Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

সিরিজ খুনের পেছনে কারা

অক্টোবর ২২, ২০২১, ০৬:০০ পিএম


সিরিজ খুনের পেছনে কারা

আবারো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রক্ত ঝরলো। অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাতজন খুন, আহত ১২। রোহিঙ্গা সিরিজ খুনের ঘটনায় চিন্তিত বাংলাদেশ। মুহিবুল্লাহ হত্যার রেশ না কাটতেই গতকাল শুক্রবার উখিয়ায় মাদ্রাসায় ঘুমন্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। 

এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, একটি ব্যবসায়িক চক্র চায় কোনোভাবেই যেনো রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে না যায়। কেউ সংঘবদ্ধ হতে চাইলে তাদের খুন করা হচ্ছে। আর এর পেছনে রয়েছে মিয়ানমারের সেনারা। যারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধ ব্যবসা করে। তাদের মিয়ানমারের সেনারা শেল্টার দেয়। রোহিঙ্গাদের দিয়ে ইয়াবা কক্সবাজারে পাঠায়। তাদের কিছু রোহিঙ্গা আছে ছয় মাস কক্সবাজার ক্যাম্পে এবং ছয় মাস মিয়ানমারে থাকে। আন্তর্জাতিক বড় একটি অংশও এ ব্যবসায় সম্পৃক্ত। 

এছাড়া ঘটনার উপর চোখ রাখা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বাংলাদেশের নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যদি নিয়মিত মারামারি, অস্থিরতা থাকে তাহলে মিয়ানমার অবশ্যই খুশি থাকবে। ওরা এর পেছনে মদদ দিচ্ছে কি-না এটি এখন দেখার বিষয়। সারা পৃথিবীর মানুষ জানে মিয়ানমার অস্ত্রের ব্যবসা করে, মাদক-ইয়াবা তৈরি করে। এখন কেন আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়গুলো ঘুমিয়ে আছে? তারা কেন এর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। 

এটি রহস্যের বিষয়। ইয়াবা কোথা থেকে আসে, অস্ত্র কোথা থেকে আসে, তারা কি তা জানে না? বাংলাদেশ তো ইয়াবা তৈরি করে না, অস্ত্র তৈরি করে না, কারা করে— মিয়ানমার করে! এখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে সকল সমপ্রদায়কে। মাদকের উপাদান তৈরি করে মিয়ানমার আর কেমিক্যাল দেয় ভারত। এটি সংশ্লিষ্ট সবারই জানা। ধারণা করাই যায়— এই সংঘাতের পেছনে, এই অস্ত্র মাদকের পেছনে আন্তর্জাতিক কমিউনিটিগুলো লাভবান হচ্ছে! এ জন্যই তারা মাদকের বিরুদ্ধে, অস্ত্রের বিরুদ্ধে, সংঘাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। অনেকেই আবার কিছু সন্ত্রাসী সংগঠনের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে লাভবান হতে চাইবে এবং ওই দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বারবার এমন ধরনের ঘটনা দেশের জন্য চিন্তা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে ঘটনা ঘটতে থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। রোহিঙ্গারা দেশের জন্য এ দেশের জন্য এখন ভয়ঙ্কর বোঝা, ভূখণ্ডের জন্য বোঝা, নিরাপত্তার জন্য বোঝা, তাই নিরাপত্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ আমার সংবাদকে বলেন, ‘কেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বারবার এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটছে তা আমাদের বের করতে হবে। তবে বারবার এমন ঘটনায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অনেক খুশি। তারা এর পেছনে মদদ দিচ্ছে কি-না এটি আমাদের নজরে রাখতে হবে। কারণ তারা এটি বারবার বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করতে চাইবে— রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসী। নিরাপত্তার জন্য হুমকি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যদি নিয়মিত মারামারি, অস্থিরতা হয়ে থাকে তাহলে মিয়ানমার অবশ্যই খুশি থাকবে। এখন অনেকেই বুঝে না বুঝে বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চাইবে। বাংলাদেশ এদেরকে সুরক্ষা দিতে পারছে না, নিরাপত্তা দিতে পারছে না। আমাদের এটিও মাথায় রাখতে হবে— তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়া, সুরক্ষা দেয়া আমাদের কাজ নয়। আমরা সাময়িক তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তারা আমাদের কাছে আশ্রিত মাত্র।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘নিরাপত্তা বিষয়ে চিন্তা করবে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়গুলো, নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চিন্তা করবে আন্তর্জাতিক মহল। জাতিসংঘসহ আরো অনেকে কিন্তু এখন চুপ। নীরব কেন এর রহস্য কোথায়? তারা কেন মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করছে না, সারা পৃথিবীর মানুষ জানে মিয়ানমার অস্ত্রের ব্যবসা করে, মাদক ইয়াবা তৈরি করে। এখন কেন আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়গুলো ঘুমিয়ে আছে? তারা কেন এর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ইয়াবা কোথা থেকে আসে, অস্ত্র কোথা থেকে আসে, তারা কি তা জানে না? বাংলাদেশ তো ইয়াবা তৈরি করে না, অস্ত্র তৈরি করে না, কারা করে— মিয়ানমার করে! এখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের এমন প্রতিটি ঘটনার দায় মিয়ানমারকে বহন করতে হবে। আমরা যদি বলি মাদকের উপাদান তৈরি করে মিয়ানমার আর কেমিক্যাল দেয় ভারত। এটি আমরা সবাই জানি। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো এই সংঘাতের পেছনে, এই অস্ত্র মাদকের পেছনে আন্তর্জাতিক কমিউনিটিগুলো লাভবান হচ্ছে! এ জন্যই তারা মাদকের বিরুদ্ধে, অস্ত্রের বিরুদ্ধে, সংঘাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। 

