Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

তামাদি আইন বাতিল চান ডিসিরা

আমিরুল ইসলাম

জানুয়ারি ১৬, ২০২২, ০৮:৩০ পিএম


তামাদি আইন বাতিল চান ডিসিরা

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য পুলিশের পাশাপাশি ইউএনওদের কাছ থেকে মতামত প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা। এতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কার্যক্রমে ইউএনওদের সক্ষমতা বাড়বে। সরকারি-বেসরকারি, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালনা কমিটিতে নিজেদের অবস্থান চেয়েছেন ডিসিরা। 

ডিসিরা মনে করছেন, ওই সব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনাপর্ষদে তাদের উপিস্থিতি শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হবে। আন্দোলন, ধর্মঘটসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সহায়তা করা সম্ভব হবে। মোবাইল কোর্টের আপিল মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে একজন সার্বক্ষণিক একই সাথে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নিয়োগের প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা। 

একই মামলার শুনানিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে মামলার শুনানিতে পিপি নিয়োগের প্রস্তাব করছেন। তারা পিপি এবং জিপিদের তদারকির জন্য একটি নীতিমালা তৈরির প্রস্তাব করেছেন। 

ডিসিরা বলছেন, তামাদি আইন বাতিল করতে হবে। তামাদি আইন বিদ্যমান থাকায় এবং আপিল নামঞ্জুর হওয়ায় বিপুল সরকারি সম্পত্তি বেহাত হচ্ছে। সরকারি স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য জেলা প্রশাসক সম্মেলনের কার্যপত্রে ওই সব বিষয়ে প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। 

ডিসিদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এপিপি, পিপি বা জিপির স্থায়ী নিয়োগের যৌক্তিকতা হিসেবে তারা বলছেন, আপিল মামলার শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো পক্ষ না থাকায় এক পক্ষের শুনানি হয়। এতে আপিলকারীর অপরাধের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন না হওয়ায় আপিলকারীর অপরাধ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। এক পক্ষের শুনানির কারণে অনেক ক্ষেত্রে আপিল মামলার রায় এক পক্ষের অনুকূলে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। জেলা প্রশাসকরা স্বেচ্ছাধীন তহবিলের বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি তুলছেন। এতে তারা কর্মক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সহায়তায় ভূমিকা রাখতে পারবেন। ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদায়নের ক্ষেত্রে তারা জেলাগুলোকে গ্রেডেশন করে পর্যায়ক্রমে পদায়ন চাচ্ছেন। 

এ জন্য পদায়ন নীতিমালার সংশোধ চাচ্ছেন ডিসিরা। এতে বদলির জন্য তদবিরের হার কমে যাবে বলে মনে করছেন তারা। তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ডেটাবেজে সংরক্ষিত সব কর্মকর্তার জন্য আইডি কার্ড  দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। এতে মাঠ প্রশাসনে কর্মরত প্রশাসক ক্যাডারের কর্মকর্তা সচিবালয়ে প্রবেশ সহজ হবে। স্মার্ট কার্ডের সাথে লিংকের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে। কেউ মিথ্যা পরিচয় দিয়ে নিজেকে ক্যাডার কর্মকর্তা দাবি করতে পারবেন না। ডিসিরা জাতিসংঘ শান্তি মিশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। 

তারা বলছেন, এতে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের সেবার মান ও সুনাম বৃদ্ধি পাবে। এবার তারা জাজিরায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। ইতোপূর্বে কক্সবাজারে ৭০০ একর জমিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কনভেনশন সেন্টার স্থাপনের জন্য অধিগ্রহণ করে নানান ধরনের সমালোচনায় পড়েন। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। 

সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সরকারের সচিবসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জেলা সফরের সময় সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন। তারা সেখানে রাত্রি জাপন করেন। সে ক্ষেত্রে সার্কিট হাউজের নিরাপত্তায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। নিরাপত্তা অভাবে যেকোনো সময় বড় ধরনের যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে সার্কিট হাউজের নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে মনে করছেন ডিসিরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের  প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের চার্টার অব ডিউটিজ চাচ্ছেন তারা। গুচ্ছগ্রামের রেশন ডিসিদের অনুকূলে সরাসরি বরাদ্দের প্রস্তাব করছেন তারা। বর্তমানে রেশন বণ্টন নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

