Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সীমান্তের জেলায় বাড়ছে মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১৯, ২০২১, ০৬:৩০ পিএম


সীমান্তের জেলায় বাড়ছে মৃত্যু
  • সারা দেশে আরও ৬৭ জনের মৃত্যু
  • গতকাল খুলনায় মৃত্যু ২৪ জনের
  • ৩০ সীমান্তবর্তী জেলা উচ্চঝুঁকিতে
  • খুলনা ও রাজশাহীতে বেশি শনাক্ত-মৃত্যু
  • ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে উচ্চ সংক্রমণ

করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। ঈদের আগে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমতে শুরু করে। এরপরই গেলো ৮ মে দেশে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এতেই সীমান্তবর্তী জেলায় অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এখন ডেল্টার গণসংক্রমণ শুধু সীমান্তে আবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে শহরাঞ্চলে শনাক্ত-মৃত্যু বাড়লেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। শনাক্ত-মৃত্যু এখন সীমান্তবর্তী জেলায় সবচেয়ে বেশি। দেশের ৩০টি সীমান্তবর্তী জেলার মধ্যে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল সারা দেশে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে শুধু খুলনা বিভাগেই ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরই রয়েছে ঢাকা বিভাগের অবস্থান। ঢাকায় গতকাল ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে আট ও রংপুর বিভাগে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সিলেট বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজধানীসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ৫২৮টি আরটিপিসিআর, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট ল্যাবে গতকাল ১৬ হাজার ৯৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬৩ লাখ পাঁচ হাজার ৫০৩টি নমুনা। এতে নতুন করে আরও তিন হাজার ৫৭ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৪৮ হাজার ২৭ জন। তার মধ্যে গতকাল সুস্থ হওয়া এক হাজার ৭২৫ জনকে নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৮০ হাজার ১৪৬ জন।

এছাড়াও গতকাল ৬৭ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৬৬ জনে। গতকাল শনাক্তের হার ১৮ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের ৩৪ জন পুরুষ, ৩৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ২৭ জনের বয়স ছিলো ৬০ বছরের বেশি, ২২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত দুটোই উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে (১৩ জুন-১৯ জুন) তার আগের সপ্তাহের (৬ জুন-১২ জুন) চেয়ে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। এই সময়ে রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার ২২ শতাংশ বাড়ার পাশাপাশি সুস্থতার হারও বেড়েছে ১০ শতাংশ।

আমারসংবাদ/জেআই