আখতার-উজ-জামান
জুলাই ১৯, ২০২১, ০৬:২৫ পিএম
মুসলিম সম্প্রদায়ের মূল পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে। আর এই স্তম্ভগুলোর মধ্যে হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। হজের এই বার্তা আরবি ১২ মাসের জিলহজ হিজরি বর্ষের সমাপনী মাস, যা শ্রেষ্ঠ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। ইসলামের অন্যতম অপরিহার্য স্তম্ভ হলো হজ। তাই আল্লাহর তরফ থেকে জিলহজ মাস মুসলমানদের জন্য বিশেষ রহমতের মাস। এই মাসের ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ পর্যন্ত হজের অনুষ্ঠানাদি চলে। হাজিরা সমবেত কণ্ঠে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি তুলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য ঘোষণার মাধ্যমে মুখরিত করে তোলেন। হজ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘বায়তুল্লাহ হজ করা সেই মানুষের ওপর আল্লাহর হক, যার সামর্থ্য আছে সেই পর্যন্ত পৌঁছার। যেহেতু মুসলিমবিশ্বে ইসলাম শান্তির ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত। আর এই শান্তির ধর্মে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশেষ দিনে মুসলমানদের জন্য খুশির বারতা বয়ে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সারা বিশ্বের মানুষ তথা সব মাখলুকের কোনো পরোয়া করেন না’ (সূরা আলে ইমরান-৯৭)।
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা.-এর অনেক হাদিস রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছার জন্য যার পাথেয় ও বাহন আছে, সে যদি হজ না করে এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তার মৃত্যু ইহুদি ও নাসারাদের মৃত্যুর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না।’ আরেক হাদিসে আছে, ‘তোমরা হজ করো, কেননা হজ এমনভাবে আমলনামা থেকে গুনাহ দূর করে দেয়, যেমনিভাবে পানি দিয়ে ধৌত করলে ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়’ (তাবরানি)। হজের দিনগুলোর মধ্যে ‘আরাফাতের দিন’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল সা. বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালার কাছে আরাফাতের দিন সব দিনের চেয়ে উত্তম। এ দিন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের সামনে হাজিদের জন্য গৌরব প্রকাশ করে বলেন, ‘তোমরা দেখো, আমার বান্দারা প্রচণ্ড রোদে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তারা বহু দূর থেকে আমার রহমতের আশায় এখানে উপস্থিত হয়েছে। বস্তুত তারা আমার আজাব দেখেনি। অতঃপর আল্লাহ তার বান্দাদের জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দেন।’ হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত— রাসূল সা. বলেছেন, ‘আরাফাতের দিন আল্লাহ এত লোককে ক্ষমা করেন যে, তৎপরিমাণ লোককে আর কোনোদিন ক্ষমা করেন না। এরপর তিনি ফেরেশতাদের লক্ষ করে বলেন, ‘হে ফেরেশতারা! তোমরা সাক্ষী থেকো, আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি’ (ইবনে হিব্বান)। আরাফাতের দিনের রোজা রাখা খুবই ফজিলতের। হজরত কাতাদা ইবনে নোমান থেকে বর্ণিত— তিনি বলেন, আমি নবী করিম সা.কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আরাফাতের দিন রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী বছরের এবং পরবর্তী বছরের গুনাহসমূহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেন’ (ইবনে মাজাহ)। ‘আরাফাতের দিন রোজা রাখা এক হাজার দিন রোজা রাখার সমান’ (বায়হাকি)। তবে আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত— এক হাদিসে আছে, আরাফার দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন রাসূল সা.। হাদিসের ব্যাখ্যায় উলামায়ে কেরাম বলেন, আরাফাতের দিন হাজিদের জন্য রোজা না রাখা উত্তম। আর অন্যদের রোজা উত্তম। জিলহজ মাসের প্রথম দশকের নেকআমল সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত— রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, ‘জিলহজের প্রথম ১০ দিনের যেকোনো নেকআমল আল্লাহর কাছে যতটুকু প্রিয়, তার চেয়ে অধিক নেকআমল অন্য কোনোদিন ততটুকু প্রিয় নয়।