Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

মাদক এবং ভেজাল ওষুধ রোধ করুন

মীর আবদুল আলীম

জুন ২৭, ২০২১, ০৭:০৫ পিএম


মাদক এবং ভেজাল ওষুধ রোধ করুন

ল্যাবরেটরি দুর্বল, জনবলের অভাব আছে তা বলতেই হয়। যেকোনো ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর এ জাতীয় ওষুধ তৈরি এবং বাজারজাত বন্ধ করা জরুরি। সেদিনের পত্রিকার দুটি শিরোনাম ছিলো এমন ‘মাদক : মারাত্মক ধরনের ভেজাল’। আরেকটি ‘বাজারে ভেজাল নিম্নমান ও নিষিদ্ধ ওষুধ’! মাদকেও ভেজাল; ওষুধেও ভেজাল। কোনোটাই সুখকর পাওয়ার মতো খবর নয়। ভাবা কি যায় প্রাণরক্ষাকারী ওষুধে ভেজাল! ওষুধে ভেজালের সংবাদ জনমনে শঙ্কা সৃষ্টি করে। আর মাদক তো এমনিতেই আমাদের দৃষ্টিতে ভেজাল কিছু তাতে ভেজাল হলে উপায় কি!

উপরের সংবাদগুলো আমাদের অনেক বেশি ভাবিয়ে তোলে বৈকি! বাজারে নাকি সয়লাব ভেজাল, নিম্নমান ও নিষিদ্ধ ওষুধে। কিছুতেই ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। একের পর এক ভেজাল ওষুধ ধরা পড়ছে। শুধু তাই নয়— মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির ঘটনাও ঘটছে। আর নিষিদ্ধ ও অপরীক্ষিত অনেক বিদেশি ওষুধ দেশে এনে নতুনভাবে প্যাকেটজাত করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ দূরের কথা, ওষুধ জ্ঞানসম্পন্ন অনেক ব্যক্তির পক্ষেও এসব ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ শনাক্ত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ওষুধের উৎপাদন, মজুত, বিক্রয়, বিতরণ ও বিপণন স্থগিত করেই দায়িত্ব শেষ করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তাদের কোনো মনিটরিং কার্যক্রম নেই। দেশে বর্তমানে ১৫৪ ওষুধ কোম্পানির মধ্যে অধিকাংশই নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের আবেদন করেই ওষুধ প্রস্তুত করে চলেছে। ওষুধের মান নির্ণয় করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তিশালী ল্যাব নেই। এতে চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে দেশের জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা। মাদকের কথা আর কি বলবো। আমরা জানি ধ্বংসের অপর নাম মাদক। তার ওপর সেই মাদক যদি হয় ভেজাল, তাহলে তো আর কথাই নেই। ভেজাল মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে দেশের বাজারগুলো। ভেজালের কারণে আরও বিষাক্ত হয়ে পড়ছে মাদক। আর এসব সেবনে জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু। মাদক সেবনে মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়ছে যুবসমাজ। ভেজাল পরিহার করতে মাদকসেবীরা বারবার পরিবর্তন করছে মাদক। কিন্তু তাতেও ভেজাল পরিহার করতে পারছে না তারা। ফলে মাদকসেবীরা বিকল্প হিসেবে ঝুঁকে পড়ছে হেরোইন, ফেনসিডিলের দিকে।

হেরোইন সেবনকারীরা দ্রুতই বিকল্প হিসেবে ইয়াবাকে বেছে নিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অতি লোভী একটি গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে মাদকে ভেজাল মেশাচ্ছে। দেশের মাদকসেবীদের একটি অংশ এখন ব্যাপক হারে ইয়াবার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ইয়াবা এমন একটি মাদক, যা মানুষকে শুধু মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় না, মৃত্যুর আগেই ওই মাদক সেবনকারীকে মানসিক রোগীতে পরিণত করে। অথচ প্রাথমিকভাবে সেবনকারী বা তার আত্মীয়দের কেউ তা বুঝতেই পারেন না। দীর্ঘ দিন ইয়াবা সেবনকারী ব্যক্তি বাবা-মাকে শত্রু মনে করতে থাকে, এমনকি এক সময় নিজেকেই শত্রু ভাবতে শুরু করে। সে তখন শব্দ না হলেও শব্দ শুনতে পায় এবং কেউ উপস্থিত না থাকলেও কারও উপস্থিতি অনুভব করে। তার সামনে কোনো ছবি টাঙানো থাকলে সে মনে করে ওই ছবি তাকে হত্যা করবে। কাউকেই বিশ্বাস করতে পারে না সে। এমনকি নিজেকেও না।

