Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ফের অবহেলায় স্বাস্থ্যবিধি

মাহমুদুল হাসান

আগস্ট ১৮, ২০২১, ০৬:০৫ পিএম


ফের অবহেলায় স্বাস্থ্যবিধি
  • দায়সারা বক্তব্য দিয়ে মাস্ক পরাতে পারবো না -ডা. মো. মুশতাক হোসেন, উপদেষ্টা, আইইডিসিআর
  • নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে -ডা. আয়শা আক্তার, সহকারী পরিচালক, টিবি হাসপাতাল

এক সপ্তাহও হয়নি কঠোর লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যেই পাল্টে গেছে মানুষের অভ্যাস। সংক্রমণ হার কিছুটা কমতে শুরু করতেই হারিয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই পরছেন না মাস্কটুকুও। গণপরিবহন, শপিংমল ও গলির মধ্যে এখন মাস্কহীন যাতায়াত। তবে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এখনো মাস্কের রয়েছে উপস্থিতি। তবে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে কঠোরতা নেই রাজধানীসহ সারা দেশে।

গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন ধানমন্ডির বাসিন্দা ইস্রাফিল (২৭)। কেন মাস্ক পরেননি জানতে চাইলে তিনি পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরতে পরতে এই প্রতিবেদককে বলেন, গরমে অস্বস্তি লাগছিল তাই খুলে রাখছি। আর আগের মতো কেউ মাস্ক পরতে তো জোর করছেন না, তাই ওভাবে পরা হয় না। শুধু ইস্রাফিল নয়, অনেকেই এভাবে মাস্ক ছাড়া জনসমাগম হয় এমন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। একজন বিক্রেতা বিষয়টি স্বীকারও করেছে। নূরজাহান সুপার মার্কেটের বিক্রেতা পারভেজ তাহসিন বলেন, কাস্টমার আমাদের লক্ষ্মী; তাদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ ছাড়া ব্যবসাও করা হয় না। ফলে কাউকে চাপ প্রয়োগও করতে পারি না। কিন্তু যারা মাস্ক ছাড়া আসেন তাদের অনেক বুঝিয়ে মাস্ক পরতে অনুরোধ করি। এতে অনেকে রাগও দেখান। কিন্তু সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা মাস্ক পরিধানে জোর দিয়ে থাকি। এমন দৃশ্যপট গত ১১ আগস্ট কঠোর লকডাউন তুলে নেয়ার পর থেকে গতকাল ১৮ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নূরজাহান মার্কেট, গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, আজিজ সুপার মার্কেট, বসুন্ধরা শপিংমল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল, জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল এবং বিভিন্ন সড়কে চলাচলরত গণপরিবহনে দেখা গেছে।

এর আগেও দেশে যখন করোনা প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম চালু করা হয় অনেকেই তখন মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা শুরু করেন। অথচ টিকার চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি বড় প্রতিষেধক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এদিকে শুধু মাস্ক পরলেই সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না। তিন লেয়ারের মানসম্মত মাস্ক পরার বিষয়ে জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজারে বিভিন্ন মানের মাস্ক পাওয়া যায়। তিন লেয়ারের সঠিক মাস্ক উৎপাদন ও বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পদক্ষেপ নিতে হবে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় টিকা প্রয়োগের গুরুত্ব নিঃসন্দেহে রয়েছে। বিশ্বের কোনো টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানই বলেনি টিকা শতভাগ কার্যকর। কোভিড থেকে পরিত্রাণের জন্য মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধির বিকল্প নেই। কারণ টিকা একটি সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুরক্ষা দিলেও সঠিক পদ্ধতিতে মাস্কসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানলে কোভিড থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে লকডাউন খুলে দেয়া হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, আমরা স্বাস্থ্যবিধি ভুলে যাবো। নিজের সুরক্ষা নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে। ডাবল ডোজ টিকা নেয়ার পরও কিন্তু কেউ বলতে পারবে না শতভাগ সুরক্ষিত। আপনি হয়তো আক্রান্ত হতেই পারেন। টিকা নেয়ার কারণে হয়তো আপনার মারাত্মক ক্ষতি হবে না। কিন্তু সংক্রমণ কমাতে চাইলে টিকাও দিতে হবে। আবার মাস্কসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের শুরুতে যখন দেশে করোনার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হলো তখন অনেকেই ভাবতে শুরু করলো টিকা যেহেতু দেয়া হচ্ছে মাস্ক কিংবা স্বাস্থ্যবিধি হয়তো অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এতেই কিন্তু সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়েছে। ফলে বারবার লকডাউন দেয়ার প্রয়োজন পড়েছে। সম্প্রতি কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করি তাহলে নিজেদের ক্ষতি কিন্তু নিজেরাই করবো।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মো. মুশতাক হোসেন বলেন, মাস্ক পরা কিন্তু সৌখিন কোনো ব্যাপার না। আমি বললাম আর অন্যরা মানতে শুরু করে দিলো। এটা একটি আচরণগত পরিবর্তন। এজন্য আপনাকে কষ্ট করতে হবে। যারা স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদের কমিউনিটিভিত্তিক তৎপরতা চালাতে হবে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবী এদেরকে সংশ্লিষ্ট করতে হবে। তাদের মাধ্যমে সমাজে সচেতনতা চালাতে হবে। এতে কাজ দেবে। নয়তো প্রচার-প্রচারণা চালালেও তেমন কাজে আসবে না।

