Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সংকটে দেশের পর্যটন খাত

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ০৭:০৫ পিএম


সংকটে দেশের পর্যটন খাত
  • করোনায় এ খাতে লোকসান প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা
  • প্রজ্ঞাপনের ভুলে মিলছে না প্রণোদনার টাকা
  • দেখা নেই বিদেশি পর্যটকের

বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে গভীর সংকটে পড়েছে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান পর্যটন খাত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাতের মধ্যে অন্যতম পর্যটন। কয়েকটি সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী এ খাতের স্থবিরতায় লোকসান হয়েছে আনুমানিক ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর চাকরি হারিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও নানা কারণে এখনো গতি পায়নি পর্যটন শিল্প।

চলতি অর্থ বছরে এই শিল্পের জন্য যে বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে তা নিয়েও অসন্তুষ্ট এ খাতের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন সংগঠন। পর্যটনশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে তিন ধাপে ১৬ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। এ অবস্থার মধ্য দিয়েই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস।

২০১৯ সালে ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পরে শুরু হয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড রোগী শনাক্ত হয়ওয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে চলে সাধারণ ছুটি। বন্ধ করে দেয়া হয় সব পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, বিনোদনকেন্দ্র, আকাশ, সড়ক, রেল ও নৌপথ। শুরু হয় পর্যটনের বিপর্যয়। এরপর দফায় দফায় বাড়তে থাকে লকডাউন।

সংক্রমণ রোধে ঈদের সময়ও বন্ধ রাখা হয় সকল পর্যটন এলাকা। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১৯ আগস্ট থেকে খুলেছে দেশের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো। রিসোর্ট, বিনোদন পার্ক, হোটেল-মোটেলের পক্ষ থেকে এ জন্য স্বস্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

 করোনায় দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানুষ প্রাণ খুলে একটু নিঃশ্বাস নিতে ছুটছে সাগর পাহাড় অথবা প্রকৃতির কাছে। ফলে পর্যটন কেন্দ্রগুলো ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় আবার মুখর হয়ে উঠেলেও তেমন আশানুরূপ পর্যটক পাচ্ছেন না হোটেল মালিকরা।

এক বছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) লোকসান হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা। ট্যুরিজম খাতের অন্যতম সংগঠন ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) বলছে, করোনা শুরুর পর গেলো দেড় বছরে শুধু ট্যুর অপারেটরদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।  

অন্যদিকে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টেস বাংলাদেশ (অ্যাটাব) বলছে একই সময়ে তারা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আর অ্যাভিয়েশন খাত সংশ্লিষ্টদের সংগঠন অ্যাভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ চলতি বছর তাদের ক্ষয়ক্ষতির কোনো হিসাব দিতে না পারলেও তাদের ধারণা সঠিক হিসাব এলে ক্ষতির পরিমাণ হাজার হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে চার হাজার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা আগের বাজেটের চেয়ে ৩৪৪ কোটি টাকা বেশি। এ বরাদ্দ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য খুবই যৎসামান্য বলে দাবি করেছেন টোয়াবের সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির মেম্বার মো. রাফেউজ্জামান।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজান বিকাশ বড়ুয়া আমার সংবাদকে জানান, করোনার জন্য স্থবির হয়ে পড়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। বন্ধ চার মাসে রাজস্ব খাতে ঘাটতি হয়েছিল প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ টাকা।

এদিকে, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) এক প্রতিবেদনে উঠে আসে পর্যটন খাতের ভয়াবহ চিত্র। এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে জিডিপিতে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়। ২০২০ সালে জিডিপিতে ৫৫ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা অবদান রেখেছে, যা ২০১৯ সালে ছিলো ৮০ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে লোকসান ২৬ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।

২০১৯ সালে বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পে ১৮ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান ছিলো। ২০২০ সালে তা কমে ১৪ লাখে দাঁড়িয়েছে। এ সময় কর্মসংস্থান কমেছে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ। অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন পর্যন্ত ট্রাভেল এজেন্সি এবং পর্যটনসংশ্লিষ্ট খাতে সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা।

অপরদিকে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনায় ছয় মাসে বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্প ৯ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার টার্নওভার ঝুঁকিতে পড়ে। এই ক্ষতির এই বিবরণীর সঙ্গে দিন দিন যুক্ত হচ্ছে পর্যটনশিল্পের বিভিন্ন উপ-খাত। যার কারণে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও।

এদিকে, পর্যটন খাতের শিল্পোদ্যোক্তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।  গত ১৫ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

তবে, প্রজ্ঞাপনে ঋণ সুবিধার আওতাভুক্ত কারা হবেন তার বিস্তারিত বিবরণ না থাকায় ঋণ পাচ্ছে না এখাতের বড় একটি অংশ। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন শিল্পোদ্যোক্তারা। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। পর্যটন দিবস ঘিরে উদ্যোক্তাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব জটিলতা কাটিয়ে ঋণের ব্যবস্থা করা।

