Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

করোনাকালীন বেকারত্ব ও দারিদ্র্য

অলোক আচার্য

মে ২০, ২০২১, ০৯:১০ পিএম


করোনাকালীন বেকারত্ব ও দারিদ্র্য
  • করোনার প্রভাব সহসাই শেষ হচ্ছে না। রূপ বদলে নতুনভাবে আক্রান্ত করছে মানুষকে। পরবর্তী দশকে অর্থনীতির এই ধারা বিশ্বকে ভোগাবে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। অর্থনীতিকে করোনার প্রভাব নিয়ে চিন্তা করতে হবে কয়েকটি দিক থেকে। এক. যখন করোনা ভাইরাস তার তাণ্ডব চালাচ্ছে তখন অর্থনীতিকে কীভাবে সামাল দেয়া যায়। দুই. করোনা ভাইরাসের প্রভাব যখন কমে আসবে তখন অর্থনীতি পুনর্গঠনে মনোযোগ দেয়া এবং সর্বশেষ দীর্ঘমেয়াদি অর্থনীতিতে যে ক্ষত থাকবে তা সারাতে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবস্থা গ্রহণ। দরিদ্র মানুষের এমন এক অবস্থা যা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত সুযোগের। প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাটাও সময়সাধ্য। কারণ এরই মধ্যে নতুন করে চাকরির বাজারে প্রবেশে অপেক্ষায় থাকবে অনেকে

করোনা ভাইরাস দারিদ্র্যকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে। অর্থনীতির গতি ফেরাতে কর্মসংস্থানে জোর দিতে হবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। করোনার প্রথম ধাক্কার পর বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। বিশ্বের কোথাও কোথাও চতুর্থ ঢেউয়ের ধাক্কা চলছে। কোথাও আবার দ্বিতীয় বা তৃতীয়। সারা বিশ্বেই টিকাদান কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যেই করোনা ভাইরাস প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। চীনের উহান প্রদেশ থেকে শুরু হয়ে ২১৯টি দেশ ও সাতটি মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে গত বছর। তারপর সংখ্যার গণনায় প্রতিদিন বাড়তে থাকে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। যা এখনো চলছে। এই সংখ্যা প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে এই তালিকায় যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সংখ্যা। মৃত্যু এখন কেবল সংখ্যার হিসাব। কোথায় গিয়ে এর তাণ্ডব থামবে তা কারোরই জানা নেই। দুই শতাধিক দেশের এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে অনেকটা সময় প্রয়োজন। তাছাড়া ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর আক্রান্ত হবে না— এমন শতভাগ নিশ্চয়তাও নেই। সুতরাং ধরে নেয়া যায়, করোনা ভাইরাস হয়তো আরও বেশ কিছুদিন এভাবে আতঙ্ক ছড়াবে। এবারের ধাক্কা সামলানোর ক্ষেত্রেও প্রথমবারের ধাক্কার মতো দেশগুলো লকডাউন এমনকি কারফিউর পথে হাঁটছে। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় নিত্য বাণিজ্যিকসহ যাবতীয় কার্যক্রম। প্রাণের মতোই স্তব্ধ করে দিচ্ছে বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি, খেলাধুলা, শিল্পচর্চা— সবকিছু। করোনায় প্রাণের পরই ক্ষতি হয় অর্থনীতির। অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হলেই অর্থনীতি তার স্বাভাবিক গতি হারায়। আর অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলে তা দেশের উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করে দেয়। মানুষ বেকার হয়। কর্মক্ষম মানুষ যখন কর্মহীন অবস্থায় থাকে তখন সেই দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেয়াটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের। সেই ধাক্কা সামলানোও বেশ কঠিন। এটা শুধু আমাদের দেশের অবস্থা নয়। সারা বিশ্বেই কম-বেশি একই পরিস্থিতি। গত বছর করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত যক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছে গিয়েছিল এবং তা অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়েছিল। বেকারত্ব সমস্যা স্বাভাবিক সময়েই অধিকাংশ দেশের জন্যই মাথাব্যথার কারণ। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় বেকার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এখন করোনার কারণে সেই লক্ষ্য কতটা পূরণ করা সম্ভব সেটাই প্রশ্ন। কারণ সারা বিশ্বেই ওলটপালট অবস্থা তৈরি হয়েছে। অর্থনীতির বিভিন্ন খাত বন্ধ রয়েছে যেখানে বিপুলসংখ্যক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। উদাহরণস্বরূপ পর্যটনশিল্পের কথা বলা যায়। তারপর এখন করোনা মহামারিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত নেয়ায় এ সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেকারত্ব, ক্ষুধা এবং দারিদ্র্য— এই তিন ফল করোনা ভাইরাসের কারণে পৃথিবী মোকাবিলা করছে এবং আগামী বহু বছর করতে হবে।

