Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

তারুণ্যের স্বপ্নসারথি বঙ্গবন্ধুকন্যা

রফিকুল ইসলাম

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১, ০৬:০৫ পিএম


তারুণ্যের স্বপ্নসারথি বঙ্গবন্ধুকন্যা

আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারুণ্যের স্বপ্নসারথি। তার অসামপ্রদায়িক, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনষ্ক দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। কঠোর পরিশ্রম ও দূরদর্শী নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ-অবকাঠামোর অভূতপূর্ব উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক সাফল্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু  নিয়ন্ত্রণ, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, নারী উন্নয়ন, সর্বোপরি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অতুলনীয় সাফল্য আধুনিক ও অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কের স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার এমন সাফল্যে দেশের তরুণ ছাত্রনেতারা বলছেন, তরুণদের আলোকবর্তিকা হয়ে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি তরুণ ছাত্র রাজনীতির আইকন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একজন নির্ভীক সৈনিক। মেধা, যোগ্যতা ও নেতৃত্বে জ্বলন্ত অগ্নিশিখা।

তরুণদের আলোকবর্তিকা হয়ে কাজ করছেন : জয়
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, দেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা অনেক বেশি। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তরুণদের গুরুত্বও বেশি। আর এই সকল তরুণদের সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যখনই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছেন, তখনই দেশের তরুণসমাজকে এগিয়ে নিতে নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন। তরুণদের নিয়ে বর্তমানেও সেই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। অথচ আওয়ামী লীগ ছাড়া যারাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন, তরুণসমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন, মাদক তুলে দিয়েছেন, তরুণদের সন্ত্রাসী হিসেবে তৈরি করেছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দৈনিক আমার সংবাদকে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে বাংলাদেশ বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। তাদের ক্ষমতাকালে দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রম ও যোগ্য নেতৃত্বে আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আজ আর বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে না। তরুণসমাজের কেউ সন্ত্রাসীপথে পা দিচ্ছে না। এটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, এটাই শেখ হাসিনার সফলতা। ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ একটি সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করার পথে দুর্বারগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া সম্ভব হতো না। বাংলাদেশের মানুষের অপার ভালোবাসার কারণেই তিনি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

তরুণ ছাত্র রাজনীতির আইকন : লেখক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও নানামুখী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার কঠোর পরিশ্রম ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে আজ দৃশ্যমান হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা। বঙ্গবন্ধুকন্যার দৈনন্দিন রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কারণেই তিনি তরুণ ছাত্র রাজনীতির আইকন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। যা দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দৈনিক আমার সংবাদকে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পথচলা সহজ ছিলো না উল্লেখ করে লেখক বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জিয়া-এরশাদ পাকিস্তানের ভাবধারায় রাষ্ট্রপরিচালনা করেছে। তারা দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজ ও লুটপাটের রাজনীতির রাজত্ব কায়েম করেছিল। আওয়ামী লীগসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হত্যা, খুন, গুম ও নির্যাতন করেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তার সেই পথচলা সহজ ছিলো না। স্বাধীনতাবিরোধী ও পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা তাকে বারবার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু সকল বাধা উপেক্ষা করে দেশ ও দেশের মানুষের ভাত এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনা পিছ পা হননি। নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। তার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব তরুণদের জন্য অনুকরণীয় দাবি করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সমাজে অনেক তরুণ রয়েছেন। তাদের সবার উচিত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শনকে বিশ্লেষণ ও অনুকরণ করা। কারণ শেখ হাসিনার দর্শন দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন, দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন।

পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এক নির্ভীক সৈনিক : সাদ্দাম হোসেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন দেশে ফিরে আসেন, তখন বাংলাদেশ সামরিক স্বৈরশাসকের মধ্য আবদ্ধ ছিলো। তারা মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল। সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করেছিল। স্বাধীনতাবিরোধীরা সদ্যস্বাধীন দেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিল। কেড়ে নিয়েছিল বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে ছিলো। ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের অঙ্গীকার করেন এবং নিজ কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেন। দলীয় নেতাদের সাথে নিয়ে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ অবকাঠামোর অভূতপূর্ব উন্নয়ন, তথ্যপ্রিক্ত খাতে বৈপ্লবিক সাফল্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন, হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু নিয়ন্ত্রণ, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, নারী উন্নয়ন, সর্বোপরি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তার অতুলনীয় সাফল্য একজন সফল নেতা হিসেবে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে। বাংলার মাটিতে কার্যকর হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন।