Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বিপজ্জনক বাঁক সাকুরা মোড়

মো.তারেক পাঠান, পলাশ (নরসিংদী)

জুলাই ১৫, ২০২১, ০৬:৪০ পিএম


বিপজ্জনক বাঁক সাকুরা মোড়

নরসিংদীতে দুই লেনের পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল টঙ্গী সড়ক। এই সড়কে পাঁচদোনা থেকে সাকুরা মোড়ের বিপজ্জনক বাঁক হয়ে যাওয়া যায় ঘোড়াশাল টঙ্গী। অপরদিকে চরসিন্দুর থেকে সাকুরামোড়ের লিংরোড মিলিত হয়ে যাওয়া যায় পাঁচদোনা। ব্যস্ততম সাকুরা মোড় থেকে পাঁচদোনা দুই কিলোমিটার অংশে মহাসড়কের মতোই গাড়ির চাপ থাকে। সড়কটির দুই পাশে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকায় ছোটো-বড়, বৈধ-অবৈধ সব পরিবহনই চলে এখানে। এ সড়কে যাত্রী ও পথচারীদের কাছে ভয় ও আতঙ্কের আরেক নাম সাকুরামোড়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটিতে রোড ডিভাইডার, স্পিড ব্রেকার, যাত্রী চলাচলের জন্য সার্ভিস রোড না থাকায় প্রায়ই ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এতে অনেকে নিহত হচ্ছেন, আবার অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করচ্ছেন। আহত ব্যক্তিরা বয়ে বেড়াচ্ছেন দুর্ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি। একাধিক যাত্রী জানান, এ সড়কে চলাচলের সময় আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। সব সময় আতঙ্কে থাকি কখন কি হয়ে যায়।

গত এক বছরে এ সড়কে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত ছাড়িয়ে গেছে। যদিও পুলিশের কাছে ১০ জন নিহত হয়েছে বলে রেকর্ড রয়েছে। বাকি হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য পুলিশের কাছে নেই। গত ১৯ জুন রাতে সাকুরা মোড়ের বিপজ্জনক বাঁকে ট্রাক-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে থাকা একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার আগে সাকুরা মোড়ের লিংরোড অংশে মাইক্রোবাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালকসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে এখানে প্রায় সময়ই পথচারী ও বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকরা নিহত হচ্ছেন। সাকুরা মোড়ের বিপজ্জনক বাঁক ও লিংরোডের মুখ যেন একটি মরণফাঁদ।

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য ও সাকুরা মোড়ে অবস্থিত চায়না বাংলা সিরামিকস ফ্যাক্টরির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মোল্লা জানান, চালকদের অসাবধানতা ও দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। আমার চোখের সামনে কেউ নিহত হোক আমি চাই না।

দুর্ঘটনা রোধে সাকুরা মোড়ের বিপজ্জনক বাঁক থেকে পাঁচদোনা পর্যন্ত রোড ডিভাইডার কিংবা সাকুরা মোড়ের দুই অংশে ও লিংরোডের মাথায় স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করলে এসব দুর্ঘটনা কমবে। এটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকারিভাবে কিংবা আমার পক্ষে কোনো সহযোগিতা লাগলে আমি করবো।

নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার জানান, দ্রুতগতি ও তড়িঘড়ি করে ওভারটেক করার জন্য এখানে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চালকের অদক্ষতা ও প্রতিযোগিতা। অতি শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমারসংবাদ/জেআই