Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বেড়েছে মাছ মুরগির দাম

এম এ আহাদ শাহীন

জুন ১১, ২০২১, ০৫:৫০ পিএম


বেড়েছে মাছ মুরগির দাম

রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দামের পর বেড়েছে ডিম, মুরগি আর মাছের দাম। তবে আগের মতোই চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সেই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করেই বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গিয়েছিল, যে কারণে দাম বেড়ে যায়। ৪০ টাকা থেকে লাফিয়ে দাম বেড়ে কেজি ৬০ টাকা হয়ে যায়। তবে এখন সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে এখন খুচরায় ৫০ টাকায় নেমে এসেছে।

রামপুরার ব্যবসায়ী মো. সালাম শেখ বলেন, দাম বৃদ্ধি দেখে অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন। এতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যায়। তবে এখন চাহিদা কমেছে। আবার দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে। এ কারণে দাম কমেছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী গৌতম বলেন, ভারত থেকে আসা বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যায়। সেই সঙ্গে ফরিদপুরের বাজারেও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম ছিলো। যে কারণে হুট করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এখন সরবরাহ অনেকটাই ঠিক হয়ে গেছে। যে কারণে দাম কমেছে।

এদিকে ব্রয়লার, সোনালি ও লাল লেয়ার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা।

মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী জহিরুল বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে হেরফের হয়নি। এখন সোনালি মুরগি তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের ধারণা আর বেশি দিন এই অবস্থা থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যে সোনালি মুরগির দাম বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আগের মতো ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে শসা, বেগুন, পটোল, ঢেড়সের দাম। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঢেড়সের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাঁজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক কেজি কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আয়নাল বলেন, প্রতি বছরই এমন সময় সবজির দাম একটু বেশি থাকে। শীতের সবজি আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম বরং সামনে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।

মুগদা বাজারে বাবুল খান নামের এক ক্রেতা বলেন, আগে বলতো গরিব মাংস কিনে খেতে পারছে না। এখন গরিব নয়, মধ্যবিত্তরাও গরুর মাংস কিনতে পারে না। আর নিত্যপণ্যের দামের কথা বলে লাভ নেই। যখন যার খুশি দাম বাড়ায়, এসব দেখার কেউ নেই। গত সপ্তাহে হঠাৎ কারণ ছাড়াই পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বাড়ালো, ক্রেতাদের পকেট কাটলো। সরকার কি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে। বাজেটও বলে ব্যবসাবান্ধব। তাহলে আর আমাদের কথা বলে লাভ কী? আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কষ্ট করেই বেঁচে থাকতে হবে।

ক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে আয় কমেছে সাধারণ মানুষের। রাজধানীর মানিক নগর এলাকার বাসিন্দা তানিয়া সুলতানা বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও বেতন বাড়ে না, ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার ফলে মধ্যবিত্তদের যে কষ্ট হয় তা কেউ বোঝে না বলেও জানান তিনি।

আমারসংবাদ/জেআই