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আর আমরা মাঝে মধ্যে দেখি গণমাধ্যম এর সঠিক সংবাদ উপস্থাপন করছে না। আমরা কিছুদিন দেখেছি গণমাধ্যম ভাসানচর ভাসানচর বলে উঠেপড়ে লেগেছিল। কিন্তু এ ভাসানচরের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী সমাধান হবে? হবে না। ওই ভাসানচরে কতজন রোহিঙ্গা যেতে পারবে? ১১ লাখের উপরে রোহিঙ্গা রয়েছে। এটি আমরা আর কেউ বলছি না। ভাসানচর রোহিঙ্গাদের কোনো সমাধানের পথ নয়। তাই এখন আমাদের সর্ব অবস্থায় মিয়ানমারের ওপর দৃষ্টি রাখতে হবে। অনেকেই কিছু সন্ত্রাসী সংগঠনের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে লাভবান হতে চাইবে— সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক বিশ্লেষক এম হুমায়ুন কবীর আমার সংবাদকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বারবার এ ধরনের ঘটনা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে ঘটনা ঘটতে থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য, এ দেশের জন্য, এখন ভয়ঙ্কর বোঝা, ভূখণ্ডের জন্য বোঝা, নিরাপত্তার জন্য বোঝা, তাই নিরাপত্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। আসলে এমন ঘটনা কেন ঘটছে এর পেছনে মৌলিক উদ্দেশ্য কী সেটি তদন্তের আলোকে উন্মোচন করতে হবে।

এর পেছনে বৃহত্তর কোনো ব্যবসা কিংবা উদ্দেশ্য জড়িত রয়েছে কি-না সেদিকে আমাদের এখন সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক কোনো অংশে কিংবা উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা ঘটছে কি-না সেটিও দেখার বিষয়। তাই এ ঘটনাগুলোর সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়গুলোর চাপ প্রয়োগ করা এখন অনেক বেশি জরুরি।’

পালংখালি ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের চারটি সন্ত্রাসী সংগঠন তৎপর আছে। গ্রুপের সদস্যরা নানা অবৈধ ব্যবসা করে। তাদের ক্যাম্পে দোকানপাট আছে। রোহিঙ্গারা চলে গেলে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। তারা ক্যাম্পের ত্রাণসামগ্রী বাইরে বিক্রিও করে। তাদের মিয়ানমারের সেনারা শেল্টার দেয়। তাদের দিয়ে ইয়াবা কক্সবাজারে পাঠায়। তাদের কিছু রোহিঙ্গা আছে ছয় মাস কক্সবাজার ক্যাম্পে এবং ছয় মাস মিয়ানমারে থাকে। এখানে আরসা এবং আরএসও নামেও দুটি উগ্রপন্থি গ্রুপ আছে। তারা কেউই মিয়ানমারে ফিরতে চায় না, কারণ তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।’