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহও কি এ দিনসমূহের চেয়ে অধিক ফজিলতপূর্ণ নয়। তবে কেউ তার জীবন ও সম্পদ নিয়ে ফেরত না আসে, তাহলে ভিন্ন কথা’ (মিশকাত)। হজরত আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত— রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, ‘জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন রোজা রাখলে প্রত্যেক রোজার বিনিময়ে এক বছরের রোজার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যাবে’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)। উলামায়ে কেরাম বলেছেন, রমজানের শেষ দশকের রাতসমূহ অধিক ফজিলতপূর্ণ, এতে লাইলাতুল কদর রয়েছে এবং জিলহজের প্রথম দশকও অধিক ফজিলতপূর্ণ। কারণ এতে আরাফার দিন রয়েছে। আর পবিত্র হজের মাধ্যমে এই বিশ্বের মুসলমানদের এক বিশাল জামাতের সমাগম ঘটে। মুসলমানদের এই মিলনমেলায় এক ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এরপরই মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের মাস এবং সামর্থ্যবানদের জন্য হজের মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে সমর্পিত হয়ে গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার অপূর্ব সুযোগের মাস। পুরো মাসই ইবাদত-বন্দেগি করে কাটানোর অনন্য বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বরকত এবং নিয়ামতে পরিপূর্ণ একটি মাস। এ মাসেই প্রতি বছর তাওহিদবাদীদের ঐতিহাসিক মিলনমেলা পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে মক্কা, মিনা, আরাফা এবং মুজদালিফা প্রান্তরজুড়ে। কোরবানি আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে অতিশয় নিকটবর্তী হওয়া। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় কোরবানি বলা হয় ওই নির্দিষ্ট জন্তুকে যা একমাত্র আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে একমাত্র আল্লাহর নামে জবাই করা হয়।
ঐতিহাসিক পটভূমি: আল্লাহ তায়ালা মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম আ.কে অনেকবার পরীক্ষা করেছেন। সব পরীক্ষায় তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এক রাতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন, আল্লাহ তাকে ইঙ্গিত করেছেন প্রাণাধিক প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাঈল আ.কে কোরবানি করতে। বৃদ্ধ বয়সের একমাত্র সন্তান হজরত ইসমাঈল আ.-এর অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় আর কী হতে পারে। তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন যে, হজরত ইসমাঈল আ.কে কোরবানি করবেন। তখন তিনি হজরত ইসমাঈল আ.কে বললেন, যা পবিত্র কুরআনে এভাবে বর্ণিত হয়েছে— ‘হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, তোমাকে আমি জবাই করছি। এখন তোমার অভিমত কী?’ সে (হজরত ইসমাঈল আ.) বলল, হে পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন’ (সূরা সাফফাত, আয়াত-১০২)। ছেলের সাহসিকতাপূর্ণ জবাব পেয়ে হজরত ইব্রাহিম আ. অত্যন্ত খুশি হলেন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছেলের গলায় ছুরি চালান। তখন হজরত জিব্রাইল আ. আল্লাহর নির্দেশে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে রওনা হলেন। তার মনে সংশয় ছিলো— পৃথিবীতে পদার্পণের আগেই হজরত ইব্রাহিম আ. জবাই কাজ সম্পন্ন করে ফেলবেন। তাই জিব্রাইল আ. আকাশ থেকে উচ্চস্বরে ধ্বনি দিতে থাকেন ‘আল্লাহু আকবার’। আওয়াজ শুনে হজরত ইব্রাহিম আ. স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে উঠলেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার’। পিতার মুখে তাওহিদের বাণী শুনতে পেয়ে হজরত ইসমাঈল আ. বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’। আল্লাহর প্রিয় দুই নবী এবং হজরত জিব্রাইল আ.-এর কালামগুলো আল্লাহর দরবারে এতই পছন্দনীয় হলো যে, কিয়ামত পর্যন্ত এই কথাগুলো ৯ জিলহজ ফজর থেকে আসর পর্যন্ত বিশেষ করে ঈদুল আজহার দিনে বিশ্ব মুসলিমের কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকবে। আল্লাহর অসীম কুদরতে হজরত ইসমাঈল আ.-এর পরিবর্তে কোরবানি হয়ে গেলো একটি বেহেশতি দুম্বা। কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন হজরত ইব্রাহিম আ.। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কালামে ঘোষণা করেন ‘তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইব্রাহিম! তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ। আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয় এটি একটি সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তার (ইসমাঈল আ.-এর পরিবর্তে দিলাম জবাই করার জন্য এক মহান জন্তু, সূরা সাফফাত, আয়াত ১০৪-১০৭)। বর্ণিত আছে, হজরত ইব্রাহিম আ. উপরোক্ত গায়েবি আওয়াজ শুনে হজরত জিব্রাইল আ.কে একটি বেহেশতি দুম্বাসহ দেখতে পান। এ জান্নাতি দুম্বা হজরত ইব্রাহিম আ. কে দেয়া হলে তিনি আল্লাহর নির্দেশে পুত্রের পরিবর্তে সেটি কোরবানি করলেন। আর তখন থেকেই শুরু হলো কোরবানির মহান বিস্ময়কর ইতিহাস। যা অন্ততকাল ধরে সুন্নতে ইব্রাহিম হিসেবে বিশ্বের সব মুসলমানের কাছে আজও স্মরণীয় হয়ে আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে।
