Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি

জুন ২১, ২০২১, ০৬:০৫ পিএম


কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি
  • মাতারবাড়ি ২ঢ৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে, ২০২৪ সালে চালু হবে —বলছেন সংশ্লিষ্টরা
  • বিদ্যুৎ খাতে সরকারের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ীই কাজ করবে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি —মো. আবদুল মোত্তালিব   ব্যবস্থাপনা পরিচালক

বর্তমানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র থেকেই উৎপাদিত হচ্ছে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের বেশির ভাগ। পক্ষান্তরে ভবিষ্যত বিদ্যুৎ চাহিদার তুলনায় গ্যাসের মজুদ নিতান্তই অপ্রতুল। দেশের ক্রমবর্ধমান এই বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো ও প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর নির্ভরতা কমাতেই ২০১১ সালে সরকার প্রতিষ্ঠা করে সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (সিপিজিবিএল)। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই দেশের যেসব এলাকায় চাহিদা বাড়বে সেসব এলাকায় কয়লাভিত্তিক পাওয়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মোত্তালিব।

জ্বালানি হিসেবে কয়লা তুলনামূলকভাবে স্বল্প মূল্যের হওয়ায় এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ অপ্রতুলতার কারণেই সরকারের গৃহীত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে সরকার— এমনটা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া দেশের বিদ্যুৎ খাতে জ্বালানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রাধান্য দিয়ে জাপান সরকারের সহায়তায় পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই সিপিজিসিবিএল সর্বাধুনিক আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ ইতোমধ্যে গ্রহণও করেছে। এ লক্ষ্যে সিপিজিসিবিএল বেসরকারিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নীতিমালা অথবা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথবা সরকারের অন্য কোনো নীতিমালা অনুসরণকরত বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ করবে বলে জানা গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মোত্তালিব আমার সংবাদকে বলেন, ‘বর্তমানে ২ী৬ (৬০০ মেঘাওয়াটের দুই ইউনিট) একটা প্রকল্প চলমান রয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় কয়লা লোড-আনলোডের জন্য বন্দরসহ মাতারবাড়ী ২ঢ৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের নিমিত্তে ইতোমধ্যে এক হাজার ৬০৮ একর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আইএইচআই কর্পোরেশনের কনসোর্টিয়ামকে মাতারবাড়ি ২ঢ৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ইপিসি ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট থেকে ইপিসি ঠিকাদার ওই বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজও শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। গত বছর বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ছিলো ৩২.৮০ শতাংশ। ২০২৪ সালের শুরু দিকে কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই প্রকল্পটির উন্নয়ন কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচটি ভবিষ্যৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি।ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির ব্যবস্থা পরিচালক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ সরকার মালিকানাধীন, সরকার যখন যা বলবে, সেভাবেই কাজ করবে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি।’ তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সরকারের যে মাস্টারপ্ল্যান রয়েছে, ওই মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী সরকার যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবেই করবো। চাহিদা যেভাবে বাড়বে যেমন— কোন এলাকায় চাহিদা বাড়বে, কোন এলাকায় পাওয়ার স্টেশন স্থাপন করবে— এটা সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যাপার। তাই সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত হবে, সেভাবেই আমরা করবো।’

জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি যদিও ২০১১ সালে নিবন্ধিত হয়েছে, কিন্তু কাজ শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে। তৎকালে তিনি দায়িত্বে ছিলেন না জানিয়ে বলেন, যে সময়কাল দেয়া আছে চলমান প্রকল্পের, সে হিসাবে ২০২৪ সাল থেকে কার্যক্রম চালু করবে, ৬০০ মেগাওয়াটের ওই দুটি ইউনিট।’

আমারসংবাদ/জেআই