রোহিঙ্গা খুনের সিরিজ ঘটনায় চিন্তিত বাংলাদেশ : গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা করছে অনেকে। এ সব বন্ধে সরকার কঠোর হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অনেকটা অগ্রগতি হলেও কিছু লোক চায় না তারা নিজ দেশে ফেরত যাক। তাদের স্বার্থে আঘাত লাগে। আগে মুহিবুল্লাহ হত্যা ও এখন ক্যাম্পে মারামারি করে মানুষ খুন করার পেছনে এদের হাত থাকতে পারে। এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার।’

এ নিয়ে এর আগে সমপ্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের বিষয়টি বহু দিন ধরেই চলে আসছে। কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো ঘিরে রোহিঙ্গা ডাকাতদের তৎপরতার খবরও আসছে।

গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, “জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য ‘বোঝা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিন বছর হয়ে গেছে এরা (রোহিঙ্গা) আমাদের জন্য বোঝা। তাদের জন্য আমাদের কক্সবাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমাদের কিছু বনজ সম্পদও নষ্ট হয়েছে।”

উখিয়ায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সাত, আহত ১২ : রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি মাদ্রাসায় ঘুমন্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও তিনজনসহ মোট সাত রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশ সশস্ত্র এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার ভোররাতে উখিয়ার বালুখালী-১৮ নং ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ মুজিবুর রহমান নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, বালুখালী-১৮নং ক্যাম্পের মেইন ব্লক-এইচ/৫২ এর দারুল উলুম নাদাওয়াতুল উলামা আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। মাদ্রাসায় ঘুমন্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর অতর্কিত বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসা। ইসলামিক মাহাস নামের একটি রোহিঙ্গা গ্রুপ ওই মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে থাকে বলে রোহিঙ্গারা জানায়। নিহত রোহিঙ্গারা হলেন— মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইদ্রীস (৩২), ইব্রাহীম হোসেন (২৪), মুফতি হাবিবুল্লাহ, শিক্ষার্থী আজিজুল হক (২২), ভলান্টিয়ার মো. আমীন (৩২), ভলান্টিয়ার নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), মাদ্রাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ (৫৫), নুর কায়সার (১৫) ও নুর মোহাম্মদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি শিহাব কায়সার খান বলেন, কি কারণে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। অস্ত্রসহ একজনকে আমরা আটক করেছি। সাতজন নিহত হয়েছেন। আরও সাতজনকে আহত অবস্থায় এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে ১১ নম্বর ক্যাম্প থেকে ধারালো ভয়ঙ্কর অস্ত্রসহ চার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ। 

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১১ নং ক্যাম্প এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এ সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের অস্ত্রসহ আটক করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। উখিয়া ৮, এপিবিএন ময়নারঘোনা ১২ নং পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা বিশেষ অভিযানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চিহ্নিত চার সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করেছে। আটক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হচ্ছেন— ১১ নং বালুখালী ক্যাম্পের মৌলভী নুর হোসেন ওরফে মৌলভী মাজেদ (৪২), মো. গণি ওরফে ইউনুস ওরফে আব্দুল্লাহ (৩৫), ১২ নং ক্যাম্পের মৌলভী করিমুল্লাহ (২৮) ও ৮ নং ক্যাম্পের মৌলভী নুরুল বশর (৩০)। 

৮ এপিবিএন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে দেশীয় ধারালো ভয়ঙ্কর অস্ত্র এবং ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ সময় আরে ১৬-১৭ জন দুষ্কৃতিকারী পালিয়ে যায়। 

উল্লেখ্য এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং-১ (ইস্ট) লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে গুলি করে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে পরিবারের অভিযোগ, মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে রোহিঙ্গাদেরই অন্য একটি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)।