Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুশীলনের বিকল্প নেই

প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ

মে ৯, ২০২১, ০৯:০৫ পিএম


বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুশীলনের বিকল্প নেই

বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যিক কাউটে লিও নিকোলায়েভিচ তলস্তয় ‘আন্না কারেনিনা’ উপন্যাসের শুরুতে লিখেছেন— ‘অবলোনস্কিয় পরিবারের সবকিছু কেমন এলোমেলো হয়ে গেল।’ বাক্যটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু বিশাল অর্থবহুল। আন্না কারেনিনা উপন্যাসে তলস্তয় সমাজ সমালোচনা পরিবার দিয়ে শুরু করলেও তা স্পর্শ করেছে সমাজ ও রাষ্ট্রের জনজীবনেরই অচ্ছেদ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলো।

বিশ্ব মানচিত্রে বাংলা, বাঙালির অস্তিত্ব ও জাতিসত্তার বিকাশে সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা ও এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে বৈশ্বিক করোনা সংকটে যখন স্বল্পপরিসরে উদযাপনের মধ্য দিয়ে সমগ্র জাতি সুদৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই রাষ্ট্রীয় মূলনীতির দর্শন ও জনসার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করেছে ধর্মের নামে লেবাসধারী সুবিধাভোগী প্রতিক্রিয়াশীলচক্র।

১৯৭৫র কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পটপরিবর্তনের সুযোগে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র, বিশেষ করে রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সর্বত্র একটি সুবিধাভোগী গ্রুপ বা সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেটগোষ্ঠীর বেপরোয়া আচরণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ নামক বৃহত্তর পরিবারের সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেছে। এই এলোমেলো অবস্থা থেকে উত্তরণে তথা জনজীবনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে জনসার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচার-বিশ্লেষণ আজ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতিহাসের দায়শোধ ও আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমাদের ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এগিয়ে যেতে হবে।

সার্বজনীন মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে যেকোনো রাষ্ট্র বা সমাজ টিকে থাকে। এই মূল্যবোধের মূল ভিত্তি হলো ঐ সমাজ বা রাষ্ট্রে বসবাসরত মানুষের জীবনাচরণের আনুসঙ্গিক উপকরণ। যা মানুষকে সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগায়। আবহমানকাল ধরে এমনি অভিন্ন জীবনাচারণ বঙ্গদেশীয় সমাজ-সংস্কৃতিতে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। হাজার বছরের নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয়গোষ্ঠী, নানান শ্রেণির মিলন, পারস্পরিক প্রভাব ও সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে বঙ্গীয় সেই সংস্কৃতি। বহু শতাব্দি ধরে ধর্মীয়, সাহিত্য, সংগীত, ললিতকলা, ক্রীড়ার সার্বজনীন প্রভাবের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের জ্ঞান, আচার-আচরণ, বিশ্বাস, রীতিনীতি, নীতিবোধ বিকশিত হয়েছে। এরই আঙ্গিকে গড়ে উঠেছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক অর্জিত কীর্তিসমূহের প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে সমাজব্যবস্থায় সার্বজনীনতা লাভ করেছে। আর্য, সেন, তুর্কি, পর্তুগাল, মোগল, ইংরেজ, ফরাসি শাসক প্রভাবিত ধর্ম, দর্শন, ধারণা, সাংস্কৃতিক ধারা বা শাসন কাঠামো যা কিছু বঙ্গীয় অঞ্চলে এসেছে, তা স্বল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গীয় চরিত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। লাভ করেছে স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। লক্ষ্য করা যায়- বৈদিক, বৌদ্ধ, জৈন, ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল বঙ্গীয় অঞ্চল থেকে বহু দূর হওয়া সত্ত্বেও কোনো ধর্মের আদি বা অকৃত্রিম রূপ এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। বরং, এসব ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে স্থানীয় ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচরণের সমন্বয় ঘটেছে। এ সার্বজনীন স্বাতন্ত্র্যীয় আচারবোধের কারণে বঙ্গদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মাঝে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও সামাজিক রীতিনীতির অপূর্ব মিলন লক্ষ্য করা যায়।

ব্রিটিশ ও তৎপরবর্তী পাকিস্তান উপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠী শাসনকার্যের স্থায়িত্বের তাগাদা থেকে বাঙালির চিরাচরিত সার্বজনীন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের মধ্যে ফাটল ধরানোর কৌশলের আশ্রয় নেয়। তারা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আচরণে বিভাজিত রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করতে গিয়ে সমাজ রাষ্ট্রে এক ধরনের ধর্মীয় উন্মাদনার বিস্তার ঘটায়। মানুষে মানুষে মানবিক, সামাজিক হূদ্যতার জায়গা দখল করে নিতে থাকে ধর্মীয় বিভাজন। এই বিভাজন অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং ধর্মীয় সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সার্বজনীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। রাজনীতি, সমাজদর্শন, ধর্মীয় উপাসনালয়, সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় উন্মাদনার বিভৎস প্রভাব বাঙালির সার্বজনীন মূল্যাবোধ নষ্ট করে দেয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে মুক্তি সংগ্রামের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে সার্বজনীনতা রক্ষায় অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। তাই, স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকে সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, শ্রেণি ব্যবধানের ঊর্ধ্বে থেকে সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুপ্রবেশ নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো— ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে মর্মান্তিকভাবে হত্যার পর নীতি-আদর্শহীন ক্ষমতা দখলদার শাসকগোষ্ঠী আবারো ক্ষমতা স্থায়িত্বের কৌশল হিসেবে রাজনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুশাসনে ধর্মকে নিয়ে আসে। দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির বলয়ে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার হীনউদ্দেশ্যে সর্বক্ষেত্রে একটি সুবিধাভোগীগোষ্ঠী সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রীয় নিষ্ক্রীয়তার সুযোগে ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে ধর্ম ব্যবসায়ীরা সংগঠিত হতে থাকে এবং কিছু উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে অধিকাংশ ধর্মীয় উপাসনালয়ে ধর্ম ব্যবসায়ী সুবিধাভোগীগোষ্ঠী গড়ে ওঠে। ধর্মীয় লেবাসধারী এ মহলটি ধর্মের নামে মসজিদ মাদ্রাসায় তাদের সামগ্রিক আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। ধর্মীয় উপাসনালয় ও আচার অনুষ্ঠানসমূহে রাষ্ট্র ও সরকারের কোনো পর্যবেক্ষণ বা নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সার্বজনীনতা হ্রাস পেতে থাকে। জিম্মি হয়ে পড়ে সাধারণ অসহায় ধর্মপ্রাণ মানুষ। সাধারণ মানুষের এ অসহায়ত্বের সুযোগে বিগত কয়েক বছর থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এমনকি জাতীয় মসজিদে ইসলামী লেবাসধারী কিছু সংগঠন মিটিং-মিছিলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে। ফলে ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বজনীনতা ক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

অথচ, মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল ধরনের উপাসনালয় দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম সার্বজনীন বৈশিষ্ট্যে গড়ে উঠেছিল এবং জাতি, ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে সকলের নিকট ধর্ম ও আদর্শ চর্চাকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হতো।

আশার কথা হচ্ছে-সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে। বিলম্বে হলেও এ নির্দেশনা দেশের জনগণ তথা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রকাশ ঘটেছে। কেননা, আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণ তথা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টিকতে পারে না।

ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোত্র ভেদে সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রে সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের সার্বজনীন অধিকার রয়েছে স্ব স্ব ধর্মীয় উপাসনালয়ে। কাজেই, কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলীয় ব্যানারে ধর্মীয় উপাসনালয়ের সার্বজনীনতা প্রশ্নবিদ্ধ করা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এপ্রেক্ষিতে পবিত্র মসজিদে সকল ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ন্যায্য ও ন্যায়সংগত সমঅধিকার সংরক্ষণে তথা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সার্বজনীনতা রক্ষার দায়িত্ব সরকার ও রাষ্ট্রের। প্রশাসনিক ব্যবস্থায় উচ্চ সুবিধাভোগীদের দুর্বলতা বা নিষ্ক্রীয়তার কারণে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সার্বজনীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রমান্বয়ে সর্বক্ষেত্রে সুবিধাবাদী প্রভাবশালী গ্রুপ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এসব সুবিধাভোগী গ্রুপ বা শ্রেণি স্বার্থ চরিতার্থ করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপের মাধ্যমে সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করায়। বাস্তবতার নিরিখে জনসার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকারকে জরুরি ও সুস্পষ্ট পরিকল্পনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন স্তরে কমিটি গঠন করে সুদৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এ কমিটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ওয়াচডগের ভূমিকায় থেকে উগ্র মৌল ও জঙ্গিবাদ প্রতিহতে সরকারকে অবহিতকরণসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পুঁজিপতিদের আগ্রাসন রোধ করে বাংলাদেশ সামাজিক ও মানবিক মর্যাদার দিকে ধাবিত হওয়ার কথা থাকলেও সেই বাংলাদেশকে সুকৌশলে একদিকে ধর্মীয় উগ্র মৌলবাদের উর্বর ভূমি বানানো হয়েছে, অন্যদিকে নব্য ধনিকশ্রেণির জন্য ব্যাংকব্যবস্থা উন্মুক্ত করে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ফলে তারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করার পাশাপাশি ধীরে ধীরে দেশের সার্বিক উৎপাদন ব্যবস্থা নিজেদের কুক্ষিগত করে নিতে সক্ষম হয়। কার্যত এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা দুর্বৃত্তায়িত হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে অবশ্যম্ভাবী পরিণতি লাভ করে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। এই দুর্বৃত্তশ্রেণি প্রথমে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলো কুক্ষিগত করে। এরপর তারা দেশের সামগ্রিক উৎপাদনব্যবস্থা নিজেদের অনুকূলে নিয়ে নেয়। অর্থনীতির সমস্ত ইন্ডিকেটরগুলো বিশেষ করে শিল্প-কারখানা, ব্যাংক, বিমা, অবকাঠামো উন্নয়ন, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষায় তাদের একক আধিপত্য বিস্তার করে। ফলে সমাজ রাষ্ট্রের জনমানসিকতায় আসে এক ধরনের দুর্বৃত্তায়নপনা। ভোটাভুটির গণতন্ত্রে মনোনয়ন বাণিজ্যের ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংসদের অনেকাংশের নিয়ন্ত্রণ ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। কালো টাকানির্ভর অর্থনীতির কারণে সুষ্ঠু ধারার গণতান্ত্রিকচর্চা গণমানুষের পক্ষে অবস্থান নেয়া আজ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যেহেতু অর্থনীতি ও রাজনীতির মূল নিয়ন্ত্রক এখন ব্যবসায়ী গ্রুপ, তাই বাধ্য হয়ে রাষ্ট্রকে জনাকাঙ্ক্ষার পরিবর্তে অনেকাংশে ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিতে হচ্ছে। উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সংঘবদ্ধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দ্বারা। এই সংঘবদ্ধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যখন যেভাবে খুশি ভোগ্যপণ্যে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের শোষণ করছে। যা সামাজিক অস্থিরতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। অথচ জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাধীনতার সূচনালগ্নে বঙ্গবন্ধুর সরকার এসব উচ্চ মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কব্জা থেকে জনগণকে রক্ষায় টিসিবি গঠন করেন এবং এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল ন্যায্যমূল্যে সরবরাহ করেছিলেন। সামগ্রিক পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবহন ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া আধিপত্য থেকে জনগণকে রক্ষায় বিআরটিসির মাধ্যমে পাবলিক প্রাইভেট প্রতিযোগিতামূলক পরিবহন ব্যবস্থাও গড়ে তুলেছিলেন।

লেখক :  উন্নয়ন গবেষক ও সভাপতি, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)

আমারসংবাদ/জেআই