কোরবানির পশু: উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ছাড়া কোরবানি শুদ্ধ নয়। এগুলোকে কুরআনের ভাষায় বলা হয় ‘বাহিমাতুল আনআম’। শরিয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির পশুর বয়সের দিকটা খেয়াল রাখা জরুরি। উট পাঁচ বছরের, গরু বা মহিষ দুই বছরের এবং ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এক বছর বা তারও বেশি। আনাস রা.-এর হাদিসে রয়েছে, যা বুখারি ও মুসলিম বর্ণনা করেছে। তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: তরতাজা ও শিংওয়ালা দুটি মেষ নিজ হাতে জবাই করেছেন এবং তিনি তাতে বিসমিল্লাহ ও তাকবির বলেছেন। হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত— প্রিয় নবী সা. আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন যে, আমরা কোরবানির পশুর চোখ ও কান ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেই এবং এমন পশু কোরবানি না করি যার কানে ছিদ্র আছে (তিরমিজি শরিফ)। কোরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য ত্রুটিমুক্ত পশু হওয়া জরুরি: রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, কোরবানির পশুতে চারটি দোষ সহনীয় নয়— স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট অসুস্থ, হাড্ডিসার ও ল্যাঙড়া পশু’ (তিরমিজি : কিতাবুল হজ-৩৪)।
জবাই করার সময়: ঈদের সালাতের পর কোরবানির সময় শুরু হয়। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যে সালাতের আগে জবাই করলো, সে নিজের জন্য জবাই করলো। আর যে খুতবা ও ঈদের সালাতের পর কোরবানি করলো, সে তার কোরবানি ও সুন্নত পূর্ণ করলো’ (বুখারি ও মুসলিম)। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈদের আগে জবাই করলো, তার উচিত তার জায়গায় আরেকটি কোরবানি করা। আর যে এখনো কোরবানি করেনি, তার উচিত এখন কোরবানি করা। (বুখারি ও মুসলিম)। যে সুন্দর করে জবাই করার ক্ষমতা রাখে তার উচিত নিজ হাতে কোরবানি করা। কোরবানির সময় বলবে, কোরবানিকারী নিজের নাম বলবে অথবা যার পক্ষ থেকে কোরবানি করা হচ্ছে তার নাম বলবে। যেমন— রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। হে আল্লাহ, এটা আমার পক্ষ থেকে এবং আমার উম্মতের মধ্যে যারা কোরবানি করেনি, তাদের পক্ষ থেকে’ (আবু দাউদ ও তিরমিজি)।
কোরবানির গোশত বণ্টন করা: কোরবানি পেশকারী ব্যক্তির জন্য সুন্নত হচ্ছে কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া, আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের হাদিয়া দেয়া এবং গরিবদের সাদকা করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ-দরিদ্রকে থেকে দাও’ (সূরা হজ-২৮)। তিনি আরো বলেন, তখন তা থেকে খাও। যে অভাবি, মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবি চেয়ে বেড়ায়-তাদেরকে খেতে দাও। (সূরা হজ-৩৬)। উলামায়ে কেরাম বলেছেন, কোরবানির গোশত তিনভাগে ভাগ করে এক তৃতীয়াংশ নিজের জন্য রাখা। এক তৃতীয়াংশ দরিদ্রদের দান করা। এক তৃতীয়াংশ উপহার হিসেবে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের দান করা মোস্তাহাব। পারিশ্রমিক হিসেবে এখান থেকে কসাই বা মজদুরদের কোনো অংশ দেয়া যাবে না।
কোরবানির গোশত ভক্ষণ করা: ঈদুল আজহার দিন রাসূলুল্লাহ সা: খানা খেতেন না, যতক্ষণ না তিনি ঈদগাহ থেকে ফিরে আসতেন, অতঃপর তিনি কোরবানি গোশত থেকে ভক্ষণ করতেন। কোরবানির গোশত যতদিন ইচ্ছে ততদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যাবে। কোরবানির গোশত তিন দিনের বেশি সংরক্ষণ করা যাবে না; বলে যে হাদিস রয়েছে তার হুকুম রহিত হয়ে গেছে। তাই যতদিন ইচ্ছা ততদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। মহান আল্লাহ পাক আমাদের মধ্যে সামর্থ্যবানদের পবিত্র হজ ও কোরবানি দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক : গবেষক, সাংবাদিক
আমারসংবাদ/জেআই