ডিসিদের দাবি, রেশন বিতরণে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরি করতে হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যের পরিধির আওতাভূক্ত রাখার প্রস্তাব করেছেন তারা। গ্রাম আদালতের বেঞ্চ সহকারীর পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা। এতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত, নিয়মিত আদালতে মামলা হ্রাস, কম সময়ে ন্যায়চাির প্রতিষ্ঠা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন তারা। তারা ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছেন। তারা গ্রামপুলিশ ও মহল্লাদারদের বেতন-ভাতা ও আনুতোষিক বৃদ্ধির সুপারিশ করেছেন। 

গ্রাম পুলিশ সদস্যদের অবসর ও অথবা মৃত্যুর পর তাদের দুই লাখ টাকা অনুদান দেয়ার সুপারিশ করেছেন ডিসিরা। উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের তিন বছর অন্তর আন্তঃউপজেলা বদলির সুপারিশ করেছেন। কারণ, কর্মচারীরা একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে তারা রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। এতে অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়, প্রশাসনের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়। তাদের বদলি করলে প্রত্যাশিত সেবা বাড়বে, কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হবে।

রেলওয়ে আইনেরও সংশোধন চাচ্ছেন ডিসিরা। তারা বলছেন, ১৮৯০ সালের মানে ১৩০ বছর আগের আইন দিয়ে বর্তমানে সংঘঠিত অপরাধের বিচার সম্পূর্ণ বেমানান। এতে যে পরিমাণ জরিমানা ও শাস্তির বিধান রয়েছে তা বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আইন সংশোধন করে অপরাধের ধরনের ওপর নির্ভর করে শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো জরুরি। এতে রেলের অপরাধ কমবে, শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স নির্ধারণ করা আছে ছয় বছর। সে ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সে এএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা। 

অথচ শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা আছে— ১৪ বছরের শিক্ষার্থীরাও এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে। বিষয়টি সংশোধন করার প্রস্তাব করেছেন ঝালকাঠির ডিসি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে পুল করা দরকার। কারণ এখানে স্বচ্ছতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। এ ছাড়া স্বজনপ্রীতি এবং অযোগ্যদের নিয়োগের ঘটনা ঘটছে। মনপুরা উপজেলায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তাব করেছেন ভোলার ডিসি। বিদ্যুতের অভাবে উপজেলায় দৈনন্দিন সরকারি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ হলে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে।

কর্মচারীদের মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ এবং বাই-সাইকেলের জন্য সুদমুক্ত ঋণসুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা। সে ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের জন্য ৭০ হাজার, মোটরসাইকেলের জন্য এক লাখ ৬০ হাজার এবং বাইসাইকেলের জন্য ১০ হাজার টাকা ঋণ মঞ্জুরের সুপারিশ করেছেন। পৌরসভা পর্যায়ে ওএমএস চালুর প্রস্তাব করেছেন সিলেটের ডিসি। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হবে। খাদ্য বিভাগের সংরক্ষণাগারের সংরক্ষিত খাদ্যশস্যের বস্তায় উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদকাল, উৎপাদকের নাম-ঠিকানা ও সর্বোচ্চ খুচরামূল্য লেখা থাকে না। এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। খাদ্যের মান নির্ণয় কঠিন হয়ে পড়ে। মেয়াদকাল উল্লেখ না থাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার বাজারে যায়। সে ক্ষেত্রে খাদ্যগুদামের খাদ্যশস্যের বস্তায় উৎপাদনের তারিখ, উৎপাদকের নাম-ঠিকানা, মেয়াদকাল উল্লেখ থাকা জরুরি। ডিসিদের প্রস্তাব বিভাগীয় শহরে সরকারি কর্মচারীদের সুচিকিৎসার জন্য কর্মচারী হাসপাতালের ব্যবস্থা চালু করা। 

কোভিড-১৯-এ অনেক সরকারি কর্মচারী সুচিকিৎসা পাননি, অনেকে ঢাকায় আনার সময় পথে মারা গেছেন। সে ক্ষেত্রে বিভাগীয় শহরে সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল থাকা জরুরি বলে মনে করছেন তারা। মনপুরা উপজেলার চারপাশে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব করেছেন ভোলার ডিসি। নদীভাঙনের ফলে উপজেলার মানুষ গৃহহীন এবং ভূমিহীন হচ্ছে। হচ্ছে গরিবও। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থার প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছেন বাগেরহাটের ডিসি। সুন্দরবন এককভাবে বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে। তবে মাছ, পানি, নৌকা, জাল এবং জেলেরা হচ্ছেন মৎস্য আইনের অধীনে। এ ক্ষেত্রে সব কিছু মৎস্য বিভাগের আতায় আনা জরুরি। 