গত ২৯ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ যা ২০১০ সালে ছিলো ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস সংকটের কারণে বাংলাদেশে প্রতি চারজন যুবকের মধ্যে একজন কর্মহীন বা বেকার রয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ডিগ্রি আছে এমন বেকারের সংখ্যা ৪ লাখ। এসব বেকার তরুণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে করোনার কারণে যোগ হওয়া কর্মহীন মানুষ রয়েছে। ফলে করোনায় মানুষের জীবনযাত্রায় পড়েছে বিরূপ প্রভাব। মানুষের ক্রয় সামর্থ্য কমছে এবং এর বিপরীতে সারা বিশ্বেই খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ এখন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব মোকাবিলা করছে। করোনা ভাইরাস চলে গেলেও এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। কাজের সঙ্গে দারিদ্র্য সম্পর্কযুক্ত।

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বেই দারিদ্র্য গ্রাস করছে। ভয়াবহভাবে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসঙ্গে পৃথিবীতে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। সেটা সামাল দেয়া বিশ্বের জন্য চ্যালেঞ্জের। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য। কারণ বেকারত্ব ঘিরে ধরছে এবং সেইসঙ্গে বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছে। চাকরি হারানোর এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যা দারিদ্র্যকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে। শিশুদের ওপরও এই প্রভাব পড়বে। এদিকে করোনা বিশ্বের অনেক মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে টেনে অতি ধনীদের পৌঁছে দিচ্ছে অনন্য উচ্চতায়। অর্থাৎ করোনায় ধনী এবং দরিদ্রের ব্যবধান বাড়ছে। সমাজে বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সম্প্রতি বিশ্ব অর্থনীতির পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির এক বছর পার হয়ে গেলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হলেও উৎকণ্ঠা কমছে না। করোনার প্রভাবে উদীয়মান এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে আয় কমে যাওয়ায় দারিদ্র্যসীমায় নতুন করে যোগ হয়েছে সাড়ে ৯ কোটি মানুষ। এই বৈষম্য সারা বিশ্বের ক্ষেত্রেই ঘটছে। সুষম উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ধনী-দরিদ্র বৈষম্য হ্রাস করা। যেহেতু করোনা ভাইরাসের কারণে প্রাণের পরই অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, ফলে সেটা মানুষের জীবন প্রভাবিত করছে। ক্রয়ক্ষমতা কমেছে বিপরীতে দাম বেড়েছে। বেকার হয়েছে বিপরীতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সেভাবে তৈরি করা যায়নি।