মাদকদ্রব্যে ভেজালের কারণে মাদকসেবীদের মধ্যে ভয়ঙ্কর সব পরিবর্তন ঘটছে। ভেজাল মাদক সেবন করায় নতুন নতুন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে মাদক ও মাদকসেবীদের পরিবর্তন খুবই ভয়ঙ্কর দিকে যাচ্ছে। তাই সমাজ থেকে মাদক দূর করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদক এবং ভেজাল মাদকমুক্ত করতে হবে দেশ। আবারো ওষুধ প্রসঙ্গে আসা যাক— ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ি গোটা দেশে। বেশি মফস্বল এলাকায়। কোভিড-১৯ এর কারণে ওষুধের ব্যবহার বাড়ায় নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির মাত্রা আরও বেড়েছে। ওষুধ বিক্রেতা ও গ্রহণকারীর অনেকেই নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি জানে না। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশের চারটি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ছয়টি ওষুধের উৎপাদন, মজুত, বিক্রি, বিতরণ ও বিপণন স্থগিত করেছে এর আগে। এসব ওষুধ এখনো বাজারে মিলছে বলে দৈনিক জনকণ্ঠে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নিষিদ্ধ ছয়টি ওষুধই এখনো রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে।

বিগত বছর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দুটি দল অভিযান চালিয়ে বিপুল অবৈধ ও নকল ওষুধ উদ্ধার করে। এভাবে প্রতিদিনই ধরা পড়ছে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ। অধিদপ্তরের এমন দুর্বলতার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভেজাল ওষুধ। দেশে বর্তমানে ১৫৪ ওষুধ কোম্পানির মধ্যে অধিকাংশই নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করছে। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের আবেদন করেই ওষুধ প্রস্তুত করে চলেছে। অথচ ওইসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না ওষুধ আদালত। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে জনস্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভেজাল ওষুধ বন্ধে দেশে ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। বাড়াতে হবে মনিটরিং কার্যক্রম। পরীক্ষার আওতার বাইরে থাকা ওষুধগুলো অবশ্যই জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জনবল ও কার্যদক্ষতাও বাড়াতে হবে। দেশে আরও ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা দরকার। প্রতিটি ওষুধ কোম্পানির কাজ নিজস্ব উপায়ে মান নিয়ন্ত্রণ করা। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব খারাপ ওষুধ যেনো বাজারে না আসে তা দেখা। আমাদের যত কোম্পানি আছে তার বিপরীতে আমাদের ন্যাশনাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি দুর্বল, জনবলের অভাব আছে তা বলতেই হয়। যেকোনো ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর এ জাতীয় ওষুধ তৈরি এবং বাজারজাত বন্ধ করা জরুরি। এদিকে মাদকের ভেজাল আমাদের আরও দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলেছে। প্রাণঘাতী ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, অ্যালকোহল ও হেরোইনের দখলে দেশের মাদকের বাজার। সর্বনাশা এ দ্রব্যগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যেমন আসছে, তেমনিভাবে দেশেও সমানতালে ভেজাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন অপদ্রব্যের সংমিশ্রণে অলি-গলিতে এগুলো তৈরি হচ্ছে। সেবনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া মাথায় রেখেই এতে ভেজাল মেশানো হয়। এগুলো দেখতেও প্রায় একই রকম, দামও কম। সহজ লভ্যতার কারণে সেবনকারীও প্রচুর। বাস্তবে এগুলো আসলের চেয়েও ভয়ঙ্কর। একই সঙ্গে মাদক ও ভেজাল দুই ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে সেবনকারীরা। মাদকের বিষ এবং ভেজাল বিষের ভয়াল থাবা এক হয়ে কেড়ে নিচ্ছে মানুষের জীবন। মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর দেয়া তথ্যমতে, দেশে এখন অন্তত ২৫ ধরনের মাদক রয়েছে। এর মধ্যে একসময় ফেনসিডিলই ছিলো প্রধান। ইয়াবা আসার পর এর ব্যবহার কিছুটা কমেছে। দেশের মাদক সেবনকারীর বড় অংশই এখন ইয়াবায় আসক্ত। সহজলভ্য হওয়ায় গাঁজা সেবনকারীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি মদের বাজারও রমরমা। হেরোইন অল্প পরিমাণে এলেও এর সেবনকারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। দেশে বহুল প্রচলিত এ পাঁচ মাদকের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। এতে মাদকের ভয়াল থাবার ভয়ঙ্কর সব চিত্র উঠে এসেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদক মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকেই নেশার থাবা থেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু ভেজাল মেশানো মাদক মৃত্যু ও পঙ্গুত্বকেই ত্বরান্বিত করে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসারও তেমন সুযোগ নেই। সব মিলে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আসলের চেয়েও ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভেজাল মাদক। দেশের প্রচলিত মাদকের প্রায় সবই বিভিন্ন অপদ্রব্য দিয়ে ভেজাল তৈরি হচ্ছে। যা খেয়ে প্রচুর প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। মানুষের অজ্ঞতা, অসচেতনতার ফলে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে চাহিদাও বাড়ছে। এ সুযোগে অলি-গলিতে রাস্তায় তৈরি এসব দ্রব্য মানুষ গ্রহণ করছে। এ অবস্থা বন্ধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

