Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

দেশেই তৈরি হবে সোনার বার ও কয়েন

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

জুলাই ৩, ২০২১, ০৭:১০ পিএম


দেশেই তৈরি হবে সোনার বার ও কয়েন

বৈধভাবে অপরিশোধিত বা আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানির সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এজন্য অবশ্যই আমদানিকারককে পরিশোধনের জন্য কারখানা স্থাপন করতে হবে। অপরিশোধিত সোনা আমদানির পর তা কারখানায় পরিশোধন করে স্বর্ণের বার বা কয়েন উৎপাদন করবে। ওইসব বার বা কয়েন রপ্তানির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পারবে।

এর আগে দেশে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানির সুযোগ দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত জুন মাসে স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করে। সেই আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ গত ১ জুলাই সোনা পরিশোধনের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে অপরিশোধিত এবং আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানির অনুমতি নেবে, সে বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, সোনা পরিশোধনের জন্য কারখানা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। পরিশোধিত প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে নিবাসী একক বা অংশীদারি প্রতিষ্ঠান কিংবা নিবন্ধিত লিমিটেড কোম্পানি হতে হবে। অনুমোদনের শর্তানুযায়ী, নির্ধারিত স্থানে সোনা পরিশোধনাগার স্থাপন করতে হবে। অন্যান্য সব ধরনের লাইসেন্সের পাশাপাশি সোনা পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার অনুমোদিত ব্যবসায়ী সংগঠনের বৈধ সদস্য হতে হবে। অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানির জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। আমদানির অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের কাগজপত্র, হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সনদ, মূসক নিবন্ধন, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যপদের কপি, প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জীবনবৃত্তান্ত, পরিশোধনাগারের নির্ধারিত স্থানের মালিকানার দলিল ইত্যাদি জমা দিতে হবে। অনুমতি ফি বাবদ ৩০ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। অনুমোদনের মেয়াদকাল হবে পাঁচ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে আবারো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির নবায়ন নিতে হবে।

সংশোধিত স্বর্ণ নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিশ্বের অলংকার উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশের মধ্যে বেলজিয়ামসহ ইউরোপের দেশ, ভারত, চীন অন্যতম। আর অলংকার আমদানিকারক দেশের মধ্যে সুইজারল্যান্ড, চীন, যুক্তরাজ্য, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলজিয়াম, জার্মানি ও সিঙ্গাপুর শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্বে মেশিন ও হাতে তৈরি সোনার অলংকারের বাজার ছিল ২২ হাজার ৯৩০ কোটি ডলারের। ২০২৫ সালে সেটির আকার বেড়ে ২৯ হাজার ১৭০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। হাতে তৈরি অলংকারের মূল্য সংযোজন বেশি। বিশ্বের  ৮০ শতাংশ হাতে তৈরি অলংকার বাংলাদেশ ও ভারতে তৈরি হয়। তবে নানা কারণে রপ্তানি বাজারে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি সোনার উচ্চমূল্যের কারণে দেশের বাজারও সংকুচিত হচ্ছে। গেজেটে বলা হয়েছে, ধারণা অনুযায়ী দেশে বছরে প্রায় ২০-৪০ মেট্রিক টন সোনার চাহিদা রয়েছে। তার মাত্র ১০ শতাংশ চাহিদা পুরোনো অলংকার দিয়ে মেটানো হয়। বাকি ১৮ থেকে ৩৬ মেট্রিক টন বৈধভাবে আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয় না। সোনার বাজার ও জুয়েলারি ব্যবসায় স্বচ্ছতা ফেরাতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে সোনা আমদানির জন্য লাইসেন্স দেয়। পরে আরেকটি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পায়।

আমারসংবাদ/জেআই