গত বছর অক্টোবরের বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, সারা পৃথিবীতে ১১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিলো। এ সংখ্যা ১৫ কোটি হতে পারে বলে তখন ধারণা করা হয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় এ সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের জীবিকায় প্রভাব ফেলছে। ফলে মানুষ জীবনযাপন প্রক্রিয়া বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে বেসরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুতি, কম বেতনে জীবনযাপন করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যয় কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যদিও করোনার প্রথম ধাক্কার পর সে পরিস্থিতির ক্রমোন্নতি ঘটতে থাকে। এতে আর্থিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। অনেকে এর মধ্যেই গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। গত দুই দশকে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যবিমোচন এবং বৈষম্যরোধে যে অগ্রগতি হয়েছে করোনার প্রভাবে সেটি উল্টো পথে যাচ্ছে। ফলে অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে তা আরও কিছুদিন হয়তো চলবেই। কারণ করোনার প্রভাব সহসাই শেষ হচ্ছে না। রূপ বদলে নতুনভাবে আক্রান্ত করছে মানুষকে। পরবর্তী দশকে অর্থনীতির এই ধারা বিশ্বকে ভোগাবে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। অর্থনীতিকে করোনার প্রভাব নিয়ে চিন্তা করতে হবে কয়েকটি দিক থেকে। এক. যখন করোনা ভাইরাস তার তাণ্ডব চালাচ্ছে তখন অর্থনীতিকে কীভাবে সামাল দেয়া যায়। দুই. করোনা ভাইরাসের প্রভাব যখন কমে আসবে তখন অর্থনীতি পুনর্গঠনে মনোযোগ দেয়া এবং সর্বশেষ দীর্ঘমেয়াদি অর্থনীতিতে যে ক্ষত থাকবে তা সারাতে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবস্থা গ্রহণ। দরিদ্র মানুষের এমন এক অবস্থা যা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত সুযোগের। প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাটাও সময়সাধ্য। কারণ এরই মধ্যে নতুন করে চাকরির বাজারে প্রবেশে অপেক্ষায় থাকবে অনেকে। ‘করোনা ভাইরাস দরিদ্র্যকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে। অর্থনীতির গতি ফেরাতে কর্মসংস্থানে জোর দিতে হবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

বহুদিন ধরেই অর্থনীতির গতি ছিলো ডিজিটালমুখী। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বহু প্রযুক্তি দক্ষ বেকার যুবক-যুবতী আয় করতো। ক্রমেই এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং খাতে যুবকদের আগ্রহও বাড়ছে। বাংলাদেশের মতো বহু দেশ ডিজিটাল আউটসোর্সিংয়ের বৈশ্বিক বাজার ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং আজ একটি জনপ্রিয় ক্যারিয়ার। নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করার সুবিধা থাকা এ খাতের একটি বড় সুবিধা। গত বছর প্রকাশিত এক তথ্যে দেখা যায়, অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের মতে, বাংলাদেশ এখন অনলাইনে শ্রম সরবরাহকারীদের তালিকায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে। বিশ্বে এটি একটি বড় বাজার যা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। শ্রমবাজার এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রাণ ফেরাতে হবে। জোর দিতে হবে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও। যে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে গেছে তাদের অবস্থা এত দ্রুত আগের অবস্থায় ফেরা সম্ভব হবে না যাতে তারা আবার নিয়োগ দিতে পারে। কিন্তু ক্রমোন্নতি করতেই হবে। গতানুগতিক চাকরির বাজার সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি খাতে জোর দিতে হবে। করোনার আগেই আমাদের দেশে উল্লেখযোগ্য হারে বেকার ছিলো, করোনার সময় বেকার হয়েছে এবং করোনা পরবর্তী সময়ে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির বাজারে আসবে বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী। কীভাবে কর্মসংস্থানের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করছে কর্তৃপক্ষ। কারিগরি ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হয়। তখন চাকরির বাজারে হন্যে হয়ে না ছুটে নিজেই নিজের কর্ম স্থির করা সম্ভব হয়। বাইরের দেশেও কারিগরি দক্ষ শ্রমের মূল্যায়ন বেশি। একটি বৈষম্যমূলক পৃথিবীতে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা কষ্টকর হয় এবং তা সম্ভব হয় না। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং সেখানে অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে হবে। এখন করোনার জন্য এ লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও মহামারির প্রভাব কেটে গেলে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের প্রয়োজন একটি বৈষম্যহীন পৃথিবী এবং বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা।

লেখক: কলামিস্ট

আমারসংবাদ/জেআই