Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বাজেট ডিজিটাল দেশ বিনির্মাণে সহায়ক নয়

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

জুন ৪, ২০২১, ০৮:০০ পিএম


বাজেট ডিজিটাল দেশ বিনির্মাণে সহায়ক নয়

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক নয় বলে মনে করছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ২০১৬ সাল থেকেই গ্রাহকদের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়। সরাসরি গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩৩.২৫ শতাংশ কর আদায় করা হয়। আর ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ২১.৭৫ শতাংশ কর আদায় করা হয়।

তিনি বলেন, এ ছাড়াও কমিশনের রাজস্ব ভাগাভাগি, সিমট্যাক্স, কর্পোরেট ট্যাক্স মিলিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৫৮ শতাংশ কর আদায় করা হয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে দাবি করে আসছিল অন্ততপক্ষে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হোক। বর্তমান করোনা মহামারির মধ্যে দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, বাণিজ্য, সরকারি-বেসরকারি, অফিস-আদালত, এমনকি ব্যক্তিগত দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িত কর্মকাণ্ড, প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন অফিসিয়াল কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে কৃষকদের ধান কেনাসহ সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম সরকার করোনা মহামারি সামনে রেখে অন্ততপক্ষে সম্পূরক শুল্ক ইন্টারনেটের উপর কিছুটা হলেও কর প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কর কোনোভাবেই কমানো হয়নি। সম্প্রতি জিএমএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ফোর-জি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মাত্র ২৮ শতাংশ। সরকার প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে কাজ করছে।

‘অন্যদিকে কর না কমিয়ে উল্টো হ্যান্ডসেট ডিভাইসের উপর অর্থাৎ আমদানির ওপর কর বৃদ্ধি করা হলো। একজন সাধারণ প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহক বা একজন শিক্ষার্থী কিভাবে একটি মানসম্পন্ন ডিভাইস ক্রয় করবে। সার্বিক দিক বিচার বিবেচনা না করে এই বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। যদিও ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে রাউটার, মডেমসহ কিছু যন্ত্রাংশে কর কমানো হয়েছে কিন্তু শর্ত হলো এ সকল যন্ত্রাংশ দেশে উৎপাদিত হতে হবে। কিন্তু এসব যন্ত্রাংশ দেশে এখনো মানসম্পন্ন ভাবে উৎপাদন হয় না। ফলে আমদানির কর বৃদ্ধি পাবার খেসারত গ্রাহককে দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সরকারের প্রতি দাবি করছি এখনো সময় আছে বাজেট অধিবেশন চলার সময় বাজেট বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার, সিমট্যাক্স প্রত্যাহার, ও হ্যান্ডসেট ডিভাইসের মূল্য হাতের নাগালে রাখতে কিংবা সরকারি অথবা বেসরকারিভাবেই হোক প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রাহক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক।

একই সঙ্গে আমরা এমএফএসএর কর্পোরেট ট্যাক্স বৃদ্ধির সংবাদের সাথে সাথে কিছু গণমাধ্যমে মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানোর খরচ বাড়ছে এই কথাটি যাতে এমএফএস প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করতে না পারে উল্টো কিভাবে এমএফএসের চার্জ কমানো যায় সেই বিষয়ে বাজেট প্রস্তাবের না থাকলেও বাজেট আলোচনায় সংশোধনাগারে উপস্থাপনের অনুরোধ করছি।

আমারসংবাদ/জেআই