Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশীদার পিপিপি

আগস্ট ১৪, ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম


বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশীদার পিপিপি
  • বঙ্গবন্ধুর দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় চলমান অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের শরিক হতে আমরাও কাজ করছি। এরই মধ্যে অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমরা পিপিপিএর সার্বিক কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি- আমার সংবাদকে পিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব সুলতানা আফরোজ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন ও তারই কন্যা বর্তমান সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান ধারাবাহিক অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অন্যতম অংশীজন হওয়ার চেষ্টায় সম্মুখে আসা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)। ইতোমধ্যেই পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব সুলতানা আফরোজের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনায় একাধিক প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে সুফলও ভোগ করছে দেশের জনগণ। এর মধ্যে অন্যতম হেমোডায়ালাইসিস সেন্টার। চট্টগ্রামসহ দুটি হেমোডায়ালাইসিস সেন্টারের সফল বাস্তবায়নের পাশাপাশি চলমান করোনা সংকটের মধ্যেও পিপিপিএ’র ভিত্তিতে ৭৯টি মেগা প্রকল্পের মধ্যে আরও ১৬টি প্রকল্পের বাস্তবায়নও এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পগুলোর স্বাক্ষরও হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ আমার সংবাদকে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস প্ররিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় চলমান অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের শরিক হতে আমরাও কাজ করছি, চেষ্টা করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমরা পিপিপিএ’র সার্বিক কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি’।  

দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি ব্যবস্থা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ), যেখানে জনগণকে সেবা দেয়ার উদ্দেশে বেসরকারি খাত বিনিয়োগ করে থাকে। চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিপিপি কর্তৃপক্ষের সফলতা এবং সেসব দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই বর্তমান সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করে পিপিপিএ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রাষ্ট্র উন্নয়নে সরকারের ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ভুক্ত এই সংস্থাটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন অবধি সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব সুলতানা আফরোজের সফল দিক-নির্দেশনায় দেশের টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে পিপিপি কর্তৃপক্ষ।

পিপিপি ছাড়া এসডিজির সব অভীষ্ট ও লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় এবং এ প্রকল্পের মাধ্যমে সফলতা পেয়েছে বহির্বিশ্বের এমন দেশগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ সরকারও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে। আর এরই মধ্য দিয়ে গত ১০ বছরে দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে উন্নয়নেও আসছে সাফল্য। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়াধীন স্বশাসিত সংস্থা পিপিপিএ ইতোমধ্যে উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের পরিবেশ নিশ্চিতেও এসেছে সফলতা।  সংস্থাটির অর্জিত সফলতা ধরে রেখে আগামী দিনেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকার গত বছর সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী হিসেবে সচিব সুলতানা আফরোজকে পদায়ন করে। যিনি সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের মধ্য দিয়ে এর আগে দায়িত্ব পালন করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি)। ছিলেন জাতিসংঘ উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রধান। দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ দূতাবাস রোমের কূটনীতিক হিসেবে এবং রোমভিত্তিক জাতিসংঘ এজেন্সি যেমন ঋঅছ, ওঋঅউ এবং ডঋচ-এ বাংলাদেশের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও। এছাড়াও তিনি মাঠপ্রশাসন এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বহুমুখী দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে বহুমুখী অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ সচিব সুলতানা আফরোজের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় আগামীদিনেও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সফল হবে— এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।   

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধান নির্বাহী সুলতানা আফরোজের নির্দেশনায় করোনাকালেও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ থেমে নেই, বরং চলমান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সার্বিক কাজের অগ্রগতি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত সাফল্যের বিষয়— করোনাকালেও এক মুহূর্তের জন্যও থমকে দাঁড়ায়নি নির্মাণকাজ। বরং নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই এগিয়ে সার্বিক কার্যক্রম। একইভাবে অন্যান্য প্রকল্পের কার্যক্রমও এগিয়ে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যেমন শ্রীমঙ্গলের একটি প্রকল্পে নিজস্ব অর্থায়নেই কাজ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা— এমন সব প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সার্বিকভাবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে পিপিপিএ’র অধীন একাধিক প্রকল্প। পিপিপিএ’র ভিত্তিতে এগিয়ে চলছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পটিও।

প্রকল্পটিতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ ৫৮ মিলিয়ন ডলার। পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব সুলতানা আফরোজ গত মার্চে বলেছিলেন, পিপিপিএ’র আওতায় প্রকল্পটির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বেসরকারি অংশীদারের মাধ্যমে পরিচালিত হলে আধুনিক প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবলের মাধ্যমে এই কনটেইনার টার্মিনালের আউটপুট বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্ষমতাও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ— এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পিপিপির ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে আরও সাতটি প্রকল্প।

পিপিপি কার্যালয় সূত্র মতে, দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহ দিচ্ছে। এজন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পিপিপির ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য বড় বড় প্রকল্পগুলোতে বেসরকারি অংশগ্রহণ জরুরি। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে লাভজনক প্রকল্প এডিপিতে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। প্রকল্পের অর্থায়নে পিপিপি অন্যতম উৎস হিসেবে কাজ করছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতেও পিপিপিতে গুরুত্ব দেয়া হবে। এডিপির বিনিয়োগ প্রকল্পের ৩০ শতাংশ পিপিপিতে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেটি কার্যকর করতেই সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী সুলতানা আফরোজ।

আমারসংবাদ/জেআই