Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

জলে যেতে বসেছে শত কোটি টাকা!

মেহেদী হাসান মাসুদ

জুন ২০, ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম


জলে যেতে বসেছে শত কোটি টাকা!
  • মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন হয়নি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
  • প্রধান শিক্ষকরা সিন্ডিকেটের কবলে
  • বায়োমেট্রিক ডিভাইস ক্রয়ে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ
  • মনিটরিং কমিটির উদাসীনতা

বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন সরকারের ডিজিটাল মিশন-ভিশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা কোনো কর্মচারীর প্রতিষ্ঠানে আসা এবং যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় পুঙ্খানুপুঙ্খ রেকর্ড করে। এর ফলে ওই সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের অনুপস্থিত থাকার সুযোগ থাকে না। তবে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে নানান দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর উঠে আসছে। সবার প্রশ্ন, হাজিরা নিয়ে স্বচ্ছতা আনার যন্ত্র ক্রয়েই যদি অনিয়ম হয় তাহলে এর ব্যবহারে কতটুকু সুফল আসবে! 

দেশজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের স্কুলে উপস্থিত নিয়ে প্রায় অনিয়মের কথা উঠে আসতো। এর প্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কেনাটাকায় সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক বেলাল হোসেন ও বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মাসুদ

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬২০টি। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গেলো দু’বছর পেরিয়ে গেলেও যন্ত্রটি স্থাপন সম্পন্ন হয়নি অনেক উপজেলায়। অচল হয়ে পড়েছে হাজার হাজার বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন। এতে সরকারের শত কোটি টাকা জলে যেতে বসেছে।

তবে দায় নিচ্ছেন না কেউ। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্লিপ প্রকল্প থেকে যন্ত্রটি কেনা বাবদ ব্যয় নির্বাহ করা হবে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্বে যন্ত্রটি কিনে নেবে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন পত্রের মাধ্যমে একাধিক নির্দেশনা দেয়া হয় মাঠপর্যায়ে। মনিটর করার জন্য বিভাগীয় উপ-পরিচালক আহ্বায়ক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সদস্য ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়, এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় গোপালগঞ্জ, জয়পুরহাট, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, খুলনা, ঝালকাঠি, বগুড়া, কুমিল্লা, রাজবাড়ী, কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের সাথে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক শিক্ষক আমার সংবাদকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্পেসিফিকেশন কিংবা বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়। কখন কী করতে হবে তা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। ফলে মাঠপর্যায়ে এর গুরুত্ব কমে যায়। সিন্ডিকেটকারীরা সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে, বড় ধরনের দুর্নীতি করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। পরবর্তীতে করোনাকালের কারণে শত কোটি টাকা ব্যয়ে বায়োমেট্রিক ইস্যু সম্পূর্ণ চাপা পড়ে যায়। অধিকাংশ প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করে বলেছেন, পূর্ণ সেট না হলেও সম্পূর্ণ টাকা মধ্যস্থকারীরা চাপ দিয়ে কোম্পানিকে পরিশোধে বাধ্য করেছে।

ঝালকাঠি জেলার একাধিক প্রধান শিক্ষক আমার সংবাদকে বলেন, স্যারদের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা শতাধিক স্কুল ২৯ হাজার ৫০০ টাকা করে দিয়েছি। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসে সেট করে দিয়েছে। পরে জানতে পারি অনেকেই একই স্পেসিফিকেশন ব্যক্তিগতভাবে অনেক কম টাকায় স্থাপন করেছেন। অবশ্য কেউ কেউ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকার মতো ব্যয় করেছেন। কারো কারো টাকা এখনো পরিশোধ করা হয়নি। অনেকেরই আবার যন্ত্রটির মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন।

বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমাদের উপজেলাতে ১১-১৫ হাজার টাকার মধ্যে পূর্ণ মেশিন সেটআপ করা হয়েছে। যন্ত্রগুলো এখনো সচল আছে। এছাড়া কক্সবাজার জেলার কয়েকটি উপজেলার বহু সংখ্যক শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যন্ত্রটি ক্রয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন।

