থ্যবিদদের। ডিজির ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন সবার আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। মহাপরিচালকের গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়নে তার সঙ্গে সার্বিকভাবে কাজ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আক্কাস আলী শেখ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছরের শেষদিকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা ক্রয়ের লক্ষ্যে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার ভারতীয় উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউ ও তার এদেশীয় পরিবেশক বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে সরকার একটি চুক্তি সই করে। সেখানে সরকারের পক্ষে ডিজি সই করেন। ৫৪তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে গণটিকা প্রয়োগ চালু করেন।

সম্প্রতি কাঁচামাল সংকট ও ভারত সরকারের রপ্তানি জটিলতায় অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকা আমদানি বন্ধ থাকলেও বিশ্বের যেসব অঞ্চলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন হচ্ছে সেখানে তিনি সরকারের মুখপাত্র হিসেবে টিকা সংগ্রহের বিষয়ে যোগাযোগ করছেন। যেকোনো মূল্যে দেশের মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে তিনি কাজ করছেন।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে অনেক পরিবর্তন চোখে পড়ছে। সারা দেশের হাসপাতালগুলো একসাথে কোভিড ও ননকোভিড রোগীর চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজধানীতে দেশের সবচেয়ে বড় কোভিড হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। এসব পরিবর্তন ধরে রাখতে হলে দক্ষ নেতৃত্ব ধরে রাখতে হবে। কর্মঠ মানুষকে মূল্যায়িত করতে হবে। কাজের বিবেচনায় পুরস্কৃত করতে হবে। নয়তো ইতিবাচক পরিবর্তন ধরে রাখা কঠিন হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ করোনার প্রতিষেধক টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকার সংকট তৈরি হওয়ায় প্রথম ডোজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন আরও ৩৪ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৬ জন।

আমারসংবাদ/জেআই