Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫,

সব অপকর্ম ফৌজদারি অপরাধ

আমিরুল ইসলাম

জানুয়ারি ২৯, ২০২২, ০৬:০০ পিএম


সব অপকর্ম ফৌজদারি অপরাধ

ওয়ারিশদের ঠকিয়ে নিজের নামে পৈতৃক সম্পত্তি বেশি লিখে নেয়ার দিন শেষ। বাহুবলে অন্যের জমি দখল করবেন সেই সুযোগ আর থাকছে না। কোনো ধরনের পূর্বানুমতি ছাড়াই পাশের জমি থেকে মাটি তুললে হাতে লাগবে হাতকড়া ও গুনতে হবে নগদ জরিমানা। 

সরকারি, আধা-সরকারি কিংবা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জমি খেয়াল খুশিমতো দখল করলেই জেল-জরিমানা হবে তাৎক্ষণিক। আগে বিক্রিত জমি তথ্য গোপন করে ফের বিক্রির চিন্তা ভুলেও করবেন না। তাহলে শ্রীঘরে ঘুমাতে হবে তৎক্ষণাৎ। উল্লিখিত অপরাধগুলো দেওয়ানির পরিবর্তে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। 

ফৌজদারি অপরাধের শাস্তি হিসেবে অর্থ ও কারা কিংবা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে। দেশে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০২১  নামে একটি নতুন আইনের খসড়ায় এসব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় আইনটির খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং শিগগিরই মতামতের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে প্রেরণ করা হবে বলে জানা গেছে। খসড়া আইন ঘেঁটে এ সব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সালেহ উদ্দিন আমার সংবাদকে বলেন, আইন প্রণয়নের কাজ চলমান। চূড়ান্ত হলে জানতে পারবেন। তিনি এ বিষয়ে যুগ্মসচিব মো. খলিলুর রহমানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। 

খলিলুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন, ইতোমধ্যে আইনের খসড়া দাঁড় করানো হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে মামলা-মোকদ্দমার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়া। আমরা অপরাধগুলোকে ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় এনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধান করতে চাই। 

এক প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, আইনের কোথাও অভারলেপিং থাকলে তা পরিহার করা হবে। তবে অপরাধগুলো আর দেওয়ানি থাকবে না, সবগুলো অপরাধই ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। 

আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, মালিক হওয়ার জন্য অন্যের জমি নিজের নামে দলিল করলে, মালিকানার অতিরিক্ত জমি দলিল করলে, অতিরিক্ত জমি লিখে দলিল করলে, বায়না করা সম্পত্তি পুনরায় বায়না করলে, সহ-উত্তরাধিকারকে বঞ্চিত করে নিজের প্রাপ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত জমি দলিলমূলে বিক্রি করলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। 

এছাড়া সরকারি-বেসরকারি জমি অবৈধ দখল, শরিকের জমি জোরপূর্বক দখল, অবৈধভাবে মাটিকাটা ও বালু উত্তোলন, বাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি দখল, পাহাড়ের পাদদেশে বসতি স্থাপন, নদী, হাওর, বিল, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা, অবৈধ দখল বজায় রাখতে পেশীশক্তি প্রদর্শন এবং রিয়েল এ্যাস্টেট তথা ডেভেলপার  কোম্পানি প্লট কিংবা ফ্ল্যাট নির্ধারিত সময় হস্তান্তর না করা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেট, এ্যাসিল্যান্ড, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক এবং জেলা প্রশাসকগণ বিচার কাজ পরিচালনা করবেন। অপরাধের বিচারে সাক্ষীর সুরক্ষা দেয়া হবে। ডিজিটালি সাক্ষ্য গ্রহণ করা অর্থাৎ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ধারণকৃত ছবি, ভিডিও, অডিও, ইত্যাদি সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচার করা হবে। পুলিশের ওপর তদন্তের ভার দেয়া হবে। নির্ধারিত সময় এবং পরপর তিনবার সময় বাড়িয়ে দেয়ার পরও তদন্ত সম্পন্ন করতে না পারলে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