তিনি বলেন, তৃণমূলের একজন শ্রমিক আপনার আমার কথায় মাস্ক পরবে না। যদি তার শ্রমিক নেতা বলেন এই করোনার মধ্যে কাজ করতে হলে মাস্ক পরতে হবে, তবেই তারা পড়বে। এজন্য তাদের যুক্ত করার বিকল্প নেই। আমরা দায়সারা বক্তব্য দিয়ে মাস্ক পরাতে পারবো না। পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ, ওরস্যালাইন খাওয়ানো কিংবা বাল্যবিয়ে রোধ একদিনে গড়ে ওঠেনি। একটি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। আর এখন মাস্ক পরতে বললে আর সবাই পরে ফেলবে বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। যার পরিবারের কেউ কোভিডে মারা গেছে সে হয়তো পরবে কিন্তু এছাড়া আর কেউ পরবে না।

দেশের সর্বশেষ কোভিড-১৯ পরিস্থিতি : সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজধানীসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ১৩৩টি আরটিপিসিআর, ৫৩৫টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও ৫৩টি জিন এক্সপার্ট ল্যাবসহ ৭২১টি ল্যাবে গতকাল আরও ৪২ হাজার ১১টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪১ হাজার ১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩ লাখ আট হাজার ৪৫টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আরও ২২ লাখ ১৩ হাজার ৭৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নতুন করে আরও সাত হাজার ২৪৮ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৪ জনে। তার মধ্যে গতকাল সুস্থ হওয়া ১২ হাজার ১১২ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৮ জনে। এছাড়াও গতকাল ১৭২ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৭১৯ জনে। গতকাল শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ১১ শতাংশ ও মৃত্যুহার এক দশমিক ৭২ শতাংশ।

গতকাল মৃত্যুবরণকৃত ১৭২ জনের মধ্যে ৯৪ জন পুুরুষ ও ৭৮ জন নারী। এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৭১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে ১৬ হাজার ২৪৩ জন পুরুষ ও আট হাজার ৪৭৬ জন নারী। শতাংশের হিসাবে মোট মৃত্যুর ৬৫ দশমিক ৭১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৪ দশমিক ২৯ শতাংশ নারীর মৃত্যু হয়েছে। বয়সের বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে গতকাল আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছে ৩৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের সাতজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছে ২৮২ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এক হাজার ৩৬৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চার হাজার ৩০০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে সাত হাজার ৭০৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ হাজার ৮৪০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের দুই হাজার ৯২৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক হাজার ৪৮১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৫৬৬ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের ১৫১ জন ও ১০ বছরের নিচে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬৭ জন, খুলনার ১৬ জন, চট্টগ্রামের ৪৭ জন, রাজশাহীর আটজন, বরিশালে পাঁচজন, সিলেটে ১৫ জন, রংপুরের চার এবং ময়নসিংহের ১০ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৯৩২ জন। খুলনার তিন হাজার ২৬৪ জন, চট্টগ্রামের চার হাজার ৮৭৫ জন, রাজশাহীর এক হাজার ৮৪০ জন, বরিশালে ৮৩৩ জন, সিলেটে এক হাজার ছয়জন, রংপুরের এক হাজার ২৩০ জন এবং ময়নসিংহের ৭৩৯ জন। শতকরা হিসাবে ঢাকায় মোট মৃত্যুর ৪৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। এরপর চট্টগ্রামে ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, খুলনায় ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ, রাজশাহী ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রংপুর ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ, সিলেট ৪ দশমিক ০৭ শতাংশ, বরিশাল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১২৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ জন এবং বাসায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে ২১ হাজার ১৩০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে দুই হাজার ৮৪৬ জন, বাসায় ৭১০ জন এবং হাসপাতালে আনয়নের পথে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়। করোনায় মৃতের ৮৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ রোগী সরকারি হাসপাতালে মারা গেছে। বেসরকারি হাসপাতালে ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ, বাসায় ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং হাসপাতালে আনার পথে দশমিক ১৩ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।

সারা দেশের ২৯ হাজার দুইটি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১২ হাজার ৬০১টি, ময়মনসিংহে এক হাজার ১৯৩টি, চট্টগ্রামে পাঁচ হাজার ৯৭৩টি, রাজশাহী চার হাজার ৩৪৬টি, রংপুর এক হাজার ৯০১টি, খুলনা ৪৩৯টি, বরিশাল এক হাজার ৬৫৭টি ও সিলেটে ৮৯২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। এদিকে হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা আছে এক হাজার ৯২৯টি। তার মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৬৭টি, ময়মনসিংহে ৬৫টি, চট্টগ্রামে ২৪৪টি, রাজশাহী ১৬১টি, রংপুর ৬৮টি, খুলনা ১৯১টি, বরিশাল ১১১টি ও সিলেটে ২২টি হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে। দুই হাজার ১৯৭টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে। তারমধ্যে ঢাকায় ৬২০টি, ময়মনসিংহে ৪৯টি, চট্টগ্রামে ৬৮৫টি, রাজশাহী ৪৫২টি, রংপুর ১০১টি, খুলনা ১৮০টি, বরিশাল ৫২টি ও সিলেটে ৫৮টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে। এছাড়াও সারা দেশের ১১২টি কোভিড হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৮টি ঢাকা বিভাগে। ময়মনসিংহে তিনটি, চট্টগ্রামে ১৪টি, রাজশাহীতে সাতটি, রংপুরে ১২টি, খুলনায় ১০টি, বরিশালে ছয়টি এবং সিলেটে আরও দুইটি।

আমারসংবাদ/জেআই