প্রজ্ঞাপনে, পর্যটন খাতে শুধু হোটেল-মোটেল ও থিম পার্কের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিতে এ ঋণ সুবিধার নির্দেশনা দেয়া হয়। এর বাইরে রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, পিকনিক স্পট, ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইডসহ পর্যটনের অনেক খাত, উপ-খাতকে পরিপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এরফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারির প্রায় আড়াই মাস পরও একজন পর্যটন উদ্যোক্তাও এ ঋণ সুবিধা পাননি।বাদ পড়া সংগঠনগুলো গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডে আবেদন করে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনরায় সংশোধিত পরিপত্র জারি করার বিষয়ে তারা জোর সুপারিশ করেন।
পরবর্তিতে তাদের আবেদন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু এখনো সেই ঋণ সুবিধা কার্যক্রম শুরু হয়নি।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট মো. রাফিউজ্জামান বলেন, পরিপত্র জারির পরদিনই সংশোধনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের কাছেও ঋণের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু এখনো তারা কোনো ঋণ পাননি। ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিনোদন কেন্দ্রগুলো চালু হওয়ার পর অনেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন দিতে পারছেন না। প্রায় সাড়ে তিন লাখ লোক প্রত্যক্ষভাবে এ কাজের সাথে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ঋণ সুবিধা সহজ শর্তে দ্রুত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন এ উদ্যোক্তা।

জানা গেছে, করোনাকালে এ খাতে লোকসান হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর চাকরি হারিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। বিনা বেতনেও কাজ করেছেন অনেকে। ব্যবসায়ীরা এ খাতে বিনিয়োগ করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। পর্যটন খাতে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার ঋণ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, পর্যটন শিল্প দেশের জিডিপিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ছিলো প্রায় তিন লাখ ২৩ হাজার। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখন পর্যন্ত দেখা নেই বিদেশি পর্যটকের। যার কারণে বিপুল পরিমাণ আয় হারাচ্ছে বাংলাদেশ। অপরদিকে অব্যস্থাপনার জন্য ভ্রমণের সাথে জড়িত বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের গ্রুপগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদেশে ভ্রমণের জন্য। এ ক্ষেত্রে স্বল্প খরচে তাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভারত সরকার বাংলাদেশের জন্য ভ্রমণ ভিসা পুনরায় চালু করলেই এক সাথে কয়েক হাজার পর্যটক ঢুকবে বাংলাদেশ থেকে।

ভারতের ব্যুরো অব ইমিগ্রেশন দপ্তরের হিসাব মতে, দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক যায় বাংলাদেশ থেকেই। শুধু ২০১৭ সালে এক কোটির বেশি বিদেশি পর্যটক ভিসায় ভারত ভ্রমণ করেছে যা আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৯০ থেকে ৯৫ লাখ পর্যটক দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করে থাকেন। যার মধ্যে ৬৫-৭৫ শতাংশই তরুণ যারা বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। সুযোগ পেলেই দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।

সেই ভ্রমণের ছবি ও গল্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় প্রকাশের পর আগ্রহী হয়ে উঠছেন অন্যরা। তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের মানুষের পাশাপাশি বিদেশিরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। প্রযুক্তির ব্যবহার ও তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে দেশের পর্যটন খাত গতিশীল হচ্ছে বলেও মনে করছেন পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা।  

এই খাতকে দ্রুত আলোর মুখ দেখতে হলে প্রয়োজন মহাপরিকল্পনা। যার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আর কে চৌধুরী। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশ কেন সেভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারছে না তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।

ট্যুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টের (টিএসএ) মাধ্যমে পর্যটন খাতের আন্তর্জাতিক মান, ধারণা ও সংজ্ঞা অনুযায়ী পণ্য ও সেবার মূল্যায়ন করা হয়। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ টিএসএ তৈরি করলেও বাংলাদেশে গত চার দশকেও এর জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে জানা যায়।

এই একটি কাজ করা সম্ভব হলেই আমাদের জিডিপিতে পর্যটন খাত ও প্রতিটি উপ-খাতের অবদান সম্পর্কে জানা যাবে। পর্যটন নিয়ে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করা আরও সহজ হবে। একই সাথে পর্যটনে আমাদের কোন দিকটি দুর্বল, কোনটি সবল তাও চিহ্নিত হবে।

শুধু বিদেশি পর্যটক নয়, বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রতি বছর অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতে কত ব্যয় করে এবং কতজন দেশের ভেতরে ভ্রমণ করে, তা বের করা যাবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান করণীয় হচ্ছে, পর্যটন স্পটগুলোকে প্রডাক্ট হিসাবে তৈরি করা। বিপণনের আগে পর্যটন পণ্যগুলো আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা।

তা ছাড়া পর্যটন ব্যবস্থাপনা অতি গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটন কেন্দ্রগুলোর যথাযথ উন্নয়ন করা সম্ভব হলে বিদেশি পর্যটকদের পাশাপাশি দেশের পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করা সহজ হবে। আমরা আশা করব, পর্যটন শিল্পের অবকাঠামো ও পর্যটন প্রডাক্ট উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে।

পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারাও এগিয়ে আসবেন। পৃথিবীতে পর্যটন শিল্প আজ বৃহত্তম শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। পর্যটন শিল্পের বিকাশের ওপর বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকটা নির্ভর করে। দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটলে একদিকে যেমন নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে বেকারত্ব দূরীকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন সহজতর হবে।