খসড়া আইনের শুরুতেই বলা হয়েছে, ভূমিতে জনসাধারণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণে রাষ্ট্র সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। আইনের ১১ ধারায় বলপ্রয়োগের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, শক্তি প্রয়োগ, ভীতিপ্রদর্শন, মনস্তাত্ত্বিকভাবে চাপ প্রয়োগ, দৈহিকভাবে আটকের হুমকি, নির্যাতন, ব্যক্তির প্রাতিষ্ঠানিক, দাপ্তরিক অবস্থানকে অন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কাজে লাগানোর হুমকি বলপ্রয়োগ হিসেবে চিহ্নিত হবে। 

আদালতে মামলা দায়ের, মামলা চলাকালে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ বা আদালতে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে লাভবান, যে কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ, প্রতিশোধ গ্রহণের হুমকি, প্রতিহিংসা প্রকাশসহ ইত্যাকার বিষয়গুলো ভীতি প্রদর্শন হিসেবে গণ্য হবে। 

আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অপরাধ ও দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি মালিক হওয়ার জন্য অন্যের জমি নিজ নামে দলিল তৈরি করলে অনধিক দুই বছরের কারা ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। বিক্রির সময় নিজের সম্পত্তির সঙ্গে অন্যের সম্পত্তি দলিলমূলে বেচে দিলে (হস্তান্তর) অনধিক পাঁচ বছরের কারা ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। 

এটি জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। জমি ক্রয়ের সময় যে পরিমাণ জমির মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমি দলিলমূলে লিখে নিলে অনধিক পাঁচ বছরের কারা ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 

আগে বিক্রি করা হয়েছে এমন জমি তথ্য গোপন করে ওই জমি পুনরায় বিক্রি করলে অনধিক পাঁচ বছরের কারা ও ১০ লাখ টাকা অর্থ অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। কোনো জমি বিক্রির জন্য বায়নাচুক্তির পর তা বাস্তবায়ন না করে অন্যজনের কাছে ফের বিক্রির বায়নাচুক্তি করলে অনধিক পাঁচ বছরের কারা ও ১০ লাখা টাকা অর্থ দণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। কাউকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রতারণামূলকভাবে দানপত্র তৈরি করলে অনধিক দুই বছরের কারা ও  তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। 

সহ-উত্তরাধিকারকে বঞ্চিত করে নিজে লাভবান হয়ে প্রাপ্যতার চেয়ে অধিক জমি বিক্রি করলে অনধিক দুই বছরের কারা ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। সরকার বা ব্যক্তির জমি জোরপূর্বক দখল করলে অনধিক দুই বছরের কারা ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

শরিকের জমি জোরপূর্বক দখলে রাখলে অথবা সহ-উত্তরাধিকারের জমি দখলে রাখলে এক বছরের কারা ও অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। ক্ষতিসাধন হোক বা না হোক ব্যক্তির অথবা সরকারি-বেসরকারি জমির অথবা নদী বা পাহাড়ের তলদেশ থেকে মাটি কাটলে অথবা বালু উত্তোলন করলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে। কেউ বেআইনিভাবে মাটিভরাটের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই অপরাধের বিচার সম্পন্ন করা হবে। 

ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তার জমির মাটির উপরের অংশ উত্তোলন করলে তার অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। অধিগ্রহণের আগে জমির মূল্য বেশি লেখিয়ে দলিল সম্পাদন করলে দুই লাখ টাকা অর্থ ও দুই বছরের কারা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। পাবলিক ইজমেন্ট, গোচরণভূমি, খেলার মাঠ, জলাশয়, ওয়াকপ এ্যাস্টেট, দেবোত্তর সম্পত্তি, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, ঈদগাহ, প্যাগাডো, মাজার, দরগা, শ্মশান, চিকিৎসা, শিক্ষা, ক্রীড়া, বিনোদন, দাতব্য উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত ভূমি বেআইনিভাবে দখল করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে, অথবা শ্রেণি পরিবর্তন করলে অনধিক দুই বছরের কারা ও তিন লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

পাহাড়, টিলার পাদদেশে বসতি স্থাপন করলে তিনমাসের কারা এবং ১০ হাজার টাকা অর্থ অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। রিয়েল এ্যাস্টেট কোম্পানি জমি ও ফ্ল্যাট হস্তান্তরে কোনো ধরনের জালিয়াতি করলে, নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তরে ব্যর্থ হলে অথবা হস্তান্তরিত ফ্ল্যাটের দলিল সম্পাদনে ব্যর্থ হলে দুই বছরের কারা ও ২০ লাখ টাকা অর্থ অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে অবকাঠামো তৈরি করলে তিন বছরের কারা ও চার লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই অপরাধের বিচার সম্পন্ন হবে।