কারাগারে আটক বন্দিদের সুচিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা। তারা বলছেন, বন্দিরা অনেক সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে, চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্স দরকার হয়। এ ছাড়া কারাগারে বডি স্ক্যান সিস্টেম ও লাগেজ স্ক্যান মেশিন বসিয়ে অপরাধ দমন করা জরুরি। এতে কারা অভ্যন্তরে মাদক ও মোবাইল ফোন ব্যবহার হ্রস পাবে। প্রত্যেক জেলায় একটি করে টিসিবির দোকান স্থাপন করার প্রস্তাব করেছেন মাগুরার ডিসি। এতে জেলার দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষ সুবিধা পাবে। দরিদ্র, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষ সুলভমূল্যে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে পারবে। মবিল, লুব্রিকেন্ট ও গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মোড়কে মূল্য নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছেন সিরাজগঞ্জের ডিসি। এতে ভোক্তারা প্রতারিত হওয়া, প্রতারিত করার মনোভাব, মূল্য ও মেয়াদ ছাড়া মবিল লুব্রিকেন্ট ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ হবে। বিদেশি মবিল, লুব্রিকেন্ট ও গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিক্রির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসবে। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি হবে।  

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মা নদীতে ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখে বাংলাদেশ। পক্ষান্তরে পদ্মার ভারতীয় অংশে ওই সময় ব্যাপকভাবে মাছ আহরণ কার্যক্রম চলে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ৬৫ দিন মাছ আহরণ বন্ধ রাখে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় অংশে ওই সময় তারা ব্যাপকভাবে মাছ আহরণ করে। শুধু তাই নয়, তারা বাংলাদেশের সীমানায় ডুকে মাছ ধরে। চাপাইনবাবগঞ্জের ডিসির প্রস্তাব আন্তঃদেশীয় নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা জরুরি। এতে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণকারীদের জন্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণ বিতরণের প্রস্তাব করেছেন ভোলার ডিসি। জেলেদের নিরাপদ অবস্থান, জীবন রক্ষা করা, গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের সময় দ্রুত আবহাওয়ার পূর্বভাস পাওয়া ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছচাষিদের ৪ শতাংশ হারে ঋণের প্রস্তাব করেছেন বরিশালের ডিসি। উপজেলা পর্যায়ে আইটি প্রশিক্ষণের প্রস্তাব করেছেন দিনাজপুরের ডিসি। তার মতে আউটসোর্সিং বিষয়ের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুবকরা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আয় করতে পারবে, এতে বেকারত্ব দূর হবে। 

প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ এবং সিসিইউ স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন মাগুরার ডিসি। এতে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়বে এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য ঢাকামুখিতা কমবে। যে সব স্থানে কমিউনিটি ক্লিনিক নেই সেসব স্থানে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক চালুর প্রস্তাব করেছেন পঞ্চগড়ের ডিসি। চা-বাগান, দুর্গম চরাঞ্চলে বসবাসরতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন মৌলভিবাজারের ডিসি। 

এতে চা-বাগানে কর্মরত শ্রমিক ও চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ চিকিৎসাসেবা পাবে। মাঠপর্যায়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিজ নিজ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন। তারা স্থানীয় রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাদের নিজ জেলার বাইরের পদায়ন করা হলে তারা সরকারি দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন এবং কৃষি উৎপাদন বাড়বে।  বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় স্থাপিত রিসোর্ট ব্যবহার নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা। তারা বলছেন, কোনো নীতিমালা না থাকায় বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। পাহাড়ে পরিবেশ ধ্বংসকারী বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ বন্ধের প্রস্তাব করেছেন বান্দরবানের ডিসি। এতে পশুপাখি বিলুপ্ত হচ্ছে। পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের পদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন সিলেটের ডিসি। শিক্ষক স্বল্পতায় বর্তমানে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে, ঝরে পড়ার হার বাড়ছে। চারজন শিক্ষক দিয়ে মানসম্মত পাঠদান সম্ভব নয়।