তারা আমার সংবাদকে বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আমরা টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি, কোম্পানি থেকে ডিভাইস স্কুলে পৌঁছিয়ে দিয়েছে। ২০-৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে সিন্ডিকেট ব্যবধানে। ব্যক্তিগতভাবে যারা স্থাপন করেছেন তাদের অর্ধেক দামে হয়েছে। কেউ বলেন— যন্ত্রটি কাজ করছে না, কেউ বলেন— এখনো যন্ত্রটি স্থাপন করিনি।’

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহু সংখ্যক প্রধান শিক্ষক বলেন, সরকারি টাকা! আমাদের কর্মকর্তা যা নির্দেশনা দিয়েছেন তাই করেছি। ২৩ হাজার ৭০০ টাকায় চুক্তি করেছে ক্রয় কমিটি, একই স্পেসিফিকেশন অনেক কম টাকায় অন্য কোম্পানি দিতে চেয়েছিলো। আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কোম্পানির লোক কী সেট করে দিয়েছে জানি না, চাপে পড়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। অনেক যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলায় মাত্র ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে, পাংশার অনেক স্কুল ডিভাইস স্থাপন করেননি। যন্ত্র সেট করে বিলে যে ধরনের বিবরণ ব্যয় দেখানো হয়েছে সেটি স্পষ্ট লুটপাট হয়েছে। তারা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।

পাংশার কেউ কেউ বলেন, আমরা এখনো ডিভাইস ক্রয় করিনি, কেউ বলেন রাজনৈতিক সিন্ডিকেট ছিলো; আবার কেউ কেউ বলেন টাকা আমাদের যৌথ অ্যাকাউন্টে আছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয়-স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই অনেক উপজেলায় কতিপয় শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে শিক্ষক নেতাদের সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়। বিদ্যালয়ের রাজনৈতিক প্রভাবশালী পরিচয়ধারী সভাপতি, শিক্ষক নেতা ও কতিপয় সুবিধাবাদী প্রধান শিক্ষককে নিয়ে সিন্ডিকেট করেন। এসব সিন্ডিকেট অতিরিক্ত দামে যন্ত্রটি ক্রয়ে বাধ্য করে। মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী যন্ত্রটি ক্রয় করা হয়নি। স্পেসিফিকেশন উপেক্ষা করে জেলা, উপজেলা ভেদে দামের পার্থক্য আকাশ-পাতাল।

গোপালগঞ্জ, খুলনা, ঝালকাঠি, বগুড়া, কুমিল্লা, রাজবাড়ী, কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় কিছু বিদ্যালয় ১১ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে যন্ত্রটি ক্রয় করেছে। অথচ ওই একই জেলা, উপজেলায় অধিকাংশ বিদ্যালয় যন্ত্রটি স্থাপনে ব্যয় করেছে ২০ থেকে ৩৪ হাজার টাকা। এছাড়া দুই বছর পেরিয়ে গেলেও অনেক বিদ্যালয় এখনো যন্ত্রটি সম্পূর্ণ বুঝে পায়নি। আরও মজার ব্যাপার হলো— বেশি দাম দিয়ে কেনা যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ কম দামে কেনা যন্ত্র সচল রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ উপজেলাতে কেনাকাটায় মধ্যস্থতা করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা। কোনো কোনো জেলায় খোদ জেলা কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল হক বলেন, ‘এখানে ক্রয় কমিটি কাজ করেছে। আমি তদারকি করেছি। সার্ভারের দাম কোটি কোটি টাকা, তাই এটা ব্যক্তিগতভাবে ক্রয় করার সুযোগ নেই।’

শিক্ষকদের বাধ্য করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘কোনো শিক্ষকের অভিযোগ থাকলে আমার সামনে আসুক, ওসব ফালতু কথা বলে কোনো লাভ নেই, পারলে আমার সামনে আসুক বারোটা বাজিয়ে দেবো, থাপ্পর দিয়ে দাঁত উল্টিয়ে দেবো, সাংবাদিকের কাছে কী? পারলে আমার সামনে আসুক, ইয়ার্কি করার জায়গা পায় না’ এমন কথা বলে তিনি মোবাইল সংযোগ কেটে দেন।’

ওপরদিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এখানে যোগদান করেছি। শুনেছি অধিকাংশ বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক ডিভাইস স্থাপনে ২৯ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আসলে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না!’ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম সগীর বলেন, ‘পটুয়াখালীর জেলার অধিকাংশ বিদ্যালয় দুর্গম এলাকায়, বিদ্যুৎ নেই। আমাদের রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৭১টি বিদ্যালয় আছে, যেখানে বিদ্যুৎ না থাকায় ডিজিটাল হাজিরা স্থাপন করা হয়নি। তবে আমরা বিধিমোতাবেক ওই টাকা দিয়ে অন্য কাজ করেছি।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মূলত ওই সময়ে ছিলাম না, তবে কোনো অভিযোগ উঠলে সেটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’ অনুসন্ধানে আমার সংবাদের কাছে এমন কিছু চুক্তিপত্র এসেছে যেখানে সকল শিক্ষকের পক্ষে ক্রয় কমিটি দেখিয়ে মাত্র কয়েকজন শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। বিদালয়ে দেয়া বিলপত্রে ডিভাইস, ডোমেইন, হোস্টিং, সিম ও বিভিন্ন ইস্যুতে অর্ধেক টাকাই নয়ছয় ব্যয় দেখানো হয়েছে। অথচ বিবরণীর অনেক কিছুই এখনো অনেক বিদ্যালয় বুঝে পাইনি। ইন্টারনেট বাবদ বাৎসরিক চার্জও নেয়া হয়েছে বিদ্যালয় থেকে, অথচ ইন্টারনেট সংযোগই দেয়া হয়নি। মাত্র চারটি ‘স্ক্রু’ দিয়ে যন্ত্রটি স্থাপনে মজুরি ধরা হয়েছে দুই হাজার টাকা করে।

ডিজিটাল মেশিন ক্রয়ে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন চূড়ান্তকরণে তৎকালীন ২০১৯ সালে সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোর জন্য বেশ কিছু চিঠি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়। এ চিঠিগুলোর বেশির ভাগ উপসচিব আছমা সুলতানার স্বাক্ষরিত থাকায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমার সংবাদকে বলেন, এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। বর্তমানে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন কতগুলো স্কুলে বাকি আছে— এরকম প্রশ্ন করলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে জানতে হলে প্রাথমিকের ডিজি অফিস থেকে তথ্য নিতে হবে।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হাজিরা মেশিন ক্রয়ে বেশ কিছু অনিয়ম ওই কর্মকর্তার সময়ে হয়েছিলো (আছমা সুলতানা)। উনি তো কিছু বলবেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

পরবর্তীতে এ বিষয়ে জানার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক আইএমডি (তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ) মো. বদিয়ার রহমানকে ফোন করলে বলেন, ‘সরি, এগুলো অনেক পুরনো জিনিস। আমার কাছে কোনো তথ্য নেই’— বলে ফোন কেটে দেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ জুনেও ডিজিটাল হাজিরা মেশিন সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু করেন এ কর্মকর্তা। সর্বশেষ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমকে এ বিষয়ে জানার জন্য ফোন দিলে তিনি মিটিং আছেন বলে জানান। প্রাথমিকের ডিজিকে এ বিষয়ে জানার জন্য কয়েকদিন মেসেজ পাঠিয়ে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

তবে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পিইডিপি-৪ আমার সংবাদকে বলেন, ‘ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এখানে কারো কোনো গাফিলতি কিংবা দুর্নীতি থাকলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে’— বলে জানান এ কর্মকর্তা। এদিকে সারা দেশে এখন হাজার হাজার এ হাজিরা মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তবে শিক্ষকরা বলছেন, ঊর্ধ্বতন থেকে বিষয়টি কঠোর নজরদারিতে আনলে হয়তো কোম্পানি কর্তৃক চুক্তি অনুযায়ী ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি দেয়া ডিভাইসগুলোর একটা ব্যবস্থা হতে পারে বলেও তারা জানান। 

আমারসংবাদ/জেআই