পত্রিকান্তে জানা যায়, মাদকদ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভেজাল মেশানো হচ্ছে ইয়াবায়। বিশ্বের কোথাও ইয়াবার কোনো রেজিস্টার্ড ফর্মুলা নেই। ফলে যে যেভাবে খুশি সেভাবেই এটি তৈরি করছে। এটা এমফিটামিন জাতীয় ড্রাগ। তৈরির মূল উপাদান সিউডোফেড্রিন। রয়েছে ইফেড্রিনের ব্যবহারও। বিক্রিয়া ঘটিয়ে এটা ট্যাবলেট তৈরি হয়। যা গ্রহণ করলে কিডনি, লিভার ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নষ্ট হয় যৌন ক্ষমতা। বাড়ে রক্তচাপ ও হ্রাস পায় সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এক কেজি সিউডোফেড্রিনের দাম মাত্র চার হাজার টাকা। এ পরিমাণ সিউডোফেড্রিন দিয়ে অন্তত এক লাখ ইয়াবা তৈরি করা যায়। যার মূল্য প্রায় দুই থেকে তিন কোটি টাকা। ফলে লোভে পড়ে অনেকেই এটি তৈরি করছেন। আর চাহিদা থাকায় তৈরি হচ্ছে প্রচুর। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভেজাল ইয়াবা তৈরিতে মেয়াদোত্তীর্ণ প্যারাসিটামল, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, টেক্সটাইলের রং ব্যবহার হয়। এ ছাড়া পেইনকিলার, মসুরের ডাল, চক পাউডার, ট্যালকম পাউডার, গ্লুকোজ, বিশেষ ধরনের মোম কেমিক্যাল, ভ্যানিলা পাউডারও ব্যবহার হয়ে থাকে। অবস্থাটা এমন, ক্রেতাকে বোঝানো গেলেই হয় এটা ইয়াবা। তাহলেই বিক্রি হবে। সমপ্রতি সবচেয়ে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভেজাল অ্যালকোহল। দেশে ভেজাল মদ খেয়ে প্রায়ই মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। আসল মদ অতিরিক্ত সেবনের ফলে প্রতিবন্ধী হওয়া, লিভার সিরোসিস, কর্মক্ষমতা হারানোসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সেখানে ভেজাল মেশানো মদ সেবনে মৃত্যু ডেকে আনা। মদ তৈরি হয় ইথাইল অ্যালকোহল বা রেক্টিফাইড স্পিরিট দিয়ে। এটি খাওয়া যায়। অবৈধগুলো মেথিলেটেড স্পিরিট দিয়ে তৈরি। এগুলো খেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। এর সঙ্গে থাকে বিভিন্ন রং, কেমিক্যাল, কোমল পানীয়সহ বিভিন্ন অপদ্রব্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেথিলেটেড স্পিরিট ১৫-১৬ মিলি লিটার, মানে বড় এক চামচ খেলে চোখ অন্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। লিভার-কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায়। হেরোইন এখন অন্যতম ভয়ের কারণ। যা সেবনে লিভার সমস্যা, ফুসফুসে সংক্রমণ, তীব্র কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনি রোগ, হার্ট ও ত্বকে সমস্যা, হেপাটাইটিস, নারীদের সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা, গর্ভপাত হতে পারে। দেশে উদ্ধার হওয়া এই হেরোইনেও পাওয়া গেছে মারাত্মক ভেজাল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমাদের দেশে যে হেরোইন পাওয়া যায় সেখানে তিন থেকে পাঁচ ভাগ হেরোইন থাকে। বাকিটা অপদ্রব্য থাকে। ফেনসিডিল ভারতে ৩৭৫ টাকা আর ঢাকায় আড়াই হাজার টাকাতেও বিক্রি হয়। অবৈধ ব্যবসায়ীরা এ লোভ ছাড়তে পারে না। ১০টা ফেনসিডিল এনে কফের সিরাপ, ঘুমের ওষুধ, ব্যথার ওষুধ মিশিয়ে ২০-৩০টা বানায়। এতে ভেজালের কোনো শেষ নেই। এ মাদক সেবনে দেহের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সব শেষে একটাই কথা যেকোনোভাবে দেশে মাদক, ভেজাল মাদক, ভেজাল ওষুধ উৎপাদন এবং বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রশাসনকে ভেজাল রোধে সচেষ্ট হতে হবে। অবৈধ ভেজাল ওষুধ এবং মাদক বিক্রি বন্ধে সব পদক্ষেপ সরকারকে নিতে হবে। তা না হলে অকাল মৃত্যুসহ মানব দেহের যে ক্ষতি হচ্ছে তা আমাদের ভাবায় বৈকি।                     

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সমাজ গবেষক

আমারসংবাদ/জেআই