নদী, হাওর, বিল ও অন্যান্য জলভূমি মাটি, বালু, আবর্জনা দিয়ে ভরাট করলে অথবা অন্য কোনো পদার্থ কিংবা উপায়ে আংশিক শ্রেণী পরিবর্তন করে স্থাপনা তৈরি করলে এক বছরের কারা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। সম্পূর্ণ শ্রেণি পরিবর্তন করলে অনধিক দুই বছরের কারা অথবা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। কোনো ব্যক্তি একক বা দলগতভাবে অবৈধ দখল ও দখল বজায় রাখতে পেশীশক্তি ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করলে অনধিক দুই বছরের কারা ও অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। 

অবৈধ দখল বজায় রাখতে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করলে দণ্ডবিধির ৩২৫ এবং ৩২৬ ধারায় বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট বিচার করবেন। দেশী বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ফলে কোনো ব্যক্তি গুরুতর জখম হলে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় বিচারের জন্য বিবেচিত অপরাধ হবে এবং সেশনজজ আদালতে বিচার কার্যসম্পন্ন হবে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে দণ্ড দ্বিগুণ হবে। তখন অপরাধটি জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

খসড়া আইনের ৬ ধারায় বর্ণিত অপরাধের জন্য জমির পরিমাণ এক একরের বেশি হলে এবং এতে রিয়েল এ্যাস্টেট ডেভেলপার জড়িত থাকলে অপরাধের দণ্ড হিসেবে অনধিক সাত বছরের কারা ও অনধিক ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। এ ধরনের অপরাধ জামিনঅযোগ্য হিসেবে গণ্য হবে। সহমালিক বা পার্শ্ববর্তী ভূমির ক্ষতি সাধন, পরিবর্তন বা স্থাপনা নির্মাণের ফলে পাশের মালিকের ভূমি ক্ষতি হলে অনধিক তিন বছর কারা অথবা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। 

নিজের মালিকানার চেয়ে বেশি সম্পদ বন্ধক রেখে ব্যাংক, কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করলে দুই বছরের কারা বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে। অপরাধ সংগঠনে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে সহায়তা করলে যিনি অপরাধ করবেন ঠিক তারমতই বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা  আইনের এই ধারায় ফেঁসে যাবেন।

প্রণীতব্য এই আইনের অধীনে সংগঠিত অপরাধ বিচার ফৌজদারি কার্যবিধির চ্যাপ্টার অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে। প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোবাইল কোর্ট ২০০৯ এর তফসিলভুক্তকরণ সাপেক্ষে প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেটরা সম্পন্ন করবেন। এছাড়া সরকার বিশেষ আদালতের মাধ্যমে ডিসি, ইউএনও এবং এ্যাসিল্যান্ডকে তার অধিক্ষেত্রে সংগঠিত অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে জরিমানা করার ক্ষমতা প্রদান করতে পারবে। জরিমানা বিরোধপূর্ণ জমির এক-চতুর্থাংশের বেশি হবে না। 

অপরাধের প্রতিকার পাওয়ার জন্য ভূমি মালিকরা থানা অথবা উপযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করবে। ইউএনও এবং এ্যাসিল্যান্ড তাদের অধিক্ষেত্রে সরকারি খাসজমি, নদী নালা, খালবিল, জলাভূমি, নদী বা সাগরের তীরবর্তী ভূমি থেকে অবৈধভাওবে বালু উত্তোলন, মাটিভরাট ইত্যাদি প্রতিরোধে সাধারণ বা বিশেষ আদেশে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০ ধারা অনুসরণ করে প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে পারবে। অনুরূপভাবে ডিসিও তার অধিক্ষেত্রে উল্লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। 

সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ এ যাহাই থাকুক না কেন এই আইনের অধীনে সংগঠিত অপরাধের বিচারে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ধারণকৃত ছবি, ভিডিও, অডিও, ইত্যাদি সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হবে। জরিমানার অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিককে দেয়া হবে। তবে ক্ষেত্র বিশেষ সরকারি ফান্ডে জমা হবে।